আবদুল হামিদ, ঢাকা
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রতি ৪টি গাড়ির বিপরীতে চালক আছেন মাত্র ১ জন। একদিকে চালকসংকট, অন্যদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত চালকদের অনেকেই নিজে না চালিয়ে গাড়ি তুলে দিচ্ছেন অন্য কারও হাতে। সম্প্রতি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনায় বিষয়গুলো আরও বেশি সামনে আসে। নথিপত্র ঘেঁটেও নানা সংকট ও অনিয়মের চিত্রই পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষের।
গত নভেম্বরে এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের বর্জ্য পরিবহনের গাড়িচাপায় রাস্তায় দুজন প্রাণ হারান। এঁদের একজন , অন্যজন গণমাধ্যমকর্মী। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় মৃতের সংখ্যা ১২ জন। এর মধ্যে চলতি বছরেই মারা গেছেন ৫ জন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০৯টি গাড়ির চালক আছেন ১৩৭ জন। এর মধ্যে বর্জ্য পরিবহনের জন্য ৩৭৭টি বড় গাড়ির জন্য চালক আছেন মাত্র ৮৬ জন। যেখানে প্রতি ৪ দশমিক ৩টি গাড়ির জন্য চালক মাত্র ১ জন। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৩০টি গাড়ির জন্য চালক আছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে বর্জ্য পরিবহনের জন্য ১৪৩টি বড় গাড়ির জন্য চালক আছেন মাত্র ৩৪ জন। যেখানে প্রতি ৪ দশমিক ২টি গাড়ির জন্য মাত্র ১ জন চালক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গাড়ির সংকট তো রয়েছেই। পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গাড়ি চালাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মশককর্মী, এমনকি বাইরের লোকজন। এসব নিয়ে সিটি করপোরেশন মাথা ঘামায়নি আগে।’
উত্তর সিটি করপোরেশনের মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া এক চালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৩ বছর এই বর্জ্যের গাড়ি চালাচ্ছি, একটাই আশা চাকরিতে স্থায়ী হব। কিন্তু আজ পর্যন্ত হলো না। এ কারণেই হয়তো অনেক চালক গাড়ি চালাতে চান না। কম টাকা দিয়ে সহকারীদের দিয়েই তাঁরা চালিয়ে নেন।’
স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত গাড়িচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘(মেয়র) হানিফ স্যারের সময় থেকে সিটি করপোরেশনে চাকরি করি। আমি সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। আগে অফিসের গাড়ি চালাতাম। কয়েক বছর ধরে বর্জ্যের গাড়ি চালাচ্ছি। চাকরিজীবনে কখনোই সহকারীর হাতে গাড়ি তুলে দিইনি।’
এসব নিয়ে জানতে চাইলে রামপুরা এলাকার বর্জ্য পরিবহনের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যাতে না হয়, আমরা রামপুরায় প্রতি গাড়ির চালককে চেক করি। যদি কোনো কারণে কোনো চালক অসুস্থ থাকেন, তবে অনুমতিসাপেক্ষে অন্য কেউ গাড়ি চালাতে পারেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ গাড়ির কাগজপত্র নেই, ফিটনেসের অবস্থাও ভঙ্গুর। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে এসব ভালোভাবে তদারকি করা। কিন্তু সমসাময়িক কিছু ঘটনা প্রমাণ করে, এসব ক্ষেত্রে তাদের গাফিলতি রয়েছে। তার মধ্যে আবার পরিবহনের তুলনায় চালক অপ্রতুল, অনেকের তো চালক হিসেবে লাইসেন্সও নেই।
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘বর্জ্য পরিবহনের গাড়ির চালকদের কাগজপত্র আছে ঠিকই, তবে ভারী গাড়ি চালানো পেশাদার চালকের সংকট রয়েছে। তা ছাড়া, লক্কড়-ঝক্কড় ৮০ শতাংশ গাড়ি নিলামে ওঠানো হয়েছে।’
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চালকসংকট দেখে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে ৫০ জন ভারী গাড়িচালকের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ৩২ জনকে করা হয় চূড়ান্ত। কিন্তু বিআরটিএ থেকে যথাসময়ে লাইসেন্স না দেওয়ায় আমরা তখন মাত্র ১৯ জনকে নিয়োগ দিতে পেরেছিলাম।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বর্জ্য পরিবহনের চালক সরকারি গাড়ি চালাচ্ছে ভেবে অস্থির থাকেন। রাস্তায় পুলিশ তাঁদের ছাড় দেয়। এসব কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনকেই এসবের বিষয়ে সবার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রতি ৪টি গাড়ির বিপরীতে চালক আছেন মাত্র ১ জন। একদিকে চালকসংকট, অন্যদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত চালকদের অনেকেই নিজে না চালিয়ে গাড়ি তুলে দিচ্ছেন অন্য কারও হাতে। সম্প্রতি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনায় বিষয়গুলো আরও বেশি সামনে আসে। নথিপত্র ঘেঁটেও নানা সংকট ও অনিয়মের চিত্রই পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষের।
গত নভেম্বরে এক দিনের ব্যবধানে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের বর্জ্য পরিবহনের গাড়িচাপায় রাস্তায় দুজন প্রাণ হারান। এঁদের একজন , অন্যজন গণমাধ্যমকর্মী। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় মৃতের সংখ্যা ১২ জন। এর মধ্যে চলতি বছরেই মারা গেছেন ৫ জন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০৯টি গাড়ির চালক আছেন ১৩৭ জন। এর মধ্যে বর্জ্য পরিবহনের জন্য ৩৭৭টি বড় গাড়ির জন্য চালক আছেন মাত্র ৮৬ জন। যেখানে প্রতি ৪ দশমিক ৩টি গাড়ির জন্য চালক মাত্র ১ জন। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৩০টি গাড়ির জন্য চালক আছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে বর্জ্য পরিবহনের জন্য ১৪৩টি বড় গাড়ির জন্য চালক আছেন মাত্র ৩৪ জন। যেখানে প্রতি ৪ দশমিক ২টি গাড়ির জন্য মাত্র ১ জন চালক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গাড়ির সংকট তো রয়েছেই। পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গাড়ি চালাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, মশককর্মী, এমনকি বাইরের লোকজন। এসব নিয়ে সিটি করপোরেশন মাথা ঘামায়নি আগে।’
উত্তর সিটি করপোরেশনের মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া এক চালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৩ বছর এই বর্জ্যের গাড়ি চালাচ্ছি, একটাই আশা চাকরিতে স্থায়ী হব। কিন্তু আজ পর্যন্ত হলো না। এ কারণেই হয়তো অনেক চালক গাড়ি চালাতে চান না। কম টাকা দিয়ে সহকারীদের দিয়েই তাঁরা চালিয়ে নেন।’
স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত গাড়িচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘(মেয়র) হানিফ স্যারের সময় থেকে সিটি করপোরেশনে চাকরি করি। আমি সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। আগে অফিসের গাড়ি চালাতাম। কয়েক বছর ধরে বর্জ্যের গাড়ি চালাচ্ছি। চাকরিজীবনে কখনোই সহকারীর হাতে গাড়ি তুলে দিইনি।’
এসব নিয়ে জানতে চাইলে রামপুরা এলাকার বর্জ্য পরিবহনের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যাতে না হয়, আমরা রামপুরায় প্রতি গাড়ির চালককে চেক করি। যদি কোনো কারণে কোনো চালক অসুস্থ থাকেন, তবে অনুমতিসাপেক্ষে অন্য কেউ গাড়ি চালাতে পারেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ গাড়ির কাগজপত্র নেই, ফিটনেসের অবস্থাও ভঙ্গুর। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে এসব ভালোভাবে তদারকি করা। কিন্তু সমসাময়িক কিছু ঘটনা প্রমাণ করে, এসব ক্ষেত্রে তাদের গাফিলতি রয়েছে। তার মধ্যে আবার পরিবহনের তুলনায় চালক অপ্রতুল, অনেকের তো চালক হিসেবে লাইসেন্সও নেই।
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘বর্জ্য পরিবহনের গাড়ির চালকদের কাগজপত্র আছে ঠিকই, তবে ভারী গাড়ি চালানো পেশাদার চালকের সংকট রয়েছে। তা ছাড়া, লক্কড়-ঝক্কড় ৮০ শতাংশ গাড়ি নিলামে ওঠানো হয়েছে।’
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চালকসংকট দেখে নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে ৫০ জন ভারী গাড়িচালকের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ৩২ জনকে করা হয় চূড়ান্ত। কিন্তু বিআরটিএ থেকে যথাসময়ে লাইসেন্স না দেওয়ায় আমরা তখন মাত্র ১৯ জনকে নিয়োগ দিতে পেরেছিলাম।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বর্জ্য পরিবহনের চালক সরকারি গাড়ি চালাচ্ছে ভেবে অস্থির থাকেন। রাস্তায় পুলিশ তাঁদের ছাড় দেয়। এসব কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনকেই এসবের বিষয়ে সবার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে