সম্পাদকীয়
আশঙ্কা সত্য হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে কয়েক দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, কলকাতায় খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজ এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আবার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এমপি আনারের অনেক দুর্নামও ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সোনা কারবারের অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই জীবন দিতে হলো তাঁকে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা ও কলকাতায় পৃথক মামলা হয়েছে। নৃশংস এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। এমপি আনারকে কলকাতায় হত্যা করা হলেও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নে কলকাতার কারও জড়িত থাকার তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
দলীয় একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে পরিকল্পনা করে দেশের বাইরে নিয়ে হত্যা করার ঘটনাটি নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের নেতাদেরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এটাকে খুব সাধারণ ঘটনা বলে মনে করছেন না অনেকেই। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও সামনে আসছে। এর আগে দলীয় নেতা কিংবা সংসদ সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তা নয়। তবে আগে সাধারণত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কারণেই আওয়ামী লীগের নেতা ও এমপিদের খুন করেছে। কিন্তু এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগ এখনো কেউ করেননি।
সোনা চোরাচালানসহ অপরাধমূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে খুন হওয়া এই এমপির সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার কোনোটাই নতুন নয়। আরও ৪০ বছর আগে থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগ আছে তাঁর নামে। একসময় ওই অঞ্চলের চরমপন্থা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণও তাঁর হাতে ছিল বলে এলাকায় প্রচার আছে। তিনটি খুনসহ প্রায় দুই ডজন মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
প্রশ্ন হলো, এতসব অভিযোগ সত্ত্বেও এলাকায় তিনি জনপ্রিয় হলেন কীভাবে? আবার এই প্রশ্নও আসে যে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলই বা কীভাবে তাদের ছাতার নিচে তাঁকে নিরাপদ ঠাঁই দিয়েছে? আওয়ামী লীগ এখন আর যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনে মনোনয়ন কিংবা দলীয় পদ দেয় না বলে যে অভিযোগ শোনা যায়, তা কি তাহলে অসত্য নয়?
রাজনীতিতে আনারের উত্থানের কাহিনি অনেকটা সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো বলে কেউ কেউ বলছেন। যে পথে উত্থান, সে পথেই চিরবিদায়। কিন্তু বিষয়টিকে এতটা হালকাভাবে না দেখে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অধঃপাতের ধারার সঙ্গে মিলিয়ে দেখাই সমীচীন হবে বলে আমরা মনে করি।
কেউ অপরাধ করলে, অন্যায় করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হওয়াই বাঞ্ছনীয়। গুপ্তহত্যা কিংবা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমপি আনার সত্যি কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে যারা গোপনে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যার পথে হাঁটল, তারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
আশঙ্কা সত্য হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে কয়েক দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, কলকাতায় খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজ এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আবার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এমপি আনারের অনেক দুর্নামও ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সোনা কারবারের অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই জীবন দিতে হলো তাঁকে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা ও কলকাতায় পৃথক মামলা হয়েছে। নৃশংস এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। এমপি আনারকে কলকাতায় হত্যা করা হলেও হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নে কলকাতার কারও জড়িত থাকার তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
দলীয় একজন সংসদ সদস্যকে এভাবে পরিকল্পনা করে দেশের বাইরে নিয়ে হত্যা করার ঘটনাটি নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের নেতাদেরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এটাকে খুব সাধারণ ঘটনা বলে মনে করছেন না অনেকেই। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও সামনে আসছে। এর আগে দলীয় নেতা কিংবা সংসদ সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তা নয়। তবে আগে সাধারণত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কারণেই আওয়ামী লীগের নেতা ও এমপিদের খুন করেছে। কিন্তু এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগ এখনো কেউ করেননি।
সোনা চোরাচালানসহ অপরাধমূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে খুন হওয়া এই এমপির সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার কোনোটাই নতুন নয়। আরও ৪০ বছর আগে থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগ আছে তাঁর নামে। একসময় ওই অঞ্চলের চরমপন্থা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণও তাঁর হাতে ছিল বলে এলাকায় প্রচার আছে। তিনটি খুনসহ প্রায় দুই ডজন মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
প্রশ্ন হলো, এতসব অভিযোগ সত্ত্বেও এলাকায় তিনি জনপ্রিয় হলেন কীভাবে? আবার এই প্রশ্নও আসে যে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলই বা কীভাবে তাদের ছাতার নিচে তাঁকে নিরাপদ ঠাঁই দিয়েছে? আওয়ামী লীগ এখন আর যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনে মনোনয়ন কিংবা দলীয় পদ দেয় না বলে যে অভিযোগ শোনা যায়, তা কি তাহলে অসত্য নয়?
রাজনীতিতে আনারের উত্থানের কাহিনি অনেকটা সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো বলে কেউ কেউ বলছেন। যে পথে উত্থান, সে পথেই চিরবিদায়। কিন্তু বিষয়টিকে এতটা হালকাভাবে না দেখে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অধঃপাতের ধারার সঙ্গে মিলিয়ে দেখাই সমীচীন হবে বলে আমরা মনে করি।
কেউ অপরাধ করলে, অন্যায় করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হওয়াই বাঞ্ছনীয়। গুপ্তহত্যা কিংবা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমপি আনার সত্যি কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে যারা গোপনে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যার পথে হাঁটল, তারা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে