নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে সম্প্রসারণ করার কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সার্ভিস লেনসহ এই সড়ক হবে ২০৯ কিলোমিটার। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৭ হাজার কোটি টাকার এই মহাসড়ক সম্প্রসারণকাজের জন্য এখনো জমির বন্দোবস্ত হয়নি। বেশি সমস্যা হচ্ছে সরকারি জমি পেতে। সময়মতো জমি না পেলে প্রকল্প শেষ হতেও দেরি হবে, এতে খরচও বেড়ে যাবে।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক রুকুনুজ্জামান বলেন, জমি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তেমন কোনো কাজ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমি না পাওয়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিটিসিএল, ওয়াসা ও পৌরসভা তাদের সেবাগুলোও সরাতে পারছে না।
ঢাকা-সিলেট বর্তমানে দুই লেনের সড়ক। যানবাহনের চাপ এই মহাসড়ক সামলাতে পারছে না। এতে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগে যাচ্ছে। এ রুটের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এ কারণে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক বৈঠকে এই সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেটে এক জনসভায় শেখ হাসিনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, বিমসটেক করিডর, সার্ক করিডর আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তা ছাড়া, এ মহাসড়কের কাজ শেষ হলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রকল্পের নথিপত্রে দেখা গেছে, পুরো প্রকল্পটির ছয়টি প্যাকেজে ও ১৩ লটে বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় ৬৭ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। যেটা কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর বিসিক হয়ে ভৈরব বাজার পর্যন্ত যাবে। প্রথম প্যাকেজের কাজের মধ্যে নরসিংদী এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস সরাতে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) যৌথ অর্থায়নে করা হচ্ছে। মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প শেষ হবে ২০২৬ সালে। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, কালভার্ট ৩০৫ টি, রেলওয়ে ওভারপাস ৮ টি, ফুটওভার ব্রিজ ২৬টি এবং ৩৭টি ইউটার্ন রয়েছে। ২০৯ কিলোমিটার মহাসড়কের রুট যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে। এর চার লেন হবে ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং সার্ভিস লেন হবে ৫ দশমিক ৫ মিটার।
জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প নেওয়ার আগে-পরে নথি চালাচালিতে কালক্ষেপণ হয়। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ বেড়ে যায়। যেকোনো প্রকল্পের আগে এসব দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে সম্প্রসারণ করার কাজের ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সার্ভিস লেনসহ এই সড়ক হবে ২০৯ কিলোমিটার। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৭ হাজার কোটি টাকার এই মহাসড়ক সম্প্রসারণকাজের জন্য এখনো জমির বন্দোবস্ত হয়নি। বেশি সমস্যা হচ্ছে সরকারি জমি পেতে। সময়মতো জমি না পেলে প্রকল্প শেষ হতেও দেরি হবে, এতে খরচও বেড়ে যাবে।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক রুকুনুজ্জামান বলেন, জমি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এবং ইউটিলিটি স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তেমন কোনো কাজ হয়নি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমি না পাওয়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিটিসিএল, ওয়াসা ও পৌরসভা তাদের সেবাগুলোও সরাতে পারছে না।
ঢাকা-সিলেট বর্তমানে দুই লেনের সড়ক। যানবাহনের চাপ এই মহাসড়ক সামলাতে পারছে না। এতে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগে যাচ্ছে। এ রুটের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এ কারণে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক বৈঠকে এই সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেটে এক জনসভায় শেখ হাসিনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, বিমসটেক করিডর, সার্ক করিডর আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তা ছাড়া, এ মহাসড়কের কাজ শেষ হলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রকল্পের নথিপত্রে দেখা গেছে, পুরো প্রকল্পটির ছয়টি প্যাকেজে ও ১৩ লটে বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় ৬৭ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। যেটা কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর বিসিক হয়ে ভৈরব বাজার পর্যন্ত যাবে। প্রথম প্যাকেজের কাজের মধ্যে নরসিংদী এলাকায় জমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস সরাতে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) যৌথ অর্থায়নে করা হচ্ছে। মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প শেষ হবে ২০২৬ সালে। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, কালভার্ট ৩০৫ টি, রেলওয়ে ওভারপাস ৮ টি, ফুটওভার ব্রিজ ২৬টি এবং ৩৭টি ইউটার্ন রয়েছে। ২০৯ কিলোমিটার মহাসড়কের রুট যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে। এর চার লেন হবে ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং সার্ভিস লেন হবে ৫ দশমিক ৫ মিটার।
জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্প নেওয়ার আগে-পরে নথি চালাচালিতে কালক্ষেপণ হয়। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ বেড়ে যায়। যেকোনো প্রকল্পের আগে এসব দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে