মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মাঠে মাঠে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) কাটার মহোৎসব চলছে। নির্বিঘ্নে ফসলি জমির ওপরের উর্বর অংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়। উপজেলার আট ইউনিয়নের বহু কৃষক টাকার জন্য মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ট্রলি ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভরে ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এসব যানবাহন বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল করায় সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ৩৬টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে ভাটায় ইট তৈরির জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন হয়। এ সময় মাটি ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন মাঠের টপ সয়েল কেনা শুরু করেন। আবাদি জমির মাটি থেকে ভালো মানের ইট তৈরি হয় বলেই মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে টপ সয়েল কিনে নেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার মহাযজ্ঞ। কৃষি জমি সমান করার নামে নামে অতি স্বল্পমূল্যে মাটি ব্যবসায়ীরা টপ সয়েল কিনে নেন। পরে তাঁরা এ মাটি ভাটা মালিকদের কাছে চড়াদামে বিক্রি করেন।
রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক আজম আলী বলেন, ‘আমার খেতের জমি উঁচু নিচু। খেত সমতল করতে জমির মাটি ভাটাই বিক্রি করে দিয়েছি। এ টাকা দিয়ে সার-ওষুধ কিনে জমিতে দিলে মাটি আবার উর্বর হয়ে যাবে।’
কৃষক অলিয়ার রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মাটি ক্রেতারা আসেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। অসচ্ছল কৃষি পরিবারগুলোর জন্য এ মাটি বিক্রির টাকা কাজে লাগে। তবে এর কারণে জমিতে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায়।’
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, জমির ওপরের ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটিকে সাধারণত উর্বর অংশ বা টপ সয়েল বলা হয়। মাটির এ অংশেই থাকে মূল জৈবশক্তি। এক কথাই টপ সয়েল হলো জমির প্রাণ। কৃষকেরা জমির টপ সয়েল ইটভাটায় বিক্রি করে নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছেন। এ মাটি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞতার কারণে তাঁরা জমির উর্বরাশক্তিও বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিশাল ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির। কৃষিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং নিজেদের অজান্তেই কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস সোবহান বলেন, ‘কৃষিজমির টপ সয়েল বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে থাকা জিপসাম বা দস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া মাটিতে থাকা জীবাণু এবং অণুজীবের কার্যাবলি সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে দিনদিন ফসলি জমির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। এ মাটি কেটে নেওয়া হলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর ওই জমিতে ফসলের ভালো ফলন আশা করা যাবে না। ফলে ভবিষ্যতে এ উপজেলায় খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা থাকছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানদ পাল বলেন, ‘টপ সয়েল কাটার খবর কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাটির উর্বর অংশ বিক্রি না করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে।’
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মাঠে মাঠে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) কাটার মহোৎসব চলছে। নির্বিঘ্নে ফসলি জমির ওপরের উর্বর অংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়। উপজেলার আট ইউনিয়নের বহু কৃষক টাকার জন্য মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ট্রলি ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভরে ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এসব যানবাহন বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল করায় সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ৩৬টি ইটভাটা রয়েছে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে ভাটায় ইট তৈরির জন্য প্রচুর মাটির প্রয়োজন হয়। এ সময় মাটি ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন মাঠের টপ সয়েল কেনা শুরু করেন। আবাদি জমির মাটি থেকে ভালো মানের ইট তৈরি হয় বলেই মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে টপ সয়েল কিনে নেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার মহাযজ্ঞ। কৃষি জমি সমান করার নামে নামে অতি স্বল্পমূল্যে মাটি ব্যবসায়ীরা টপ সয়েল কিনে নেন। পরে তাঁরা এ মাটি ভাটা মালিকদের কাছে চড়াদামে বিক্রি করেন।
রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক আজম আলী বলেন, ‘আমার খেতের জমি উঁচু নিচু। খেত সমতল করতে জমির মাটি ভাটাই বিক্রি করে দিয়েছি। এ টাকা দিয়ে সার-ওষুধ কিনে জমিতে দিলে মাটি আবার উর্বর হয়ে যাবে।’
কৃষক অলিয়ার রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে মাটি ক্রেতারা আসেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখান। অসচ্ছল কৃষি পরিবারগুলোর জন্য এ মাটি বিক্রির টাকা কাজে লাগে। তবে এর কারণে জমিতে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায়।’
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, জমির ওপরের ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটিকে সাধারণত উর্বর অংশ বা টপ সয়েল বলা হয়। মাটির এ অংশেই থাকে মূল জৈবশক্তি। এক কথাই টপ সয়েল হলো জমির প্রাণ। কৃষকেরা জমির টপ সয়েল ইটভাটায় বিক্রি করে নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছেন। এ মাটি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞতার কারণে তাঁরা জমির উর্বরাশক্তিও বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিশাল ক্ষতি হচ্ছে ফসলি জমির। কৃষিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং নিজেদের অজান্তেই কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস সোবহান বলেন, ‘কৃষিজমির টপ সয়েল বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে থাকা জিপসাম বা দস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া মাটিতে থাকা জীবাণু এবং অণুজীবের কার্যাবলি সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে দিনদিন ফসলি জমির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। এ মাটি কেটে নেওয়া হলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর ওই জমিতে ফসলের ভালো ফলন আশা করা যাবে না। ফলে ভবিষ্যতে এ উপজেলায় খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা থাকছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানদ পাল বলেন, ‘টপ সয়েল কাটার খবর কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাটির উর্বর অংশ বিক্রি না করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে