রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে পড়েছে রাজশাহী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে সংক্রমণের হার অনুযায়ী রাজশাহী আছে উচ্চঝুঁকিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও রাঙামাটি এখন রয়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে। মধ্যম ঝুঁকিতে আছে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, যশোর, নাটোর ও লালমনিরহাট। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৫ থেকে ৯ শতাংশ হলে সেটি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর ১০ থেকে ১৯ শতাংশ সংক্রমণের হার হলে সেটিকে ধরা হচ্ছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ মঙ্গলবার রাজশাহী জেলার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের দিন সোমবার ১৬৭ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২৩ জন। সেদিন সংক্রমণের হার হয় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শেষ দুই দিনের হিসাবে রাজশাহী পড়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এর আগে ৯ জানুয়ারি ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, ৮ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, ৭ জানুয়ারি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ, ৬ জানুয়ারি ১৩ দশমিক
৭৩ শতাংশ, ৫ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৪ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বছরের
প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ২ দশমিক ৮২ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়।
গত বছরের জুন-জুলাইয়ে করোনার ডেলটা ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এ জেলায় নমুনার পরীক্ষার বিপরীতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়। তারপর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে এলেও এখন আবার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনীহা দেখা যাচ্ছে মাস্ক ব্যবহারে।
রাজশাহীর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগে এখনো করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়নি। তবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।
রাজশাহী সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিহ্নিত করেছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে আবার বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে করোনা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে।’ করোনা মোকাবিলায় তিনি সবাইকে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণের সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছিল। তখন করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৪৫৪ টি। সংক্রমণ কমে আসার পর ওয়ার্ডগুলো আবার ছেড়ে দেওয়া হয় সাধারণ রোগীদের জন্য।
এখন হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ১০৪ টি। এর মধ্যে ২০টি শয্যা আছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। আর ২০টি শয্যা কেবিনে। বাকিগুলো সাধারণ ওয়ার্ড।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মোট রোগী ছিলেন ২৭ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে নাটোরের দুই রোগী মারা গেছেন। দুজনের বয়সই ষাটের বেশি। একজন ছিলেন পুরুষ, অপরজন নারী।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও আমাদের প্রস্তুতি আছে। আগের সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে যখন করোনা ইউনিট করা হয়, তখন সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইন করা হয়েছে। লাইনগুলো এখনো আছে। কাজেই রোগী বাড়লে আমরা আবার ওয়ার্ডগুলোকে ব্যবহার করতে পারব। তবে সে ক্ষেত্রে অন্য রোগীদের সেবায় সমস্যা হবে। তাই আলাদা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কথা ভাবতে হবে।’
রাজশাহীতে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে পড়েছে রাজশাহী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে সংক্রমণের হার অনুযায়ী রাজশাহী আছে উচ্চঝুঁকিতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও রাঙামাটি এখন রয়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে। মধ্যম ঝুঁকিতে আছে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, যশোর, নাটোর ও লালমনিরহাট। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ৫ থেকে ৯ শতাংশ হলে সেটি মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর ১০ থেকে ১৯ শতাংশ সংক্রমণের হার হলে সেটিকে ধরা হচ্ছে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ মঙ্গলবার রাজশাহী জেলার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের দিন সোমবার ১৬৭ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২৩ জন। সেদিন সংক্রমণের হার হয় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শেষ দুই দিনের হিসাবে রাজশাহী পড়েছে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এর আগে ৯ জানুয়ারি ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, ৮ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, ৭ জানুয়ারি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ, ৬ জানুয়ারি ১৩ দশমিক
৭৩ শতাংশ, ৫ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ৪ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বছরের
প্রথম দিন ১ জানুয়ারি ২ দশমিক ৮২ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়।
গত বছরের জুন-জুলাইয়ে করোনার ডেলটা ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এ জেলায় নমুনার পরীক্ষার বিপরীতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়। তারপর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে এলেও এখন আবার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলায় ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনীহা দেখা যাচ্ছে মাস্ক ব্যবহারে।
রাজশাহীর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগে এখনো করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়নি। তবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।
রাজশাহী সংক্রমণের মধ্যম ঝুঁকিতে আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিহ্নিত করেছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে আবার বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে করোনা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে।’ করোনা মোকাবিলায় তিনি সবাইকে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণের সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছিল। তখন করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৪৫৪ টি। সংক্রমণ কমে আসার পর ওয়ার্ডগুলো আবার ছেড়ে দেওয়া হয় সাধারণ রোগীদের জন্য।
এখন হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ১০৪ টি। এর মধ্যে ২০টি শয্যা আছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। আর ২০টি শয্যা কেবিনে। বাকিগুলো সাধারণ ওয়ার্ড।
গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মোট রোগী ছিলেন ২৭ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে নাটোরের দুই রোগী মারা গেছেন। দুজনের বয়সই ষাটের বেশি। একজন ছিলেন পুরুষ, অপরজন নারী।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও আমাদের প্রস্তুতি আছে। আগের সাধারণ ওয়ার্ডগুলোকে যখন করোনা ইউনিট করা হয়, তখন সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইন করা হয়েছে। লাইনগুলো এখনো আছে। কাজেই রোগী বাড়লে আমরা আবার ওয়ার্ডগুলোকে ব্যবহার করতে পারব। তবে সে ক্ষেত্রে অন্য রোগীদের সেবায় সমস্যা হবে। তাই আলাদা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কথা ভাবতে হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে