তাপস মজুমদার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের অর্জনের কোনো তুলনা হয় না। অর্থনৈতিক অর্জনের কথা আমরা আগেই জানি। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রজ্ঞার পরিচয় আরও একবার পাওয়া গেল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এমন যদি হয় মানুষ আবার কখনো দুঃসময়ে পতিত হলো, আর্থিক-রাজনৈতিক নিষ্পেষণের শিকার হলো, তাহলে সেই প্রবল ক্ষুধা ও যন্ত্রণার কালে কোনো একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে অনেক বড় উন্নয়নের সড়কপথে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে কেউ কি প্রশস্তি গাইবেন? না, গাইবেন না। অতএব উন্নয়নের ভিত্তি শক্ত হওয়া দরকার। কী করে তা সম্ভব, সে কথা সচেতন মানুষের প্রায় সবারই জানা।
দেখলাম, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে নির্বাচন বয়কট করে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সেসব দলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করেছে। যদিও জোটে শরিক দলের কী অর্থ, সেটা বোঝা একটু মুশকিল হয়েছে। কিন্তু যাক সে কথা।
আমরা যে আধুনিক রাষ্ট্রে উত্তরণ ঘটাব তার কিছু নমুনা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে দেখেছি। তবে তা সত্ত্বেও বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি ইতিবাচক দিকে এগিয়েছে? রাজনীতি তো সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এই প্রশ্ন অধিকতর গুরুত্ব দাবি করতে পারে। এ দেশে এখন রাজনীতিক তৈরির কোনো প্রক্রিয়া নেই। সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও আমলা, ব্যবসায়ী, ক্রিকেট খেলোয়াড়, গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রীর নির্বাচনে মনোনয়নের আধিক্য সেটাই প্রমাণ করে। ৯ জানুয়ারির আজকের পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সংসদ সদস্য যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৯৭ জন। পক্ষান্তরে রাজনীতিবিদ আছেন ২৬ জন। এ প্রসঙ্গে আমাদের ছাত্রজীবনে দেখা রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের পাঠচক্রের কথা খুব মনে পড়ে। যেসব ছাত্র রাজনীতি করতেন, বিশেষ করে বাম রাজনীতি, তাঁদের সঙ্গে কথা বললে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যাবে—এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের ছিল। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন। জ্ঞান দিয়ে মানুষের মনের অন্ধকার দিকটি আলোকিত করার আয়োজন খুবই সীমিত।
সমাজে মানুষের পরস্পরকে একত্র করার যে প্রক্রিয়াটি আগে আমরা দেখেছি, সেগুলো সব ভেঙে গেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন নেই, যাত্রা-নাটক নেই, ক্লাব নেই, খেলা নেই, পাঠাগার নেই, সাঁতার নেই, নানা বিষয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা নেই। ওই সব সংগঠনের মাধ্যমেই মানুষ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে, দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং সহনশীল আচরণ শিখতে পারে। এখন দেখি সামাজিক সংগঠনগুলো যা-ই বা আছে, তা সব দলভিত্তিক আচরণ করে। ফলে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসার ঘাটতি দেখা দেয় ব্যাপকভাবে। এখান থেকে বেরিয়ে না এলে অন্ধকার ঘোচার কোনো সুযোগ নেই।
দেখতে পাই কোনো কোনো মানুষ ভয়ে আছে। কোনো কোনো মানুষ আছে ঘৃণায়। যে ব্যবস্থা জনগণের সার্বিক মুক্তি দিতে পারে না, সে ব্যবস্থা কাম্য নয়।
সমাজে একজন অপরজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কোনো মানুষকে তৃপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে না। ‘বড়’ হতে চাই না, ‘বড়লোক’ হতে চাই এবং আরও চাই। আরও চাই। সঙ্গে রয়েছে হিংসা ও পরশ্রীকাতরতা। এটা আমরা দেখতে চাই না। এতে সর্বক্ষণ অশান্তি ঘিরে থাকে। সবাইকে নিয়ে চলাই তো সুস্থতার লক্ষণ। বঙ্গবন্ধুর কথা যে আমরা সর্বক্ষণ উচ্চারণ করছি তাঁর রাজনীতির বৈশিষ্ট্য তো এ-ই ছিল।
আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলি, সেখানে নির্বাচনকেই একমাত্র উপাদান হিসেবে দেখি। এত দীর্ঘ সময় যে ক্ষমতার বাইরে আছে বিএনপি—নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। দু-একবার কথা বললেও সে বিষয়টি প্রধান ছিল না। অথচ জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কত দাবিই তো করার ছিল! কিন্তু তাদের প্রায় সব দাবিই ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে না, যতক্ষণ না সিস্টেমে মৌলিক পরিবর্তন হচ্ছে।
আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে, অর্থ পাচার রয়ে গেছে, ঘুষ-দুর্নীতি রয়ে গেছে, খুন-ধর্ষণ রয়ে গেছে, বেকার মানুষ রয়ে গেছে, যুক্তিবাদী ও জ্ঞানী মানুষের অভাব রয়ে গেছে (বরং তুলনায় বেড়েছে), উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্তিতে সরকারি মনোনয়ন পদ্ধতি রয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়ে গেছে, মাদক চোরাচালান ও তার ব্যবহার রয়ে গেছে...। তালিকা আরও দীর্ঘ করা যায়। এগুলো এবার চিরতরে বন্ধ হোক।
দেশপ্রেমিক নাগরিক কই! সেটা তৈরির প্রক্রিয়াই বা কই! এতসব নেই নেই-এর মধ্যেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে লতিফ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সুমনসহ অনেকে জিতেছেন যাঁরা রাজনীতির মূল স্রোতের বাইরের। পাশাপাশি আরও বড় ঘটনা যে স্বজনপ্রীতি, দলীয় কোন্দল, দুর্নীতি, অনিয়ম, নেতা-কর্মী নিপীড়ন ইত্যাদি কারণে অনেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা নৌকা প্রতীক পেয়েও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। পরিষ্কার বোঝা যায় অবাধ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ বেশির ভাগ সময়ই ভালো সিদ্ধান্ত নেয়। এটাই কাম্য।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিককালের বক্তব্যের মধ্যে দুটো কথা খুব খেয়াল করেছি। একটি শিক্ষাকে তিনি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছেন। আরেকটি হলো অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এবার আমরা ভীষণভাবে আশান্বিত হতে চাই।
অপেক্ষায় থাকব এমন রাষ্ট্র হোক, যেখানে মানুষ স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। আত্মকেন্দ্রিকতা, ব্যক্তিগত লাভালাভ এগুলো বড় হয়ে দেখা দেবে না। সমাজে আর্থিক বৈষম্য হ্রাস পাবে। অন্যায্য প্রতিযোগিতায় শামিল না হয়ে সব মানুষ যার যার স্থানে সন্তুষ্ট থাকবে। একজন মানুষও হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করবে না।
দুর্নীতি দমন অধিদপ্তরসহ সাংবিধানিক সংগঠনগুলো যথাযথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে নিঃশর্ত সমর্থন পাবে। প্রধানত শিক্ষাব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন এনে জ্ঞান ও নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল সুনাগরিক তৈরি করার মাধ্যমে এ রকম একটি অবস্থা তৈরি করা সম্ভব, যা মানুষকে তার যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
তাপস মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কলামিস্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের অর্জনের কোনো তুলনা হয় না। অর্থনৈতিক অর্জনের কথা আমরা আগেই জানি। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রজ্ঞার পরিচয় আরও একবার পাওয়া গেল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এমন যদি হয় মানুষ আবার কখনো দুঃসময়ে পতিত হলো, আর্থিক-রাজনৈতিক নিষ্পেষণের শিকার হলো, তাহলে সেই প্রবল ক্ষুধা ও যন্ত্রণার কালে কোনো একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে অনেক বড় উন্নয়নের সড়কপথে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে কেউ কি প্রশস্তি গাইবেন? না, গাইবেন না। অতএব উন্নয়নের ভিত্তি শক্ত হওয়া দরকার। কী করে তা সম্ভব, সে কথা সচেতন মানুষের প্রায় সবারই জানা।
দেখলাম, বিদেশিদের ওপর ভরসা করে নির্বাচন বয়কট করে অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সেসব দলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করেছে। যদিও জোটে শরিক দলের কী অর্থ, সেটা বোঝা একটু মুশকিল হয়েছে। কিন্তু যাক সে কথা।
আমরা যে আধুনিক রাষ্ট্রে উত্তরণ ঘটাব তার কিছু নমুনা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে দেখেছি। তবে তা সত্ত্বেও বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি ইতিবাচক দিকে এগিয়েছে? রাজনীতি তো সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এই প্রশ্ন অধিকতর গুরুত্ব দাবি করতে পারে। এ দেশে এখন রাজনীতিক তৈরির কোনো প্রক্রিয়া নেই। সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও আমলা, ব্যবসায়ী, ক্রিকেট খেলোয়াড়, গায়ক-গায়িকা, অভিনেতা-অভিনেত্রীর নির্বাচনে মনোনয়নের আধিক্য সেটাই প্রমাণ করে। ৯ জানুয়ারির আজকের পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সংসদ সদস্য যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৯৭ জন। পক্ষান্তরে রাজনীতিবিদ আছেন ২৬ জন। এ প্রসঙ্গে আমাদের ছাত্রজীবনে দেখা রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের পাঠচক্রের কথা খুব মনে পড়ে। যেসব ছাত্র রাজনীতি করতেন, বিশেষ করে বাম রাজনীতি, তাঁদের সঙ্গে কথা বললে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যাবে—এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের ছিল। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন। জ্ঞান দিয়ে মানুষের মনের অন্ধকার দিকটি আলোকিত করার আয়োজন খুবই সীমিত।
সমাজে মানুষের পরস্পরকে একত্র করার যে প্রক্রিয়াটি আগে আমরা দেখেছি, সেগুলো সব ভেঙে গেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন নেই, যাত্রা-নাটক নেই, ক্লাব নেই, খেলা নেই, পাঠাগার নেই, সাঁতার নেই, নানা বিষয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা নেই। ওই সব সংগঠনের মাধ্যমেই মানুষ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে, দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং সহনশীল আচরণ শিখতে পারে। এখন দেখি সামাজিক সংগঠনগুলো যা-ই বা আছে, তা সব দলভিত্তিক আচরণ করে। ফলে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসার ঘাটতি দেখা দেয় ব্যাপকভাবে। এখান থেকে বেরিয়ে না এলে অন্ধকার ঘোচার কোনো সুযোগ নেই।
দেখতে পাই কোনো কোনো মানুষ ভয়ে আছে। কোনো কোনো মানুষ আছে ঘৃণায়। যে ব্যবস্থা জনগণের সার্বিক মুক্তি দিতে পারে না, সে ব্যবস্থা কাম্য নয়।
সমাজে একজন অপরজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, কোনো মানুষকে তৃপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে না। ‘বড়’ হতে চাই না, ‘বড়লোক’ হতে চাই এবং আরও চাই। আরও চাই। সঙ্গে রয়েছে হিংসা ও পরশ্রীকাতরতা। এটা আমরা দেখতে চাই না। এতে সর্বক্ষণ অশান্তি ঘিরে থাকে। সবাইকে নিয়ে চলাই তো সুস্থতার লক্ষণ। বঙ্গবন্ধুর কথা যে আমরা সর্বক্ষণ উচ্চারণ করছি তাঁর রাজনীতির বৈশিষ্ট্য তো এ-ই ছিল।
আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলি, সেখানে নির্বাচনকেই একমাত্র উপাদান হিসেবে দেখি। এত দীর্ঘ সময় যে ক্ষমতার বাইরে আছে বিএনপি—নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। দু-একবার কথা বললেও সে বিষয়টি প্রধান ছিল না। অথচ জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কত দাবিই তো করার ছিল! কিন্তু তাদের প্রায় সব দাবিই ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে না, যতক্ষণ না সিস্টেমে মৌলিক পরিবর্তন হচ্ছে।
আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে, অর্থ পাচার রয়ে গেছে, ঘুষ-দুর্নীতি রয়ে গেছে, খুন-ধর্ষণ রয়ে গেছে, বেকার মানুষ রয়ে গেছে, যুক্তিবাদী ও জ্ঞানী মানুষের অভাব রয়ে গেছে (বরং তুলনায় বেড়েছে), উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্তিতে সরকারি মনোনয়ন পদ্ধতি রয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়ে গেছে, মাদক চোরাচালান ও তার ব্যবহার রয়ে গেছে...। তালিকা আরও দীর্ঘ করা যায়। এগুলো এবার চিরতরে বন্ধ হোক।
দেশপ্রেমিক নাগরিক কই! সেটা তৈরির প্রক্রিয়াই বা কই! এতসব নেই নেই-এর মধ্যেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে লতিফ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সুমনসহ অনেকে জিতেছেন যাঁরা রাজনীতির মূল স্রোতের বাইরের। পাশাপাশি আরও বড় ঘটনা যে স্বজনপ্রীতি, দলীয় কোন্দল, দুর্নীতি, অনিয়ম, নেতা-কর্মী নিপীড়ন ইত্যাদি কারণে অনেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা নৌকা প্রতীক পেয়েও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। পরিষ্কার বোঝা যায় অবাধ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ বেশির ভাগ সময়ই ভালো সিদ্ধান্ত নেয়। এটাই কাম্য।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিককালের বক্তব্যের মধ্যে দুটো কথা খুব খেয়াল করেছি। একটি শিক্ষাকে তিনি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছেন। আরেকটি হলো অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এবার আমরা ভীষণভাবে আশান্বিত হতে চাই।
অপেক্ষায় থাকব এমন রাষ্ট্র হোক, যেখানে মানুষ স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। আত্মকেন্দ্রিকতা, ব্যক্তিগত লাভালাভ এগুলো বড় হয়ে দেখা দেবে না। সমাজে আর্থিক বৈষম্য হ্রাস পাবে। অন্যায্য প্রতিযোগিতায় শামিল না হয়ে সব মানুষ যার যার স্থানে সন্তুষ্ট থাকবে। একজন মানুষও হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করবে না।
দুর্নীতি দমন অধিদপ্তরসহ সাংবিধানিক সংগঠনগুলো যথাযথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে নিঃশর্ত সমর্থন পাবে। প্রধানত শিক্ষাব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন এনে জ্ঞান ও নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল সুনাগরিক তৈরি করার মাধ্যমে এ রকম একটি অবস্থা তৈরি করা সম্ভব, যা মানুষকে তার যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
তাপস মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কলামিস্ট
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে