রংপুর প্রতিনিধি
টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল পড়াশোনা। পঞ্চম শ্রেণি পাস করা ছেলেটি সিদ্ধান্ত নিল নিজেই টাকা জোগাড় করবে। কিন্তু এত ছোট বয়সে তাকে কাজ দিতে চাচ্ছিলেন না কেউ। শেষে এক প্রতিবেশীকে অনুরোধ করে গৃহস্থালির কাজ পেল। দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা। টানা ১০ দিন কাজ করে ৫০০ টাকা জমিয়ে স্কুলে গিয়ে ভর্তি হলো ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
বলছিলাম রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিরুল ইসলাম মুকুলের কথা। দারিদ্র্যের জাঁতাকল বারবার পিষ্ট করার চেষ্টা করলেও হার মানেননি তিনি। হাঁটছেন স্বপ্নের পথে। কবিতার জগতে মগ্ন থাকা মুকুল ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রিয় মুখ।
মুকুলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাদগাঁও গ্রামে। তিনি ১০ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেই তাঁর পড়াশোনা থেমে যেতে বসেছিল। বড় ভাইয়েরা বিয়ের পর নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাবাও বয়সের ভারে খুব একটা কাজ করতে পারতেন না। কিন্তু স্বপ্নবাজ মুকুল নিজের দিনমজুরির টাকায় পড়াশোনায় থেকে যান।
মুকুলকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। অভাব অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের বাসায় কাজ করে তিনি ২০১৩ সালে এসএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে।
সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুকুলের পরিশ্রম আরও বাড়তে থাকে। মা-বাবার দেখাশোনা আর লেখাপড়ার খরচ, সব ব্যয়ের উৎস মুকুল নিজেই। শত পরিশ্রমের মধ্যে ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়লে ছয় মাসের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে যান মা-বাবার কাছে। সিদ্ধান্ত নেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে স্নাতকে ভর্তি হয়ে পরিবারের কাছেই থাকবেন।
পরের বছর বড় ভাইয়ের পরামর্শে মায়ের ২৩টি হাঁস বিক্রি করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে। কিন্তু অসুস্থ হয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয় তাঁকে। একসময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পড়াশোনা করবেন না। তবে মায়ের পরামর্শে পরের বছর থেকে আবার নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন মুকুল।
ক্যাম্পাসে এসে মুকুলের মধ্যে সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। এরপর সেগুলোকে বই আকারে প্রকাশের আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অর্থ সংকট। পরে সমাধান বের করেন নিজেই। টিউশন করে চলতেন। দুটি টিউশনের একটির টাকা জমাতে শুরু করলেন বই প্রকাশের জন্য। আর অন্যটির টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শান্ত মেঘে লুকিয়ে তুই’ এবং উপন্যাস ‘মৃত্যুর পাণ্ডুলিপি’। আগামী বইমেলায় আসবে গল্পগ্রন্থ ‘শয়তান গ্রহ’।
টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল পড়াশোনা। পঞ্চম শ্রেণি পাস করা ছেলেটি সিদ্ধান্ত নিল নিজেই টাকা জোগাড় করবে। কিন্তু এত ছোট বয়সে তাকে কাজ দিতে চাচ্ছিলেন না কেউ। শেষে এক প্রতিবেশীকে অনুরোধ করে গৃহস্থালির কাজ পেল। দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা। টানা ১০ দিন কাজ করে ৫০০ টাকা জমিয়ে স্কুলে গিয়ে ভর্তি হলো ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
বলছিলাম রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনিরুল ইসলাম মুকুলের কথা। দারিদ্র্যের জাঁতাকল বারবার পিষ্ট করার চেষ্টা করলেও হার মানেননি তিনি। হাঁটছেন স্বপ্নের পথে। কবিতার জগতে মগ্ন থাকা মুকুল ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রিয় মুখ।
মুকুলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাদগাঁও গ্রামে। তিনি ১০ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করেই তাঁর পড়াশোনা থেমে যেতে বসেছিল। বড় ভাইয়েরা বিয়ের পর নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাবাও বয়সের ভারে খুব একটা কাজ করতে পারতেন না। কিন্তু স্বপ্নবাজ মুকুল নিজের দিনমজুরির টাকায় পড়াশোনায় থেকে যান।
মুকুলকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। অভাব অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের বাসায় কাজ করে তিনি ২০১৩ সালে এসএসসি পাসের পর ভর্তি হন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে।
সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুকুলের পরিশ্রম আরও বাড়তে থাকে। মা-বাবার দেখাশোনা আর লেখাপড়ার খরচ, সব ব্যয়ের উৎস মুকুল নিজেই। শত পরিশ্রমের মধ্যে ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়লে ছয় মাসের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে যান মা-বাবার কাছে। সিদ্ধান্ত নেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে স্নাতকে ভর্তি হয়ে পরিবারের কাছেই থাকবেন।
পরের বছর বড় ভাইয়ের পরামর্শে মায়ের ২৩টি হাঁস বিক্রি করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে। কিন্তু অসুস্থ হয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয় তাঁকে। একসময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পড়াশোনা করবেন না। তবে মায়ের পরামর্শে পরের বছর থেকে আবার নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন মুকুল।
ক্যাম্পাসে এসে মুকুলের মধ্যে সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। এরপর সেগুলোকে বই আকারে প্রকাশের আগ্রহ জন্মায়। কিন্তু অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অর্থ সংকট। পরে সমাধান বের করেন নিজেই। টিউশন করে চলতেন। দুটি টিউশনের একটির টাকা জমাতে শুরু করলেন বই প্রকাশের জন্য। আর অন্যটির টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শান্ত মেঘে লুকিয়ে তুই’ এবং উপন্যাস ‘মৃত্যুর পাণ্ডুলিপি’। আগামী বইমেলায় আসবে গল্পগ্রন্থ ‘শয়তান গ্রহ’।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে