প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা, নদীতে বেশি স্রোত, পদ্মায় ডুবোচর—এসব নানা কারণে এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এখানে ফেরি চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারী মানুষকে।
গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ বেলা আড়াইটা থেকে এই নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। ওই দিন অনির্দিষ্ট-কালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এরপর এখন পর্যন্ত তা চালু করা সম্ভব হয়নি।
ফেরি বন্ধ থাকায় এই নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কেউ অসুস্থ হলে বা জরুরি কোনো প্রয়োজনে নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে ঢাকা যেতে হলে দীর্ঘ পথ ঘুরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষের। পথের দূরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া এবং দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে রাজধানীতে পৌঁছাতে। ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই যেন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি বন্ধের পর বিকল্প চ্যানেল হিসেবে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট চালু করতে মাঝিকান্দিতে ফেরিঘাট প্রস্তুত করা হলেও ওই চ্যানেলে ডুবোচর থাকায় ফেরি চলাচল সম্ভব হয়নি। তবে স্রোত কমলেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চালু হবে। তবে কত দিন লাগতে পারে, তার নিশ্চয়তা বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি।
এই নৌপথ ব্যবহারকারী লাবণী নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু লঞ্চে পার হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। বেশ কয়েক দিন অপেক্ষার পর বিকল্প নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দিয়ে যেতে হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হয়েছে।’
ঢাকা থেকে শিবচরের উদ্দেশে আসা যাত্রী মো. আলম বলেন, ‘সকালে ঢাকা গিয়ে কাজ সেরে আবার ফিরে আসার সময় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে সাড়ে ছয়টা পার হয়ে যায়। পরে কোনো লঞ্চ না পেয়ে ঘাট থেকে বেশ দূরে এক হোটেলে রাতে থাকতে হয়েছে। ফেরি চালু থাকলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’
বিআইডব্লিউটিএর মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া ঘাট) আহমদ আলী বলেন, ‘পদ্মায় স্রোতের গতি কমেনি। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। ফেরি চলার মতো অবস্থায় এলেই চালু হবে।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাঝিকান্দি দিয়ে বিকল্প পথ চালুর চেষ্টা করা হলেও ডুবোচরের কারণে সম্ভব হয়নি। স্রোত কমলে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটেই ফেরি চালু হবে। তবে সঠিকভাবে দিনক্ষণ বলা যাচ্ছে না।
দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ, গাড়ির দীর্ঘ সারি গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানেলঘাট পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরিফের ওরসফেরত বাসের কারণেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ফেরি পর্যাপ্ত থাকলেও ঘাটস্বল্পতার কারণে ফেরি লোড-আনলোডে সময় বেশি চলে যায়।
সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচটি ঘাটের ৫ ও ৭ নম্বর ঘাটে ছোট ও বড় ফেরি ভেড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি তিনটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট ভিআইপিদের পারাপার ও বাকি দুটি ঘাটে শুধু ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, ওরসফেরত লোকজনের কারণে ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় দ্রুতই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ছোটবড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা, নদীতে বেশি স্রোত, পদ্মায় ডুবোচর—এসব নানা কারণে এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এখানে ফেরি চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারী মানুষকে।
গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ বেলা আড়াইটা থেকে এই নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। ওই দিন অনির্দিষ্ট-কালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এরপর এখন পর্যন্ত তা চালু করা সম্ভব হয়নি।
ফেরি বন্ধ থাকায় এই নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। কেউ অসুস্থ হলে বা জরুরি কোনো প্রয়োজনে নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে ঢাকা যেতে হলে দীর্ঘ পথ ঘুরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষের। পথের দূরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া এবং দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে রাজধানীতে পৌঁছাতে। ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই যেন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি বন্ধের পর বিকল্প চ্যানেল হিসেবে শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট চালু করতে মাঝিকান্দিতে ফেরিঘাট প্রস্তুত করা হলেও ওই চ্যানেলে ডুবোচর থাকায় ফেরি চলাচল সম্ভব হয়নি। তবে স্রোত কমলেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চালু হবে। তবে কত দিন লাগতে পারে, তার নিশ্চয়তা বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি।
এই নৌপথ ব্যবহারকারী লাবণী নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু লঞ্চে পার হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। বেশ কয়েক দিন অপেক্ষার পর বিকল্প নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দিয়ে যেতে হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হয়েছে।’
ঢাকা থেকে শিবচরের উদ্দেশে আসা যাত্রী মো. আলম বলেন, ‘সকালে ঢাকা গিয়ে কাজ সেরে আবার ফিরে আসার সময় শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে সাড়ে ছয়টা পার হয়ে যায়। পরে কোনো লঞ্চ না পেয়ে ঘাট থেকে বেশ দূরে এক হোটেলে রাতে থাকতে হয়েছে। ফেরি চালু থাকলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’
বিআইডব্লিউটিএর মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া ঘাট) আহমদ আলী বলেন, ‘পদ্মায় স্রোতের গতি কমেনি। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। ফেরি চলার মতো অবস্থায় এলেই চালু হবে।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাঝিকান্দি দিয়ে বিকল্প পথ চালুর চেষ্টা করা হলেও ডুবোচরের কারণে সম্ভব হয়নি। স্রোত কমলে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটেই ফেরি চালু হবে। তবে সঠিকভাবে দিনক্ষণ বলা যাচ্ছে না।
দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ, গাড়ির দীর্ঘ সারি গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানেলঘাট পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসের দীর্ঘ সারি পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরিফের ওরসফেরত বাসের কারণেই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ফেরি পর্যাপ্ত থাকলেও ঘাটস্বল্পতার কারণে ফেরি লোড-আনলোডে সময় বেশি চলে যায়।
সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচটি ঘাটের ৫ ও ৭ নম্বর ঘাটে ছোট ও বড় ফেরি ভেড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি তিনটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট ভিআইপিদের পারাপার ও বাকি দুটি ঘাটে শুধু ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, ওরসফেরত লোকজনের কারণে ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় দ্রুতই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ছোটবড় মিলিয়ে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে