রানা আব্বাস ও নাজিম আল শমষের
প্রশ্ন: গত অর্থবছরের ক্রীড়া বাজেট ছিল আগের চার বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম। তবে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল তুলনামূলক বেশি। এবার ক্রীড়া খাতে বাজেটের আকার কেমন হতে যাচ্ছে?
জাহিদ আহসান রাসেল: আপনারা হয়তো প্রস্তাবিত বাজেটই বড় করে দেখেছেন। পরে সংশোধিত বাজেটে কিন্তু পরিমাণটা বেড়েছে। সংশোধনী বাজেটে টাকা কমেনি বরং বেড়েছে। এ অর্থবছরেও বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আরও নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। এ বছরই আমরা প্রথমবারের মতো আন্তকলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য বাজেট চেয়েছি। এবার প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন অবকাঠামো এত করা হচ্ছে কেন? আবার অবকাঠামোর জন্যই কথা শুনতে হয় যে খেলার মাঠ নেই, খেলার মাঠ হারিয়ে যাচ্ছে। স্টেডিয়াম নেই, স্টেডিয়ামের অভাব। সবকিছুই আসলে কিন্তু আমাদের সমান প্রয়োজন। অবকাঠামোর পাশাপাশি আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটাও জোরদার করা বেশি প্রয়োজন। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা বাজেট চেয়েছি। যে বাজেটটা প্রস্তাব করা হয়, সেটাই শেষ না। সংশোধিত বাজেটে পরিমাণ বেড়ে যায়। যেমন এই বাজেটে হয়তো কক্সবাজারে শেখ কামাল ফুটবল-ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য বাজেট ধরা হয়নি। কিন্তু মাঝপথে হয়তো আমরা বাজেট চাইব।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট কোন খাতে তাহলে আপনাদের মনোযোগ বেশি থাকছে?
রাসেল: খেলাধুলা আয়োজনে এবার আমরা একটু বেশি মনোযোগ দিয়েছি। খেলাধুলা আয়োজন এবং প্রশিক্ষণ—এ দুই খাতে আমরা একটু বেশি চেয়েছি। হয়তো এই দুই ক্ষেত্রে চাহিদামতো বাজেট নাও পেতে পারি। তবে আমাদের মনোযোগ এই দিকেই বেশি থাকবে। পাশাপাশি গত অর্থবছরে ১৮৬টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেছিলাম। সেগুলো শেষ করার চেষ্টা থাকবে। কিছু কিছু স্টেডিয়াম নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। ফুটবলের জন্য আলাদা একটা স্টেডিয়াম ও একাডেমি নির্মাণের চেষ্টা করছি। ফুটবল-ক্রিকেটের জন্য কক্সবাজারে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা আছে। মাদারীপুরে পদ্মার পাড়ে একটি অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে আমাদের। ইতিমধ্যেই আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। ওটা হলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব।
প্রশ্ন: এই মাসেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। সেতু উদ্বোধন হলেই সব খাতে উন্নয়নের ব্যাপক আশা করা হচ্ছে। ক্রীড়া খাতে এর প্রভাবটা কেমন হতে পারে?
রাসেল: পদ্মা সেতু হলে অর্থনীতির পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও সম্ভাবনার যে দ্বারটা খুলে যাবে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আগেই বলেছি, পদ্মার পাড়ে অলিম্পিক ভিলেজ ও স্পোর্টস সিটি নির্মাণের একটি পরিকল্পনা আছে আমাদের। পদ্মার পাড়ে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে আমাদের। বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন কার্যক্রমও কিন্তু সেখানে হচ্ছে।
প্রশ্ন: ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেটের বড় একটা অংশ খরচ হয় প্রশাসনিক খাতে। কমবেশি অর্থ বরাদ্দ থাকে ৫০-এর বেশি ফেডারেশনের জন্য। অনেক ফেডারেশন আছে, যাদের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ে না। এসব ফেডারেশনের আবার দাবি, সরকারকে বাজেট বাড়াতে হবে। এটি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
রাসেল: ফেডারেশনের ফলের ওপর নির্ভর করবে তাদের বরাদ্দ। কিছু ফেডারেশনের কোনো ফলই নেই। আমি তাদের বাজেট বরাদ্দের কোনো যুক্তি দেখি না। আবার বরাদ্দ না দিলে তারা কাজও করতে পারবে না। তখন ফল আসবে কীভাবে? এর দুটি দিকই আছে। তবে আমার মনে হয়, কিছু ফেডারেশনকে আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোভিডের আগে আমরা এমন একটা চেষ্টা করেছিলাম। আমরা আবারও কাজ শুরু করেছি। ১০-১২টি ফেডারেশনকে যদি আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া যায়, তাহলে সেসব খেলাকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) একটা সময় সরকারের সহায়তা নিয়ে চলতে হতো। সেই বিসিবি এখন আর্থিকভাবে শক্তিশালী। দেশের আরও দু-একটি ফেডারেশন কেন বিসিবির মতো আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছে না?
রাসেল: আমাদের অধিকাংশ খেলায় দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে ভালো করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আমরা ভালো ফল পেয়েছি শুধু আর্চারি, হকি, শুটিং ও ক্রিকেটে। মাঝে মাঝে তায়কোয়ান্দো, জুডো, জিমন্যাস্টিকসের মতো দু-একটা ফেডারেশন ভালো ফল করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে যদি সাফল্য না আসে, তাহলে পৃষ্ঠপোষকেরাও আগ্রহী হবে না। তারাও তো চায় যে তাদের ব্র্যান্ড মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাক। উন্মাদনা না থাকলে কেউ সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী হবে না। খেলায় ভালো করতে হবে, দর্শক বাড়াতে হবে, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে, তাহলেই খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। যে খেলার আকর্ষণই নেই, সেখানে পৃষ্ঠপোষক আসবে কীভাবে? আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে ফেডারেশনগুলোকে আরও সক্রিয় বা কার্যকারিতা বাড়ানো উচিত।
প্রশ্ন: ন্যাশনাল স্পোর্টস একাডেমির সুফল পাচ্ছে ভারত। বড় বড় ইভেন্টে তারা ধারাবাহিক পদক জিতছে। অথচ বাংলাদেশে ৫০ বছরেও এমন একটি জাতীয় একাডেমি হলো না। এটা নিয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে?
রাসেল: আমাদের স্থানীয় অধিকাংশ কোচই কিন্তু ভারতের ন্যাশনাল স্পোর্টস একাডেমি থেকে ডিপ্লোমা করে এসেছেন। এ রকম একটা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে করতে পারলে মনে হয় ভালো হবে। আমরা যে স্পোর্টস সিটি করছি, সেখানেও চেষ্টা করব যে এ ধরনের একটি একাডেমি তৈরি করা যায় কি না।
প্রশ্ন: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে অনুশীলন নিয়ে দড়ি-টানাটানি চলে জিমন্যাস্টিকস, তায়কোয়ান্দো, কুস্তি ফেডারেশনের।
গত বাজেটে জিমনেশিয়াম নির্মাণ খরচের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। জিমনেশিয়াম নির্মাণের কতটা অগ্রগতি হলো?
রাসেল: জিমনেশিয়াম আসলে আমরা জেলায় জেলায় করছি। কিন্তু ঢাকায় আমরা করতে পারছি না। কারণ, ঢাকায় জায়গাই নেই। তবে ক্রিকেট বোর্ডকে পূর্বাচলে আমরা যে জায়গা দিয়েছি, সেখানে আমাদের পরিকল্পনা আছে আধুনিক একটি জিম ও টাওয়ার তৈরি করার। সেখানে প্রতিটি ফ্লোর আমরা একেকটি ফেডারেশনকে বরাদ্দ
দেব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সব ফেডারেশন পল্টন-মতিঝিল এলাকাতেই থাকতে চায়। তারা যদি খেলা ঢাকার বাইরে বা আশপাশে অথবা বাইরে ছড়িয়ে দিত, তাহলে আমাদের চাপও একটু কমত। মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম অধিকাংশ সময়ই ফাঁকা থাকে। সেখানেও তো কিছু ফেডারেশন অনুশীলন করতে পারে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রশ্ন: গত অর্থবছরের ক্রীড়া বাজেট ছিল আগের চার বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম। তবে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল তুলনামূলক বেশি। এবার ক্রীড়া খাতে বাজেটের আকার কেমন হতে যাচ্ছে?
জাহিদ আহসান রাসেল: আপনারা হয়তো প্রস্তাবিত বাজেটই বড় করে দেখেছেন। পরে সংশোধিত বাজেটে কিন্তু পরিমাণটা বেড়েছে। সংশোধনী বাজেটে টাকা কমেনি বরং বেড়েছে। এ অর্থবছরেও বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আরও নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। এ বছরই আমরা প্রথমবারের মতো আন্তকলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য বাজেট চেয়েছি। এবার প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামো খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন অবকাঠামো এত করা হচ্ছে কেন? আবার অবকাঠামোর জন্যই কথা শুনতে হয় যে খেলার মাঠ নেই, খেলার মাঠ হারিয়ে যাচ্ছে। স্টেডিয়াম নেই, স্টেডিয়ামের অভাব। সবকিছুই আসলে কিন্তু আমাদের সমান প্রয়োজন। অবকাঠামোর পাশাপাশি আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটাও জোরদার করা বেশি প্রয়োজন। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা বাজেট চেয়েছি। যে বাজেটটা প্রস্তাব করা হয়, সেটাই শেষ না। সংশোধিত বাজেটে পরিমাণ বেড়ে যায়। যেমন এই বাজেটে হয়তো কক্সবাজারে শেখ কামাল ফুটবল-ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য বাজেট ধরা হয়নি। কিন্তু মাঝপথে হয়তো আমরা বাজেট চাইব।
প্রশ্ন: নির্দিষ্ট কোন খাতে তাহলে আপনাদের মনোযোগ বেশি থাকছে?
রাসেল: খেলাধুলা আয়োজনে এবার আমরা একটু বেশি মনোযোগ দিয়েছি। খেলাধুলা আয়োজন এবং প্রশিক্ষণ—এ দুই খাতে আমরা একটু বেশি চেয়েছি। হয়তো এই দুই ক্ষেত্রে চাহিদামতো বাজেট নাও পেতে পারি। তবে আমাদের মনোযোগ এই দিকেই বেশি থাকবে। পাশাপাশি গত অর্থবছরে ১৮৬টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেছিলাম। সেগুলো শেষ করার চেষ্টা থাকবে। কিছু কিছু স্টেডিয়াম নতুন করে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। ফুটবলের জন্য আলাদা একটা স্টেডিয়াম ও একাডেমি নির্মাণের চেষ্টা করছি। ফুটবল-ক্রিকেটের জন্য কক্সবাজারে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের চেষ্টা আছে। মাদারীপুরে পদ্মার পাড়ে একটি অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে আমাদের। ইতিমধ্যেই আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। ওটা হলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব।
প্রশ্ন: এই মাসেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। সেতু উদ্বোধন হলেই সব খাতে উন্নয়নের ব্যাপক আশা করা হচ্ছে। ক্রীড়া খাতে এর প্রভাবটা কেমন হতে পারে?
রাসেল: পদ্মা সেতু হলে অর্থনীতির পাশাপাশি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও সম্ভাবনার যে দ্বারটা খুলে যাবে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আগেই বলেছি, পদ্মার পাড়ে অলিম্পিক ভিলেজ ও স্পোর্টস সিটি নির্মাণের একটি পরিকল্পনা আছে আমাদের। পদ্মার পাড়ে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে আমাদের। বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন কার্যক্রমও কিন্তু সেখানে হচ্ছে।
প্রশ্ন: ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেটের বড় একটা অংশ খরচ হয় প্রশাসনিক খাতে। কমবেশি অর্থ বরাদ্দ থাকে ৫০-এর বেশি ফেডারেশনের জন্য। অনেক ফেডারেশন আছে, যাদের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন চোখে পড়ে না। এসব ফেডারেশনের আবার দাবি, সরকারকে বাজেট বাড়াতে হবে। এটি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
রাসেল: ফেডারেশনের ফলের ওপর নির্ভর করবে তাদের বরাদ্দ। কিছু ফেডারেশনের কোনো ফলই নেই। আমি তাদের বাজেট বরাদ্দের কোনো যুক্তি দেখি না। আবার বরাদ্দ না দিলে তারা কাজও করতে পারবে না। তখন ফল আসবে কীভাবে? এর দুটি দিকই আছে। তবে আমার মনে হয়, কিছু ফেডারেশনকে আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোভিডের আগে আমরা এমন একটা চেষ্টা করেছিলাম। আমরা আবারও কাজ শুরু করেছি। ১০-১২টি ফেডারেশনকে যদি আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া যায়, তাহলে সেসব খেলাকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) একটা সময় সরকারের সহায়তা নিয়ে চলতে হতো। সেই বিসিবি এখন আর্থিকভাবে শক্তিশালী। দেশের আরও দু-একটি ফেডারেশন কেন বিসিবির মতো আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারছে না?
রাসেল: আমাদের অধিকাংশ খেলায় দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে ভালো করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে আমরা ভালো ফল পেয়েছি শুধু আর্চারি, হকি, শুটিং ও ক্রিকেটে। মাঝে মাঝে তায়কোয়ান্দো, জুডো, জিমন্যাস্টিকসের মতো দু-একটা ফেডারেশন ভালো ফল করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে যদি সাফল্য না আসে, তাহলে পৃষ্ঠপোষকেরাও আগ্রহী হবে না। তারাও তো চায় যে তাদের ব্র্যান্ড মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাক। উন্মাদনা না থাকলে কেউ সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী হবে না। খেলায় ভালো করতে হবে, দর্শক বাড়াতে হবে, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে, তাহলেই খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। যে খেলার আকর্ষণই নেই, সেখানে পৃষ্ঠপোষক আসবে কীভাবে? আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে ফেডারেশনগুলোকে আরও সক্রিয় বা কার্যকারিতা বাড়ানো উচিত।
প্রশ্ন: ন্যাশনাল স্পোর্টস একাডেমির সুফল পাচ্ছে ভারত। বড় বড় ইভেন্টে তারা ধারাবাহিক পদক জিতছে। অথচ বাংলাদেশে ৫০ বছরেও এমন একটি জাতীয় একাডেমি হলো না। এটা নিয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে?
রাসেল: আমাদের স্থানীয় অধিকাংশ কোচই কিন্তু ভারতের ন্যাশনাল স্পোর্টস একাডেমি থেকে ডিপ্লোমা করে এসেছেন। এ রকম একটা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে করতে পারলে মনে হয় ভালো হবে। আমরা যে স্পোর্টস সিটি করছি, সেখানেও চেষ্টা করব যে এ ধরনের একটি একাডেমি তৈরি করা যায় কি না।
প্রশ্ন: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে অনুশীলন নিয়ে দড়ি-টানাটানি চলে জিমন্যাস্টিকস, তায়কোয়ান্দো, কুস্তি ফেডারেশনের।
গত বাজেটে জিমনেশিয়াম নির্মাণ খরচের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। জিমনেশিয়াম নির্মাণের কতটা অগ্রগতি হলো?
রাসেল: জিমনেশিয়াম আসলে আমরা জেলায় জেলায় করছি। কিন্তু ঢাকায় আমরা করতে পারছি না। কারণ, ঢাকায় জায়গাই নেই। তবে ক্রিকেট বোর্ডকে পূর্বাচলে আমরা যে জায়গা দিয়েছি, সেখানে আমাদের পরিকল্পনা আছে আধুনিক একটি জিম ও টাওয়ার তৈরি করার। সেখানে প্রতিটি ফ্লোর আমরা একেকটি ফেডারেশনকে বরাদ্দ
দেব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সব ফেডারেশন পল্টন-মতিঝিল এলাকাতেই থাকতে চায়। তারা যদি খেলা ঢাকার বাইরে বা আশপাশে অথবা বাইরে ছড়িয়ে দিত, তাহলে আমাদের চাপও একটু কমত। মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম অধিকাংশ সময়ই ফাঁকা থাকে। সেখানেও তো কিছু ফেডারেশন অনুশীলন করতে পারে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে