চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের (এমআর) দৌরাত্ম্যে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং তাঁদের স্বজনেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসক তাঁদের কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে (ব্যবস্থাপত্র) লিখেছেন কি না, তা দেখার জন্য একজন রোগীর প্রেসক্রিপশন ৫-১০ জন এমআর টানাটানি করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আবাসিক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করেন এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। রোগীর হাত থেকে কার আগে কে প্রেসক্রিপশন নেবেন, সে প্রতিযোগিতায় তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাসা, চেম্বার বা বহির্বিভাগের ডাক্তার দেখিয়ে বেরিয়ে এলেই ৫-১০ জন এমআর রোগীর সামনে এসে হাজির হন। কোনোরকমে ছলচাতুরী করে রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়েই কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন ডাক্তার, সেটা দেখতে থাকেন। আবার অনেক সময় প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজেরা টানাটানি শুরু করেন।
এদিকে হতদরিদ্র, অশিক্ষিত ও মহিলা রোগী পেলে তো কথাই নেই। এমআররা ইচ্ছেমতো প্রেসক্রিপশন দেখেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রবেশে রোগীরা সমস্যায় না পড়লেও বের হতেই এমআরদের চাপের মুখে পড়েন। চিকিৎসক তাঁর কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখেছেন কি না, সেটা দেখার জন্য রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে ৫-১০ জন এমআর টানাটানি করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন রোগীরা। অনেক সময় দেখা যায়, চিকিৎসকেরা এমআরদের চাপে পড়ে এমন ওষুধ দেন, যা চৌদ্দগ্রাম, ফেনী কিংবা কুমিল্লায় গিয়েও পাওয়া যায় না।
চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআররা চারপাশ ঘিরে ধরে আমার হাতে থাকা প্রেসক্রিপশন টান দিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে আবার ফেরত দেন। কেন প্রেসক্রিপশন নিয়েছেন, এমআরদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন এমনিতে দেখলাম। এ ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
সেবা নিতে আসা আবদুল আলী বলেন, এমআরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। চিকিৎসকের রুম থেকে বের হলেই তাঁরা প্রেসক্রিপশন দেখে ছবি তুলতে ঘিরে ধরেন। মনে হয় প্রেসক্রিপশনে লেখা সব ওষুধ তাঁরা কিনে দেবেন।
এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানিকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি প্রেসক্রিপশনের ছবি দিতে হয়। না হলে কোম্পানির কর্মকর্তারা আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন। কমিশন কম দেন।’
বেক্সিমকো কোম্পানির এমআর জহির উদ্দিন বলেন, ‘এতে রোগীরা বিরক্ত হন। তবু কোম্পানির নির্দেশে এই প্রেসক্রিপশনগুলোর ছবি তোলা হয়। আমরা চেক করে দেখি ডাক্তাররা আমাদের কোম্পানির ওষুধ লিখছেন কি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসিবুল রহমান বলেন, ‘আমি যখন হাসপাতালে থাকি, তখন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রবেশ করতে পারেন না। যখন বের হয়ে মাঠে চলে যাই, তখন তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ভবিষ্যতে এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের (এমআর) দৌরাত্ম্যে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং তাঁদের স্বজনেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসক তাঁদের কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে (ব্যবস্থাপত্র) লিখেছেন কি না, তা দেখার জন্য একজন রোগীর প্রেসক্রিপশন ৫-১০ জন এমআর টানাটানি করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আবাসিক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করেন এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। রোগীর হাত থেকে কার আগে কে প্রেসক্রিপশন নেবেন, সে প্রতিযোগিতায় তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাসা, চেম্বার বা বহির্বিভাগের ডাক্তার দেখিয়ে বেরিয়ে এলেই ৫-১০ জন এমআর রোগীর সামনে এসে হাজির হন। কোনোরকমে ছলচাতুরী করে রোগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়েই কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন ডাক্তার, সেটা দেখতে থাকেন। আবার অনেক সময় প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজেরা টানাটানি শুরু করেন।
এদিকে হতদরিদ্র, অশিক্ষিত ও মহিলা রোগী পেলে তো কথাই নেই। এমআররা ইচ্ছেমতো প্রেসক্রিপশন দেখেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রবেশে রোগীরা সমস্যায় না পড়লেও বের হতেই এমআরদের চাপের মুখে পড়েন। চিকিৎসক তাঁর কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখেছেন কি না, সেটা দেখার জন্য রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে ৫-১০ জন এমআর টানাটানি করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন রোগীরা। অনেক সময় দেখা যায়, চিকিৎসকেরা এমআরদের চাপে পড়ে এমন ওষুধ দেন, যা চৌদ্দগ্রাম, ফেনী কিংবা কুমিল্লায় গিয়েও পাওয়া যায় না।
চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআররা চারপাশ ঘিরে ধরে আমার হাতে থাকা প্রেসক্রিপশন টান দিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে আবার ফেরত দেন। কেন প্রেসক্রিপশন নিয়েছেন, এমআরদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন এমনিতে দেখলাম। এ ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
সেবা নিতে আসা আবদুল আলী বলেন, এমআরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। চিকিৎসকের রুম থেকে বের হলেই তাঁরা প্রেসক্রিপশন দেখে ছবি তুলতে ঘিরে ধরেন। মনে হয় প্রেসক্রিপশনে লেখা সব ওষুধ তাঁরা কিনে দেবেন।
এসকেএফ ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানিকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি প্রেসক্রিপশনের ছবি দিতে হয়। না হলে কোম্পানির কর্মকর্তারা আমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হন। কমিশন কম দেন।’
বেক্সিমকো কোম্পানির এমআর জহির উদ্দিন বলেন, ‘এতে রোগীরা বিরক্ত হন। তবু কোম্পানির নির্দেশে এই প্রেসক্রিপশনগুলোর ছবি তোলা হয়। আমরা চেক করে দেখি ডাক্তাররা আমাদের কোম্পানির ওষুধ লিখছেন কি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসিবুল রহমান বলেন, ‘আমি যখন হাসপাতালে থাকি, তখন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রবেশ করতে পারেন না। যখন বের হয়ে মাঠে চলে যাই, তখন তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ভবিষ্যতে এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে