চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। এসবের দুর্গন্ধে হাসপাতালে টেকাই মুশকিল। ময়লা-আবর্জনা মাড়িয়েই জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি। বাড়তি চাপে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ এতটাই নোংরা যে এখানে এক মিনিট টিকে থাকা কষ্টকর। নিরুপায় হয়ে রোগী ও তাঁর স্বজনেরা কোনোরকমে এখানে সময় পার করছেন। তাঁরা বলছেন, হাসপাতালের নিচতলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের শয্যাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন বিছানার চাদরেই অনেকটা বাধ্য হয়ে রোগীদের শুয়ে থাকতে হয়।
মহিলা ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের শয্যা দেখলে এতে কেউ থাকতে চাইবেন না। কিন্তু বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্ন শয্যায় থাকছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে বারান্দায় শয্যা পেতে গাদাগাদি করে শুয়ে আছেন রোগীরা। ওয়ার্ডে পা রাখার জায়গাটুকু নেই। বারান্দায় শুয়ে থাকা রোগীরা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দুর্গন্ধ ও ধুলোবালিতে। নির্ধারিত শয্যা পরিপূর্ণ থাকায় অতিরিক্ত রোগীদের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। তবে সেখানেই শান্তি নেই, হাসপাতাল স্টাফ, রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষের পায়ের ধুলো যেন সেখানে শয্যাসঙ্গী। ধুলোবালির হাত থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ দেওয়ালের সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে নাকে রুমাল ও কাপড় দিয়ে বসে আছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশের সময়ই চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ডাস্টবিন। সেগুলো থেকেও বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জরুরি বিভাগের যে কক্ষে (ড্রেসিং রুম) কাটা-ছেঁড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই কক্ষের শৌচাগারও ব্যবহারের অনুপযোগী। সেখান থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত একাধিক মেডিকেল অফিসার জানান, জরুরি বিভাগের অবস্থা আরও উন্নত হওয়া উচিত ছিল। এমন পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য।
এদিকে, হাসপাতালের চারপাশে পরিবেষ্টিত মূল নালাটি হাসপাতালের বিভিন্ন বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই নালায় জমে থাকা পচা পানির তীব্র দুর্গন্ধে হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে। একইভাবে এ নালায় জমানো পানিতে মশারা বংশ বৃদ্ধি করেই চলেছে।
হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আসিয়া বেগম বলেন, ‘আমি শনিবার ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ওয়ার্ডে কোনো সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র একটি বিছানার চাদর দিয়েছে, সেটিও নোংরা। বারান্দার সামনে থেকে বাতাসে দুর্গন্ধ আসে, নাকে কাপড় দিয়ে থাকতে হয়। হাসপাতালের যে অবস্থা তাতে আমি আর দুই দিন থাকলে হয়তো আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ব।’
চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন জামাল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পরিবেশ খুবই নোংরা। আমাদের বিছানা থেকে কয়েক ফুট দূরেই ময়লা আবর্জনার ছোট স্তূপও তৈরি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান এতটা খারাপ ভাবতেই অবাক লাগে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ হলেও সেই অনুযায়ী চিকিৎসক ও জনবল নেই। এর মধ্যে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। বর্তমানে এ হাসপাতালে ভর্তি রোগী আছেন ৩৫০ জনের বেশি। হাসপাতালের পরিবেশ প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে। এর মূল কারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মী সংকট। কমপক্ষে ৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়োজন। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে মাত্র ৪ জন। যে কারণে আমাদের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের জনবল সংকট, পরিচ্ছন্নতাকর্মীও কম। তবে রোগীর সংখ্যা শয্যার থেকেও তিনগুণ বেশি। প্রতি রোগীর সঙ্গে তাঁর স্বজনের সংখ্যা আরও বেশি। যে কারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সকালে পরিষ্কার করলেও দুপুরের মধ্যেই আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে। শৌচাগার ব্যবহারও অনেক বেশি হচ্ছে। তবে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতি ঘটানো হবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। এসবের দুর্গন্ধে হাসপাতালে টেকাই মুশকিল। ময়লা-আবর্জনা মাড়িয়েই জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা উল্টো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি। বাড়তি চাপে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ এতটাই নোংরা যে এখানে এক মিনিট টিকে থাকা কষ্টকর। নিরুপায় হয়ে রোগী ও তাঁর স্বজনেরা কোনোরকমে এখানে সময় পার করছেন। তাঁরা বলছেন, হাসপাতালের নিচতলায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের শয্যাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অপরিচ্ছন্ন বিছানার চাদরেই অনেকটা বাধ্য হয়ে রোগীদের শুয়ে থাকতে হয়।
মহিলা ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের শয্যা দেখলে এতে কেউ থাকতে চাইবেন না। কিন্তু বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অপরিচ্ছন্ন শয্যায় থাকছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর বাড়তি চাপের কারণে বারান্দায় শয্যা পেতে গাদাগাদি করে শুয়ে আছেন রোগীরা। ওয়ার্ডে পা রাখার জায়গাটুকু নেই। বারান্দায় শুয়ে থাকা রোগীরা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দুর্গন্ধ ও ধুলোবালিতে। নির্ধারিত শয্যা পরিপূর্ণ থাকায় অতিরিক্ত রোগীদের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। তবে সেখানেই শান্তি নেই, হাসপাতাল স্টাফ, রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষের পায়ের ধুলো যেন সেখানে শয্যাসঙ্গী। ধুলোবালির হাত থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ দেওয়ালের সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে নাকে রুমাল ও কাপড় দিয়ে বসে আছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশের সময়ই চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ডাস্টবিন। সেগুলো থেকেও বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জরুরি বিভাগের যে কক্ষে (ড্রেসিং রুম) কাটা-ছেঁড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই কক্ষের শৌচাগারও ব্যবহারের অনুপযোগী। সেখান থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত একাধিক মেডিকেল অফিসার জানান, জরুরি বিভাগের অবস্থা আরও উন্নত হওয়া উচিত ছিল। এমন পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য।
এদিকে, হাসপাতালের চারপাশে পরিবেষ্টিত মূল নালাটি হাসপাতালের বিভিন্ন বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই নালায় জমে থাকা পচা পানির তীব্র দুর্গন্ধে হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে। একইভাবে এ নালায় জমানো পানিতে মশারা বংশ বৃদ্ধি করেই চলেছে।
হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আসিয়া বেগম বলেন, ‘আমি শনিবার ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ওয়ার্ডে কোনো সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র একটি বিছানার চাদর দিয়েছে, সেটিও নোংরা। বারান্দার সামনে থেকে বাতাসে দুর্গন্ধ আসে, নাকে কাপড় দিয়ে থাকতে হয়। হাসপাতালের যে অবস্থা তাতে আমি আর দুই দিন থাকলে হয়তো আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ব।’
চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন জামাল হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পরিবেশ খুবই নোংরা। আমাদের বিছানা থেকে কয়েক ফুট দূরেই ময়লা আবর্জনার ছোট স্তূপও তৈরি হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান এতটা খারাপ ভাবতেই অবাক লাগে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ হলেও সেই অনুযায়ী চিকিৎসক ও জনবল নেই। এর মধ্যে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। বর্তমানে এ হাসপাতালে ভর্তি রোগী আছেন ৩৫০ জনের বেশি। হাসপাতালের পরিবেশ প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে। এর মূল কারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মী সংকট। কমপক্ষে ৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়োজন। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে মাত্র ৪ জন। যে কারণে আমাদের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের জনবল সংকট, পরিচ্ছন্নতাকর্মীও কম। তবে রোগীর সংখ্যা শয্যার থেকেও তিনগুণ বেশি। প্রতি রোগীর সঙ্গে তাঁর স্বজনের সংখ্যা আরও বেশি। যে কারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সকালে পরিষ্কার করলেও দুপুরের মধ্যেই আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে। শৌচাগার ব্যবহারও অনেক বেশি হচ্ছে। তবে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতি ঘটানো হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে