জিয়াউল হক, যশোর
স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম জনসভা সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে একান্নতে পা দিয়েছে আজ শনিবার। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রবাসী সরকার স্বাধীন জেলা শহর যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানে (বর্তমানে টাউন হল মাঠ) প্রথম কোনো জনসভা করে। যেখানে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ প্রবাসী সরকারের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন জনসভা থেকে সব ধরনের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ এবং বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ৫০ বছরেও।
সে দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার কাছে এমনটাই আক্ষেপের কথা জানালেন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ, অন্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ আক্ষেপ করে বলেন, ‘৫০ বছর পার হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতায় প্রথম জনসভার সময়োপযোগী ঘোষণাটি আজও বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৮ ডিসেম্বর অস্থায়ী সরকারের নেতাদের আনার জন্য ৮ ডিসেম্বর রওনা হই। আমরা যখন বারাসাত পৌঁছাই তখন দেখি, মুজিব বাহিনীর হলুদ রঙের ল্যান্ড ক্রজার (সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যবহৃত গাড়ি) জিপটি আসছে। আমরা তখন সিগন্যাল দিয়ে সেটিকে দাঁড় করাই।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের কাছে লাল রঙের একটি ল্যান্ড ক্রজার ছিল। সেটি আমরা তৎকালীন যশোর ডিসি পুল থেকে দখল করে নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে হলুদ গাড়ি থেকে তোফায়েল ভাই, রাজ্জাক ভাই, তৎকালীন স্বাধীন যশোরের নিয়োগ পাওয়া প্রথম জেলা প্রশাসক ওয়ালিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন ঘোষালও ছিলেন। তাঁরা আমাদের গাড়িটিতে ওঠেন এবং আমরা একসঙ্গে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সবেমাত্র যশোর শহর স্বাধীন হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ চারদিকে। এখনো স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারেনি মানুষ। আতঙ্ক নিয়ে কেউ কেউ বাইরে এলেও সংখ্যা ছিল সীমিত। থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন তোফায়েল ভাইয়েরা আমাদের বাড়িতে উঠলেন। সেখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করার দিনক্ষণ, প্রক্রিয়াগুলো চূড়ান্ত হয়। এরপরই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা হয়েছিল প্রবাসী সরকারের। আমাদের যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ, নেতৃবৃন্দ, সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল তখন ময়দানটিতে। জয় বাংলার মুহুর্মুহু স্লোগানে সেদিন প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল যশোরের আকাশ-বাতাস।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, ‘সে দিনের জনসভায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন মূলত দেশের পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যই ছিল আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।’
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সেদিন জনসভায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলবে। জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামীসহ সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, ‘যখন যশোরে জনসভা চলছিল তখনো জেলার আশপাশে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিল। বিশেষ করে শিরোমণিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনী কঠোর আক্রমণ সূচনা করে। এতে ক্রমেই পিছু হটছিল পাকিস্তানি বাহিনী।’
১৯৭৫–এর পট পরিবর্তনের পর সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে যায়। পরে ৭২–এর সংবিধান নস্যাৎ হওয়ায় তাজউদ্দিন আহমেদের সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন এই দুই মুক্তিযোদ্ধা।
স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম জনসভা সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে একান্নতে পা দিয়েছে আজ শনিবার। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রবাসী সরকার স্বাধীন জেলা শহর যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানে (বর্তমানে টাউন হল মাঠ) প্রথম কোনো জনসভা করে। যেখানে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ প্রবাসী সরকারের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন জনসভা থেকে সব ধরনের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ এবং বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ৫০ বছরেও।
সে দিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার কাছে এমনটাই আক্ষেপের কথা জানালেন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ, অন্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ আক্ষেপ করে বলেন, ‘৫০ বছর পার হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতায় প্রথম জনসভার সময়োপযোগী ঘোষণাটি আজও বাস্তবায়ন করা যায়নি।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৮ ডিসেম্বর অস্থায়ী সরকারের নেতাদের আনার জন্য ৮ ডিসেম্বর রওনা হই। আমরা যখন বারাসাত পৌঁছাই তখন দেখি, মুজিব বাহিনীর হলুদ রঙের ল্যান্ড ক্রজার (সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যবহৃত গাড়ি) জিপটি আসছে। আমরা তখন সিগন্যাল দিয়ে সেটিকে দাঁড় করাই।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের কাছে লাল রঙের একটি ল্যান্ড ক্রজার ছিল। সেটি আমরা তৎকালীন যশোর ডিসি পুল থেকে দখল করে নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে হলুদ গাড়ি থেকে তোফায়েল ভাই, রাজ্জাক ভাই, তৎকালীন স্বাধীন যশোরের নিয়োগ পাওয়া প্রথম জেলা প্রশাসক ওয়ালিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন ঘোষালও ছিলেন। তাঁরা আমাদের গাড়িটিতে ওঠেন এবং আমরা একসঙ্গে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সবেমাত্র যশোর শহর স্বাধীন হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ চারদিকে। এখনো স্বাভাবিকতায় ফিরতে পারেনি মানুষ। আতঙ্ক নিয়ে কেউ কেউ বাইরে এলেও সংখ্যা ছিল সীমিত। থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন তোফায়েল ভাইয়েরা আমাদের বাড়িতে উঠলেন। সেখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করার দিনক্ষণ, প্রক্রিয়াগুলো চূড়ান্ত হয়। এরপরই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেক আহমেদ বলেন, ‘১১ ডিসেম্বর যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা হয়েছিল প্রবাসী সরকারের। আমাদের যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ, নেতৃবৃন্দ, সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল তখন ময়দানটিতে। জয় বাংলার মুহুর্মুহু স্লোগানে সেদিন প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল যশোরের আকাশ-বাতাস।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, ‘সে দিনের জনসভায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন মূলত দেশের পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যই ছিল আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।’
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সেদিন জনসভায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলবে। জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামীসহ সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ বলেন, ‘যখন যশোরে জনসভা চলছিল তখনো জেলার আশপাশে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিল। বিশেষ করে শিরোমণিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনী কঠোর আক্রমণ সূচনা করে। এতে ক্রমেই পিছু হটছিল পাকিস্তানি বাহিনী।’
১৯৭৫–এর পট পরিবর্তনের পর সবকিছুই ওলট-পালট হয়ে যায়। পরে ৭২–এর সংবিধান নস্যাৎ হওয়ায় তাজউদ্দিন আহমেদের সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন এই দুই মুক্তিযোদ্ধা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে