কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় নগরীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মো. সোহেলের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করা হলেও গতকাল মঙ্গলবার এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়। পুলিশও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে গতকাল পাথুরিয়া পাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে মো. সোহেলকে দাফন করা হয়। জানাজায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ, নিহত মো. সোহেলের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ নাদিম, ছোট ভাই রোমান হাসানসহ আরও অনেকে।
সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এসব কাজ করতে গিয়ে অপরাধী চক্রগুলো এক হয়ে গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
গতকাল বিকেলে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে একটি ব্যাগে অস্ত্র আছে বলে জানান। পরে পুলিশ সংরাইশ এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি কালো থলে উদ্ধার করে। থলের মধ্যে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১২টি গুলি, ২০টি হাতবোমা, একটি লোহার রড, দুটি কালো রঙের টি-শার্ট পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) সোহান সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গতকাল কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ড শেষে এসব অস্ত্র ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগের তির যাদের দিকে
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় নগরীর সুজানগর পূর্বপাড়ার বউবাজারের জানু মিয়ার ছেলে শাহালম ও কানু মিয়ার ছেলে সুমন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহত সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ মিয়া।
স্থানীয় লোকজন জানান, সুজানগর বউবাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহালম, আলম, তাঁদের ভাতিজা কানু মিয়ার ছেলে সুমন, নবগ্রাম এলাকার জেল সোহেল ও সাব্বির এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর বউবাজার এলাকার সুমন, শাহালমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে। তাদের গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হন।
যে সম্ভাব্য কারণে এ হত্যাকাণ্ড
শাহালম ও তাঁর সহযোগীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। তিনি বলেছিলেন, ‘শাহালম, সাব্বির ও জেল সোহেলের অত্যাচারে আমার ওয়ার্ডবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। আমার ওয়ার্ডের মানুষ অনেক শান্তিপ্রিয়। কিন্তু সন্ত্রাস, মাদক, হত্যা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ একাধিক মামলার আসামিরা পরিবেশ নষ্ট করছে।’ সন্ত্রাসীদের দাপটে কাউন্সিলর সোহেলের অসহায়ত্বের কথা স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই ওয়ার্ডের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিল কাউন্সিলরের। তাদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে ৪-৫টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের নিজস্ব কার্যালয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে সোহেলের মাথাসহ শরীরে ৯টি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলি লাগে। এ সময় কাউন্সিলর সোহেল তাঁর কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় নগরীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মো. সোহেলের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করা হলেও গতকাল মঙ্গলবার এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়। পুলিশও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে গতকাল পাথুরিয়া পাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে মো. সোহেলকে দাফন করা হয়। জানাজায় বক্তব্য দেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ, নিহত মো. সোহেলের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ নাদিম, ছোট ভাই রোমান হাসানসহ আরও অনেকে।
সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এসব কাজ করতে গিয়ে অপরাধী চক্রগুলো এক হয়ে গেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
গতকাল বিকেলে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে একটি ব্যাগে অস্ত্র আছে বলে জানান। পরে পুলিশ সংরাইশ এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি কালো থলে উদ্ধার করে। থলের মধ্যে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১২টি গুলি, ২০টি হাতবোমা, একটি লোহার রড, দুটি কালো রঙের টি-শার্ট পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) সোহান সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গতকাল কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ড শেষে এসব অস্ত্র ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগের তির যাদের দিকে
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় নগরীর সুজানগর পূর্বপাড়ার বউবাজারের জানু মিয়ার ছেলে শাহালম ও কানু মিয়ার ছেলে সুমন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন নিহত সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ মিয়া।
স্থানীয় লোকজন জানান, সুজানগর বউবাজার এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহালম, আলম, তাঁদের ভাতিজা কানু মিয়ার ছেলে সুমন, নবগ্রাম এলাকার জেল সোহেল ও সাব্বির এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সুজানগর বউবাজার এলাকার সুমন, শাহালমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সোহেলকে গুলি করে। তাদের গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হন।
যে সম্ভাব্য কারণে এ হত্যাকাণ্ড
শাহালম ও তাঁর সহযোগীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। তিনি বলেছিলেন, ‘শাহালম, সাব্বির ও জেল সোহেলের অত্যাচারে আমার ওয়ার্ডবাসী খুবই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে। আমার ওয়ার্ডের মানুষ অনেক শান্তিপ্রিয়। কিন্তু সন্ত্রাস, মাদক, হত্যা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ একাধিক মামলার আসামিরা পরিবেশ নষ্ট করছে।’ সন্ত্রাসীদের দাপটে কাউন্সিলর সোহেলের অসহায়ত্বের কথা স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই ওয়ার্ডের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিল কাউন্সিলরের। তাদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে ৪-৫টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের নিজস্ব কার্যালয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে সোহেলের মাথাসহ শরীরে ৯টি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলি লাগে। এ সময় কাউন্সিলর সোহেল তাঁর কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে