নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় নারী পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবার পা হারানোর ঘটনায় ‘দোষ কার’ ছিল, সে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছেন ৬৫ বছর বয়সী মনোরঞ্জন হাজং। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর অন্য পা-টিও কেটে ফেলতে হবে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির দোষ আছে কি না, তা খুঁজতে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ। ‘জাস্টিস ফর মহুয়া, জাস্টিস ফর ফাদার’—ফেসবুকে এমন হ্যাশট্যাগ দিয়ে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন অনেকেই। তাঁদের কেউ মহুয়ার সহকর্মী, কেউ সমব্যথী, কেউবা সাধারণ মানুষ। মহুয়ার জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া পোস্টের মন্তব্যে অনেক সাধারণ মানুষকেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পান্না আক্তার নামে একজন পুলিশ সার্জেন্ট তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার শক্তিটুকু আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। মহুয়া হাজং মিলি, তুমি দুঃখ পেয়ো না। অভিমান করিও না। মীরজাফরেরা ব্রিটিশ আমলেও ছিল, এখনো আছে। কিন্তু, তারপরও বাংলাদেশ ঠিকই তার স্বাধীনতা বুঝে নিয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক পুলিশ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক ধাক্কায় এক পা কেটে ফেলা হয়েছে। এবার দোষ খুঁজে পাওয়া গেলে শাস্তি হিসেবে তাঁর অন্য পা-ও কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আর কী তদন্ত হবে?’
২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। দুই দফা অস্ত্রোপচারে তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। মনোরঞ্জনের একমাত্র মেয়ে মহুয়া হাজং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বাবাকে ধাক্কা দেওয়া লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বনানী থানা তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ১৬ ডিসেম্বর বনানী থানা এজাহার হিসেবে নেয় তাঁর অভিযোগটি। অবশ্য তার দুই দিন আগেই ওই বিচারপতির পুত্রের একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে পুলিশ। পুলিশ দুটি ঘটনায় তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেছেন, ঘটনা আসলে কী ঘটেছে—সেসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কার দোষ, সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহবাগে সমাবেশ: সাবেক বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজংয়ের জন্য ন্যায় নিশ্চিতে গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে সমাবেশ হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘মহুয়া হাজং সার্জেন্ট হয়ে দেশের সেবা করছে এবং তার পিতা মনোরঞ্জন হাজং বিজিবিতে থেকে দেশসেবা করেছেন। আজ তারাই যখন এ রকম একটা ঘটনার শিকার হলো, তখন তাদের মামলাটি নিচ্ছিল না। আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলেই কি এই অবস্থা? নাকি একজন বিচারপতি, একজন এলিট, তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উপরি ভাগে থাকেন আর হাজংরা তলানিতে থাকে, তাই এ অবস্থা?’
মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খিসা বলেন, ‘ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেওয়া হচ্ছিল না। কারণ, ক্ষমতার কাঠামোয় সমস্যা। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ক্ষমতার সর্বোচ্চ স্তরে আছেন এবং যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। ক্ষমতার এই আকাশ-পাতাল পার্থক্যের মধ্যে পড়েছেন এই নারী পুলিশ সার্জেন্ট।’
বিচারপতির ছেলের গাড়িচাপায় নারী পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবার পা হারানোর ঘটনায় ‘দোষ কার’ ছিল, সে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনায় এক পা হারিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছেন ৬৫ বছর বয়সী মনোরঞ্জন হাজং। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর অন্য পা-টিও কেটে ফেলতে হবে। এ অবস্থায় দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির দোষ আছে কি না, তা খুঁজতে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ। ‘জাস্টিস ফর মহুয়া, জাস্টিস ফর ফাদার’—ফেসবুকে এমন হ্যাশট্যাগ দিয়ে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন অনেকেই। তাঁদের কেউ মহুয়ার সহকর্মী, কেউ সমব্যথী, কেউবা সাধারণ মানুষ। মহুয়ার জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া পোস্টের মন্তব্যে অনেক সাধারণ মানুষকেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পান্না আক্তার নামে একজন পুলিশ সার্জেন্ট তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার শক্তিটুকু আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। মহুয়া হাজং মিলি, তুমি দুঃখ পেয়ো না। অভিমান করিও না। মীরজাফরেরা ব্রিটিশ আমলেও ছিল, এখনো আছে। কিন্তু, তারপরও বাংলাদেশ ঠিকই তার স্বাধীনতা বুঝে নিয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক পুলিশ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এক ধাক্কায় এক পা কেটে ফেলা হয়েছে। এবার দোষ খুঁজে পাওয়া গেলে শাস্তি হিসেবে তাঁর অন্য পা-ও কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া আর কী তদন্ত হবে?’
২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। দুই দফা অস্ত্রোপচারে তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। মনোরঞ্জনের একমাত্র মেয়ে মহুয়া হাজং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বাবাকে ধাক্কা দেওয়া লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বনানী থানা তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ১৬ ডিসেম্বর বনানী থানা এজাহার হিসেবে নেয় তাঁর অভিযোগটি। অবশ্য তার দুই দিন আগেই ওই বিচারপতির পুত্রের একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে পুলিশ। পুলিশ দুটি ঘটনায় তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেছেন, ঘটনা আসলে কী ঘটেছে—সেসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কার দোষ, সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহবাগে সমাবেশ: সাবেক বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজংয়ের জন্য ন্যায় নিশ্চিতে গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে সমাবেশ হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘মহুয়া হাজং সার্জেন্ট হয়ে দেশের সেবা করছে এবং তার পিতা মনোরঞ্জন হাজং বিজিবিতে থেকে দেশসেবা করেছেন। আজ তারাই যখন এ রকম একটা ঘটনার শিকার হলো, তখন তাদের মামলাটি নিচ্ছিল না। আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলেই কি এই অবস্থা? নাকি একজন বিচারপতি, একজন এলিট, তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উপরি ভাগে থাকেন আর হাজংরা তলানিতে থাকে, তাই এ অবস্থা?’
মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খিসা বলেন, ‘ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেওয়া হচ্ছিল না। কারণ, ক্ষমতার কাঠামোয় সমস্যা। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ক্ষমতার সর্বোচ্চ স্তরে আছেন এবং যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা প্রান্তিক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। ক্ষমতার এই আকাশ-পাতাল পার্থক্যের মধ্যে পড়েছেন এই নারী পুলিশ সার্জেন্ট।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে