সাখাওয়াত ফাহাদ, ফরিদপুর থেকে
বিএনপির আগের কয়েকটি বিভাগীয় সমাবেশের মতো ফরিদপুরের সমাবেশ ঘিরেও পরিবহন ধর্মঘটে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফরিদপুরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিএনপির সমাবেশ যেন অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ফরিদপুরে আজ শনিবার ষষ্ঠ বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সেরেছে দলটি। সমাবেশে যোগ দিতে এরই মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ফরিদপুরে অবস্থান নিয়েছেন।
সমাবেশ সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা আগের দিনই দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এরপর মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা রুটে সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সকাল ছয়টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকেও ঢাকার পথে কোনো বাস চলাচল করছে না। ঘোষণা ছাড়া এই ধর্মঘটে যাত্রীরা পড়েছেন আরও বেশি ভোগান্তিতে।
মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ষাটোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম। পরিবহন ধর্মঘটের কথা আগে জানতেন না। তিনি বলেন, ‘আগে জানলে গতকালই (বৃহস্পতিবার) চলে যেতাম। এখন নাতিরে নিয়ে কীভাবে ফরিদপুর যাই?’ ফরিদপুরের বাসের অপেক্ষায় থাকা রুহুল আমিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কারণেই বাস বন্ধ করেছেন মালিকেরা। রাজনৈতিক কারণে আমরা সাধারণ মানুষ কেন ভোগান্তিতে পড়ব?’
মেয়ের চিকিৎসা করাতে বৃহস্পতিবার জামালপুরের বালিয়াডাঙ্গী থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন আমির হোসেন। কিন্তু বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসা শেষ, আজকে বাড়ি যাব। সাধারণত বাসেই যাতায়াত করি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা, কিন্তু এখানে ৫০০ টাকা বেশি চাইছে। চিকিৎসায় টাকা গেছে, এখন অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা নাই।’
ঢাকার বাস ধরতে সকাল ছয়টায় রাজবাড়ীর মুরগির ফার্ম এলাকায় আসা আব্দুল হালিম বলেন, ‘ঢাকার একটি হাসপাতালে আমার একজন রোগী ভর্তি আছে। এখানে এসে জানতে পারি, বাস চলছে না। তাহলে আমি এখন ঢাকায় যাব কীভাবে? আমাদের প্লেনে ঢাকায় নিয়ে যাক। আমার এখন গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।’
ধরপাকড়, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তাপ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট, ধরপাকড় আর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ফরিদপুরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ বলছে, সমাবেশের নামে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের সমন্বয়কারী ও দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। তারপরও বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসছেন। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করছে।
ফরিদপুরে যেন মানুষ আসতে না পারে, তার জন্য সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার যতই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করুক, আমরা যেকোনো মূল্যে এই সমাবেশ সফল করব। কোমরপুর মাঠে জায়গা হবে না, মাঠ উপচে মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নেবে।’
গতকাল বিকেলে ‘বিএনপির আগুন-সন্ত্রাস, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে’ শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শেখ রাসেল স্কয়ার থেকে জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনের ব্রাহ্মসমাজ সড়কে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, ‘শান্তির বার্তা দিতে আমরা এই মিছিল ও সমাবেশ করেছি। বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ বা রাষ্ট্রীয় সমাবেশ—যা করার করুক। শান্তিপূর্ণ ও উসকানিমূলক কিছু না হলেই ভালো। তবে উসকানিমূলক কিংবা শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো ঘটনা যদি তারা ঘটায়, তবে আমরা ছাড় দেব না।’
জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে, তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বরাবরই দেখা গেছে, তারা সমাবেশের নামে অগ্নি-সন্ত্রাস, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে অরাজকতা সৃষ্টি করে। তারা যদি এমন কিছু করে, তবে আমরা তার সমুচিত জবাব দেব। আমরা রাজপথে আছি।’
বাস ধর্মঘটে বিচ্ছিন্ন
বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ফরিদপুরের সঙ্গে আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সমাবেশের আগের দিন মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী থেকে কোনো বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এদিন দু-এক জায়গা থেকে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও বেশির ভাগ টার্মিনালেই প্রয়োজনীয় বাহন না পাওয়ার হাহাকার ছিল যাত্রীদের। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে বাড়তি টাকা খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। দুর্ঘটনা রোধ করতে এটি আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন।’ তবে জেলা বিএনপির অভিযোগ, শনিবার ফরিদপুরে তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতা-কর্মীদের আগমন ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনে এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আগের দিনই ‘জনস্রোত’
পরিবহন ধর্মঘটের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে কয়েক দিন আগে থেকেই আশপাশের বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা ফরিদপুরে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। গতকাল নেতা-কর্মীদের স্রোত ছিল অনেক বেশি। দুপুরে সমাবেশস্থল ঘুরে নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা দেশে গণসমাবেশ সমন্বয়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রথমে বাস, মিনিবাস বন্ধ করবে, রাস্তায় মানুষ নামিয়ে দেবে। এটা তারা খুলনা, বরিশাল, রংপুরেও করেছে। যেহেতু প্রশ্ন আউট হয়ে গেছে, তাই আমরা আগে থেকেই জানি, প্রশ্নের উত্তর কী দিতে হবে। আগামীকালের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হবে।’
বিএনপির আগের কয়েকটি বিভাগীয় সমাবেশের মতো ফরিদপুরের সমাবেশ ঘিরেও পরিবহন ধর্মঘটে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফরিদপুরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিএনপির সমাবেশ যেন অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ফরিদপুরে আজ শনিবার ষষ্ঠ বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সেরেছে দলটি। সমাবেশে যোগ দিতে এরই মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ফরিদপুরে অবস্থান নিয়েছেন।
সমাবেশ সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা আগের দিনই দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এরপর মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা রুটে সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই গতকাল সকাল ছয়টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকেও ঢাকার পথে কোনো বাস চলাচল করছে না। ঘোষণা ছাড়া এই ধর্মঘটে যাত্রীরা পড়েছেন আরও বেশি ভোগান্তিতে।
মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ষাটোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম। পরিবহন ধর্মঘটের কথা আগে জানতেন না। তিনি বলেন, ‘আগে জানলে গতকালই (বৃহস্পতিবার) চলে যেতাম। এখন নাতিরে নিয়ে কীভাবে ফরিদপুর যাই?’ ফরিদপুরের বাসের অপেক্ষায় থাকা রুহুল আমিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কারণেই বাস বন্ধ করেছেন মালিকেরা। রাজনৈতিক কারণে আমরা সাধারণ মানুষ কেন ভোগান্তিতে পড়ব?’
মেয়ের চিকিৎসা করাতে বৃহস্পতিবার জামালপুরের বালিয়াডাঙ্গী থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন আমির হোসেন। কিন্তু বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসা শেষ, আজকে বাড়ি যাব। সাধারণত বাসেই যাতায়াত করি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা, কিন্তু এখানে ৫০০ টাকা বেশি চাইছে। চিকিৎসায় টাকা গেছে, এখন অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা নাই।’
ঢাকার বাস ধরতে সকাল ছয়টায় রাজবাড়ীর মুরগির ফার্ম এলাকায় আসা আব্দুল হালিম বলেন, ‘ঢাকার একটি হাসপাতালে আমার একজন রোগী ভর্তি আছে। এখানে এসে জানতে পারি, বাস চলছে না। তাহলে আমি এখন ঢাকায় যাব কীভাবে? আমাদের প্লেনে ঢাকায় নিয়ে যাক। আমার এখন গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই।’
ধরপাকড়, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তাপ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট, ধরপাকড় আর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ফরিদপুরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ বলছে, সমাবেশের নামে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের সমন্বয়কারী ও দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। তারপরও বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসছেন। পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করছে।
ফরিদপুরে যেন মানুষ আসতে না পারে, তার জন্য সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার যতই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করুক, আমরা যেকোনো মূল্যে এই সমাবেশ সফল করব। কোমরপুর মাঠে জায়গা হবে না, মাঠ উপচে মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নেবে।’
গতকাল বিকেলে ‘বিএনপির আগুন-সন্ত্রাস, ভাঙচুর, নৈরাজ্য ও দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে’ শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শেখ রাসেল স্কয়ার থেকে জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনের ব্রাহ্মসমাজ সড়কে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, ‘শান্তির বার্তা দিতে আমরা এই মিছিল ও সমাবেশ করেছি। বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ বা রাষ্ট্রীয় সমাবেশ—যা করার করুক। শান্তিপূর্ণ ও উসকানিমূলক কিছু না হলেই ভালো। তবে উসকানিমূলক কিংবা শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো ঘটনা যদি তারা ঘটায়, তবে আমরা ছাড় দেব না।’
জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে, তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু বরাবরই দেখা গেছে, তারা সমাবেশের নামে অগ্নি-সন্ত্রাস, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে অরাজকতা সৃষ্টি করে। তারা যদি এমন কিছু করে, তবে আমরা তার সমুচিত জবাব দেব। আমরা রাজপথে আছি।’
বাস ধর্মঘটে বিচ্ছিন্ন
বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ফরিদপুরের সঙ্গে আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সমাবেশের আগের দিন মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী থেকে কোনো বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এদিন দু-এক জায়গা থেকে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও বেশির ভাগ টার্মিনালেই প্রয়োজনীয় বাহন না পাওয়ার হাহাকার ছিল যাত্রীদের। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে বাড়তি টাকা খরচের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। দুর্ঘটনা রোধ করতে এটি আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন।’ তবে জেলা বিএনপির অভিযোগ, শনিবার ফরিদপুরে তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতা-কর্মীদের আগমন ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনে এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
আগের দিনই ‘জনস্রোত’
পরিবহন ধর্মঘটের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে কয়েক দিন আগে থেকেই আশপাশের বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা ফরিদপুরে এসে জড়ো হতে শুরু করেন। গতকাল নেতা-কর্মীদের স্রোত ছিল অনেক বেশি। দুপুরে সমাবেশস্থল ঘুরে নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারা দেশে গণসমাবেশ সমন্বয়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রথমে বাস, মিনিবাস বন্ধ করবে, রাস্তায় মানুষ নামিয়ে দেবে। এটা তারা খুলনা, বরিশাল, রংপুরেও করেছে। যেহেতু প্রশ্ন আউট হয়ে গেছে, তাই আমরা আগে থেকেই জানি, প্রশ্নের উত্তর কী দিতে হবে। আগামীকালের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে