নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় টানা তাপদাহের পর হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। এতে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমলেও বাতাসে ধানের গাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এ অবস্থায় ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে এমনটাই বলছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা।
গতকাল বুধবার ভোর থেকে হঠাৎই শুরু হয় দমকা হাওয়া। কিছুক্ষণ পর নেমে আসে বৃষ্টি। উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে ধেয়ে আসা বাতাস ও বৃষ্টি জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এটি স্থায়ী ছিল প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১৭ হাজার ৬০০, রানীনগরে ১৮ হাজার ৮০০, আত্রাইয়ে ১৮ হাজার ৬০০, বদলগাছীতে ১১ হাজার ৭৫০, মহাদেবপুরে ২৮ হাজার ৪২০, পত্নীতলায় ১৯ হাজার ৬০০, ধামইরহাটে ১৮ হাজার ৩২০, সাপাহারে ৫ হাজার ৮৫০, পোরশায় ৮ হাজার ২০০, মান্দায় ১৯ হাজার ৮০০ এবং নিয়ামতপুরে ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
সকাল থেকে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি ধানে ছেয়ে আছে মাঠ। আর কদিন বাদে সেগুলো ঘরে তোলা হবে। এরই মধ্যে ভোর রাতের হঠাৎ ঝড় হওয়ায় কৃষকদের সেই আশায় যেন গুঁড়েবালি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়ে একাকার হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলা, আত্রাই, রাণীনগর, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগেই মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, ধান মাটিতে হেলে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয় হবে। সেই সঙ্গে শ্রমিককে বেশি মজুরি দিয়ে দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। এতে কৃষকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। তবে আর বৃষ্টি না হলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে।
নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ি গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঝড় হওয়ায় প্রায় ১২ বিঘা জমির ধান মাটিতে হেলে গেছে। আর ১০-১৫ দিন পর ধান কাটা যেত। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে বড্ড ক্ষতি হয়ে গেল।’
আরেক কৃষক জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘৮ বিঘা জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। এ জন্য ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিকেরা বেশি মজুরি নেবেন। খরচও বেড়ে গেল।’
এদিকে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রচণ্ড খরার কারণে আমের গুটি গাছ থেকে ঝড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ এ বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। এ ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলে আম গাছ আকারে ছোট হওয়ায় বাতাসেও তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে দু-একটি বড় গাছের গুটি আম ঝড়ে পড়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০, আত্রাইয়ে ১২০, বদলগাছীতে ৫২৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, পত্নীতলায় ৮ হাজার ৮৬৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ১০ হাজার, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর।
সাপাহারের আমচাষি ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর প্রচণ্ড খরার আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছের অনেক আম ঝরে যাচ্ছিল। মাটিতে রস শুকিয়ে যাওয়াই বাগান গুলোতে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে রস ধরেছে। এখন আর সেচ দিতে হবে না।
আরেক আমচাষি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে গাছ ধুয়ে গেছে। এই বৃষ্টিতে আমের ফলন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে। কিন্তু ধান পাকা, আধা-পাকা হওয়ায় খুব একটা ক্ষতি হবে না। কাঁচা বা শিষ বের হচ্ছে সেগুলো ক্ষতি হতে পারে। তবে এ বৃষ্টিতে আমের অনেক উপকার হবে।
নওগাঁয় টানা তাপদাহের পর হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। এতে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমলেও বাতাসে ধানের গাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এ অবস্থায় ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে এমনটাই বলছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা।
গতকাল বুধবার ভোর থেকে হঠাৎই শুরু হয় দমকা হাওয়া। কিছুক্ষণ পর নেমে আসে বৃষ্টি। উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে ধেয়ে আসা বাতাস ও বৃষ্টি জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এটি স্থায়ী ছিল প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১৭ হাজার ৬০০, রানীনগরে ১৮ হাজার ৮০০, আত্রাইয়ে ১৮ হাজার ৬০০, বদলগাছীতে ১১ হাজার ৭৫০, মহাদেবপুরে ২৮ হাজার ৪২০, পত্নীতলায় ১৯ হাজার ৬০০, ধামইরহাটে ১৮ হাজার ৩২০, সাপাহারে ৫ হাজার ৮৫০, পোরশায় ৮ হাজার ২০০, মান্দায় ১৯ হাজার ৮০০ এবং নিয়ামতপুরে ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
সকাল থেকে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি ধানে ছেয়ে আছে মাঠ। আর কদিন বাদে সেগুলো ঘরে তোলা হবে। এরই মধ্যে ভোর রাতের হঠাৎ ঝড় হওয়ায় কৃষকদের সেই আশায় যেন গুঁড়েবালি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়ে একাকার হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলা, আত্রাই, রাণীনগর, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধান পুষ্ট হওয়ার আগেই মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, ধান মাটিতে হেলে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয় হবে। সেই সঙ্গে শ্রমিককে বেশি মজুরি দিয়ে দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। এতে কৃষকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। তবে আর বৃষ্টি না হলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে।
নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ি গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঝড় হওয়ায় প্রায় ১২ বিঘা জমির ধান মাটিতে হেলে গেছে। আর ১০-১৫ দিন পর ধান কাটা যেত। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে বড্ড ক্ষতি হয়ে গেল।’
আরেক কৃষক জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘৮ বিঘা জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। এ জন্য ফলন কিছুটা কম হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে ধান কাটার শ্রমিকেরা বেশি মজুরি নেবেন। খরচও বেড়ে গেল।’
এদিকে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রচণ্ড খরার কারণে আমের গুটি গাছ থেকে ঝড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ এ বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। এ ছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলে আম গাছ আকারে ছোট হওয়ায় বাতাসেও তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে দু-একটি বড় গাছের গুটি আম ঝড়ে পড়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০, আত্রাইয়ে ১২০, বদলগাছীতে ৫২৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, পত্নীতলায় ৮ হাজার ৮৬৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ১০ হাজার, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর।
সাপাহারের আমচাষি ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর প্রচণ্ড খরার আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছের অনেক আম ঝরে যাচ্ছিল। মাটিতে রস শুকিয়ে যাওয়াই বাগান গুলোতে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে রস ধরেছে। এখন আর সেচ দিতে হবে না।
আরেক আমচাষি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়াতে গাছ ধুয়ে গেছে। এই বৃষ্টিতে আমের ফলন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ বলেন, ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে। কিন্তু ধান পাকা, আধা-পাকা হওয়ায় খুব একটা ক্ষতি হবে না। কাঁচা বা শিষ বের হচ্ছে সেগুলো ক্ষতি হতে পারে। তবে এ বৃষ্টিতে আমের অনেক উপকার হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে