আরিফুল হক তারেক, মুলাদী (বরিশাল)
মুলাদীতে দখলে বিপন্ন হয়ে পড়েছে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী। বন্দর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে নদীটি। প্রশাসনের নাকের ডগায় দখল হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে একদিকে নদীটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বন্দরে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী নদীর সংযোগকারী শাখা নদীটি এক সময় খরস্রোতা ছিল। এই নদী দিয়ে অনেক নৌযান চলাচল করত। মুলাদী উপজেলার উত্তরাঞ্চল সফীপুর, বাটামারা, নাজিরপুর, চরকালেখানসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ নৌযানে বন্দরে যাতায়াত করতেন।
নব্বইয়ের দশকে নয়াভাঙনী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। মুলাদী বন্দরের পূর্বদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার ভেঙে গেলে তৎকালীন সংসদ সদস্য ভাঙন রোধের উদ্যোগ নেন। নয়াভাঙনী নদী শাসনের উপায় না পেয়ে ১৯৯২ সালে আড়িয়াল খাঁর খরস্রোতা শাখা নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়। এই বাঁধ নির্মাণের পরই একটি মহল এর ওপর ঘর নির্মাণ করে দখল করে নেয়। পরবর্তী সময়ে নদীতে স্রোত না থাকায় দুই পাড়ে দখল চলতে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা ধীরগতিতে দোকান নির্মাণ করে দখল করা হয় নদী। ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা গঠন হলে জমির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়, ফলে দ্রুতগতিতে চলে দখল কার্যক্রম। বর্তমানে নদীর দুই পারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দখল হয়ে গেছে। বন্দর রক্ষা বাঁধের ওপর কোনো জায়গা ফাঁকা রাখা হয়নি।
মুলাদী বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম জানান, পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের জন্য নদীটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার পরও এই নদী দিয়ে বন্দরের পণ্য পরিবহন করে বাঁধ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক সাশ্রয় হয়। বেশির ভাগ দোকান মালিক নদী দখল করে দোকান বর্ধিত করেছেন। দিন দিন যেভাবে নদীটি দখল হয়ে যাচ্ছে এতে ভবিষ্যতে নৌযান চলাচল করতে পারবে না। বাঁধের পূর্ব এবং পশ্চিম দুই পারেই চলছে দখলের মহোৎসব। এ অবস্থায় দ্রুত নদীর সীমানা পিলার স্থাপন করে রক্ষা করা প্রয়োজন।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ অপেক্ষাকৃত কম। আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী থেকে শাখা নদী দিয়ে যেকোনো পণ্য বন্দরের নিয়ে আসা সম্ভব। নদীটি বিলীন হলে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করতে হবে। এতে খরচ অনেক বেড়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়বেন।
অবৈধ নদী দখলের বিষয়ে মুলাদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, বাঁধ নির্মাণের পর আড়িয়াল খাঁর শাখা নদীর দুই পারে দোকান ও ঘর নির্মাণ হয়েছে। ব্যক্তিমালিকের নামে জমির রেকর্ড থাকায় জমির মালিকেরা তাঁদের জমিতে ঘর নির্মাণ করছেন। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ‘নদীর অবৈধ দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুলাদী পৌরসভার মেয়র মো. শফিকউজ্জামান রুবেল জানান, পরিবেশ সুরক্ষা এবং নৌযান চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন। কেউ অবৈধ দখল করে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুলাদীতে দখলে বিপন্ন হয়ে পড়েছে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী। বন্দর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে নদীটি। প্রশাসনের নাকের ডগায় দখল হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে একদিকে নদীটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া বন্দরে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী নদীর সংযোগকারী শাখা নদীটি এক সময় খরস্রোতা ছিল। এই নদী দিয়ে অনেক নৌযান চলাচল করত। মুলাদী উপজেলার উত্তরাঞ্চল সফীপুর, বাটামারা, নাজিরপুর, চরকালেখানসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ নৌযানে বন্দরে যাতায়াত করতেন।
নব্বইয়ের দশকে নয়াভাঙনী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। মুলাদী বন্দরের পূর্বদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার ভেঙে গেলে তৎকালীন সংসদ সদস্য ভাঙন রোধের উদ্যোগ নেন। নয়াভাঙনী নদী শাসনের উপায় না পেয়ে ১৯৯২ সালে আড়িয়াল খাঁর খরস্রোতা শাখা নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়। এই বাঁধ নির্মাণের পরই একটি মহল এর ওপর ঘর নির্মাণ করে দখল করে নেয়। পরবর্তী সময়ে নদীতে স্রোত না থাকায় দুই পাড়ে দখল চলতে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা ধীরগতিতে দোকান নির্মাণ করে দখল করা হয় নদী। ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা গঠন হলে জমির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়, ফলে দ্রুতগতিতে চলে দখল কার্যক্রম। বর্তমানে নদীর দুই পারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দখল হয়ে গেছে। বন্দর রক্ষা বাঁধের ওপর কোনো জায়গা ফাঁকা রাখা হয়নি।
মুলাদী বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম জানান, পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের জন্য নদীটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার পরও এই নদী দিয়ে বন্দরের পণ্য পরিবহন করে বাঁধ পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক সাশ্রয় হয়। বেশির ভাগ দোকান মালিক নদী দখল করে দোকান বর্ধিত করেছেন। দিন দিন যেভাবে নদীটি দখল হয়ে যাচ্ছে এতে ভবিষ্যতে নৌযান চলাচল করতে পারবে না। বাঁধের পূর্ব এবং পশ্চিম দুই পারেই চলছে দখলের মহোৎসব। এ অবস্থায় দ্রুত নদীর সীমানা পিলার স্থাপন করে রক্ষা করা প্রয়োজন।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ অপেক্ষাকৃত কম। আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী থেকে শাখা নদী দিয়ে যেকোনো পণ্য বন্দরের নিয়ে আসা সম্ভব। নদীটি বিলীন হলে সড়কপথে পণ্য পরিবহন করতে হবে। এতে খরচ অনেক বেড়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়বেন।
অবৈধ নদী দখলের বিষয়ে মুলাদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, বাঁধ নির্মাণের পর আড়িয়াল খাঁর শাখা নদীর দুই পারে দোকান ও ঘর নির্মাণ হয়েছে। ব্যক্তিমালিকের নামে জমির রেকর্ড থাকায় জমির মালিকেরা তাঁদের জমিতে ঘর নির্মাণ করছেন। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, ‘নদীর অবৈধ দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুলাদী পৌরসভার মেয়র মো. শফিকউজ্জামান রুবেল জানান, পরিবেশ সুরক্ষা এবং নৌযান চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন। কেউ অবৈধ দখল করে থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে