যশোর, মনিরামপুর ও বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুর, শার্শা ও বাঘারপাড়ায় ৩৫ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ৮২ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মনিরামপুরের ১৬ ইউপিতে জামানত খুইয়েছেন ৩৮ প্রার্থী। শার্শায় হারিয়েছেন ১৯ জন। আর বাঘারপাড়ায় জামানত হারান ২৫ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
গত রোববার সারা দেশের মতো জেলার এই তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানাতের টাকা হারান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এসব জানা গেছে।
মনিরামপুর : মনিরামপুরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৭৮ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার দুজন, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র ১১ জন, জাতীয় পার্টির ৬ জন এবং ইসলামী আন্দোলনের ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে জামানত হারানোদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত দুজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পর তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মোট প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তিনি জামানত হারাবেন।
সে হিসেবে উপজেলার রোহিতা ইউপিতে জামানত হারিয়েছেন আতিয়ার রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান। কাশিমনগরে খোরশেদ আলম ও মিজানুর রহমান জামানত হারান। ভোজগাতিতে জামানত হারান আসমাতুল্লাহার। ঢাকুরিয়ায় মোশারফ হোসেন ও হাফিজুর রহমান জামানত খোয়ান। হরিদাসকাটিতে নবীরুজ্জামান, নিছার আলী ও স্বপন সরকারের জামানত বাতিল হয়। মনিরামপুর সদরে সাহেব আলী, খেদাপাড়ায় মিজানুর রহমান, আজিবর রহমান ও মাহাবুবুর রহমান জামান হারান।
ঝাঁপায় জামানত হারান সিরাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর ও রুহুল কুদ্দুস। মশ্মিমনগরে ইউনুস আলী গাজী, চালুয়াহাটিতে আবুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান, খানপুরে আব্দুল মান্নান মনা, মাহাবুর রহমান, মুজিবুর রহমান, রবিউল ইসলাম ও লাভলু আক্তারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে মিজানুর রহমান, আতাউর রহমান সাইফুল ও নজরুল ইসলাম; কুলটিয়ায় তৈহিদ মিজানুর রহমান, প্রভাস ঘোষ, মনোহর মন্ডল ও জাহিদ হাসান সানি। নেহালপুর ইউনিয়নে আনিসুল ইসলাম ও মনোয়ার হোসেন এবং মনোহরপুর ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম সরদারের জামানতের টাকা বাতিল হয়।
বাঘারপাড়া: বাঘারপাড়ার অর্ধেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যাঁদের মধ্যে ২৫ জনই জামানতের টাকা রক্ষার মতো ভোট পাননি।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন দরাজহাট ইউপিতে। আর মাত্র দুজনের লড়াইয়েও জামানত হারাতে হয়েছে ধলগ্রাম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে এসব তথ্য মিলেছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৮৫৬ ভোট পড়েছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মিজানুর রহমান ৫১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। দোহাকুলায় ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুজনই জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে আনারস প্রতীক নিয়ে অরুন কুমার অধিকারী পেয়েছেন ১৩৪ ভোট ও জাকের পার্টির নূর জালায় গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭০ ভোট। ইউয়নটিতে ১৪ হাজার ১১৪ ভোট পড়েছে।
নারিকেলবাড়িয়ায় ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুজনজন জামানতের টাকা হারিয়েছেন। সেখানে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জমির উদ্দিন মোল্লা ১০৫ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪৫ ভোট। রায়পুরে ৬ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তাঁদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মোশাররফ হোসেন ৮৬, আবুল কাশেম মোল্লা গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ৪৭৮ ও হাতপাখা প্রতীকের জাহিদ হোসেন ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন।
জহুরপুরে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের আলমগীর হোসেন ১৭, আনারস প্রতীকের আবু তালেব ৯৯, গোলাপ ফুল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ১০০ ও হাসপাখা প্রতীকের শেখ রকিবুল ইসলাম ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন। দরাজহাটের ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন ভোট পেয়েছেন নির্ধারিত সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে। তাঁরা হলেন, গোলাপ ফুল প্রতীকের ওমর আলী ৫৫ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের আইয়ুব হোসেন ১৮০, টেবিল ফ্যান প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ২২২, চশমা প্রতীকের গোলাম মোস্তফা ৩৯৪ ও হাতপাখার মুস্তাফিজুর রহমান ৫১৯ ভোট।
বন্দবিলায় ৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের মাসুম রেজা পেয়েছেন ১৩ ভোট। এ ছাড়া গোলাপ ফুল প্রতীকের আবু বক্কার ১০৩, ঢোল প্রতীকের জিয়াউর রহমান ২৪৪ ও মোটরসাইকেল প্রতীকের কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট। জামদিয়ায় ৫ প্রার্থীর ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে হাতুড়ি প্রতীকের মুস্তাফিজুর রহমান ৩৩ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের সেলিম রেজা ১৩৫ ও হাতপাখা প্রতীকের খায়রুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ১০২০ ভোট।
এদিকে ধলগ্রামে মাত্র দুজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে আনারস প্রতীকের আতিয়ার রহমান সরদার মাত্র ২৭৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ইউনিয়নটিতে মোট ১১ হাজার ২৭৯টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে ১১ হাজার ২ ভোট পেয়ে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের রবিউল ইসলাম জয়লাভ করেছেন।
শার্শা: শার্শায় ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে গত রোববার নির্বাচন হয়েছে ১০ টিতে। এখানে নৌকার প্রার্থীর ৫ জন ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) ৫ জন জয়লাভ করেছেন। তবে শর্ত অনুযায়ী ৮ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় ১৯ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
শার্শা নির্বাচন অফিস তথ্য মতে, নিজামপুর ইউপিতে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। এদের মধ্যে আবুল হোসেন পেয়েছেন ১৬৭ ভোট ও ডায়মন্ত্র মোড়ল পান ৮৫ ভোট। ডিহীতে ১০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। এঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আরাফাত পেয়েছেন ৪১ ভোট, স্বতন্ত্র আব্দুল হক ২৩৭ ভোট, স্বতন্ত্র আব্দুল জলিল ৩৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রশিদ ৭৪৫ ভোট, স্বতন্ত্র কামাল হোসেন ১৫ ভোট, স্বতন্ত্র নূরইসলাম তরফদার ৯ ভোট।
শার্শা সদর ইউপিতে ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুজন। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ইফাজ উদ্দীন পেয়েছেন ১৬৭১ ভোট ও স্বতন্ত্রের সোহারব হোসেন ৩৩০ ভোট। উলাশীতে ৪ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুজন।
এরা হলেন স্বতন্ত্রের আয়নাল হক ২১৩ ভোট ও রফিকুল ইসলাম ১৭১ ভোট। বাহাদুরপুরে ৫ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্রের মুকুল হোসেন ১৬ ভোট, মিনাজুর ইসলাম ৯৪২ ও ইসলামী আন্দোলনের সাহেব আলী ২৫৬ ভোট।
বাগআঁচড়ার ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারান ৩১৭ ভোট পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেহেদী হাসান। কায়বার ৩ প্রার্থীর মধ্যে ১০৯ ভোট পেয়ে জামানত হারান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুন নাহার। গোগায় ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা খাতুন। লক্ষণপুরে ৪ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারান দুজন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ২১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের রুহুল আমিন ১৯৮ ভোট।
যশোরের মনিরামপুর, শার্শা ও বাঘারপাড়ায় ৩৫ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ৮২ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মনিরামপুরের ১৬ ইউপিতে জামানত খুইয়েছেন ৩৮ প্রার্থী। শার্শায় হারিয়েছেন ১৯ জন। আর বাঘারপাড়ায় জামানত হারান ২৫ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
গত রোববার সারা দেশের মতো জেলার এই তিন উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় জামানাতের টাকা হারান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এসব জানা গেছে।
মনিরামপুর : মনিরামপুরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৭৮ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নৌকার দুজন, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র ১১ জন, জাতীয় পার্টির ৬ জন এবং ইসলামী আন্দোলনের ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে জামানত হারানোদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত দুজন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পর তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, মোট প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে তিনি জামানত হারাবেন।
সে হিসেবে উপজেলার রোহিতা ইউপিতে জামানত হারিয়েছেন আতিয়ার রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান। কাশিমনগরে খোরশেদ আলম ও মিজানুর রহমান জামানত হারান। ভোজগাতিতে জামানত হারান আসমাতুল্লাহার। ঢাকুরিয়ায় মোশারফ হোসেন ও হাফিজুর রহমান জামানত খোয়ান। হরিদাসকাটিতে নবীরুজ্জামান, নিছার আলী ও স্বপন সরকারের জামানত বাতিল হয়। মনিরামপুর সদরে সাহেব আলী, খেদাপাড়ায় মিজানুর রহমান, আজিবর রহমান ও মাহাবুবুর রহমান জামান হারান।
ঝাঁপায় জামানত হারান সিরাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর ও রুহুল কুদ্দুস। মশ্মিমনগরে ইউনুস আলী গাজী, চালুয়াহাটিতে আবুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান, খানপুরে আব্দুল মান্নান মনা, মাহাবুর রহমান, মুজিবুর রহমান, রবিউল ইসলাম ও লাভলু আক্তারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে মিজানুর রহমান, আতাউর রহমান সাইফুল ও নজরুল ইসলাম; কুলটিয়ায় তৈহিদ মিজানুর রহমান, প্রভাস ঘোষ, মনোহর মন্ডল ও জাহিদ হাসান সানি। নেহালপুর ইউনিয়নে আনিসুল ইসলাম ও মনোয়ার হোসেন এবং মনোহরপুর ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম সরদারের জামানতের টাকা বাতিল হয়।
বাঘারপাড়া: বাঘারপাড়ার অর্ধেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ পদে ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যাঁদের মধ্যে ২৫ জনই জামানতের টাকা রক্ষার মতো ভোট পাননি।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন দরাজহাট ইউপিতে। আর মাত্র দুজনের লড়াইয়েও জামানত হারাতে হয়েছে ধলগ্রাম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে এসব তথ্য মিলেছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৮৫৬ ভোট পড়েছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মিজানুর রহমান ৫১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। দোহাকুলায় ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুজনই জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে আনারস প্রতীক নিয়ে অরুন কুমার অধিকারী পেয়েছেন ১৩৪ ভোট ও জাকের পার্টির নূর জালায় গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৭০ ভোট। ইউয়নটিতে ১৪ হাজার ১১৪ ভোট পড়েছে।
নারিকেলবাড়িয়ায় ৪ প্রার্থীর মধ্যে দুজনজন জামানতের টাকা হারিয়েছেন। সেখানে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জমির উদ্দিন মোল্লা ১০৫ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪৫ ভোট। রায়পুরে ৬ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তাঁদের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মোশাররফ হোসেন ৮৬, আবুল কাশেম মোল্লা গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ৪৭৮ ও হাতপাখা প্রতীকের জাহিদ হোসেন ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন।
জহুরপুরে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের আলমগীর হোসেন ১৭, আনারস প্রতীকের আবু তালেব ৯৯, গোলাপ ফুল প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ১০০ ও হাসপাখা প্রতীকের শেখ রকিবুল ইসলাম ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন। দরাজহাটের ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন ভোট পেয়েছেন নির্ধারিত সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে। তাঁরা হলেন, গোলাপ ফুল প্রতীকের ওমর আলী ৫৫ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের আইয়ুব হোসেন ১৮০, টেবিল ফ্যান প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ২২২, চশমা প্রতীকের গোলাম মোস্তফা ৩৯৪ ও হাতপাখার মুস্তাফিজুর রহমান ৫১৯ ভোট।
বন্দবিলায় ৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন জামানত খুইয়েছেন। এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের মাসুম রেজা পেয়েছেন ১৩ ভোট। এ ছাড়া গোলাপ ফুল প্রতীকের আবু বক্কার ১০৩, ঢোল প্রতীকের জিয়াউর রহমান ২৪৪ ও মোটরসাইকেল প্রতীকের কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট। জামদিয়ায় ৫ প্রার্থীর ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে হাতুড়ি প্রতীকের মুস্তাফিজুর রহমান ৩৩ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের সেলিম রেজা ১৩৫ ও হাতপাখা প্রতীকের খায়রুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ১০২০ ভোট।
এদিকে ধলগ্রামে মাত্র দুজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে আনারস প্রতীকের আতিয়ার রহমান সরদার মাত্র ২৭৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ইউনিয়নটিতে মোট ১১ হাজার ২৭৯টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে ১১ হাজার ২ ভোট পেয়ে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের রবিউল ইসলাম জয়লাভ করেছেন।
শার্শা: শার্শায় ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে গত রোববার নির্বাচন হয়েছে ১০ টিতে। এখানে নৌকার প্রার্থীর ৫ জন ও স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) ৫ জন জয়লাভ করেছেন। তবে শর্ত অনুযায়ী ৮ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় ১৯ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
শার্শা নির্বাচন অফিস তথ্য মতে, নিজামপুর ইউপিতে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। এদের মধ্যে আবুল হোসেন পেয়েছেন ১৬৭ ভোট ও ডায়মন্ত্র মোড়ল পান ৮৫ ভোট। ডিহীতে ১০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। এঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আরাফাত পেয়েছেন ৪১ ভোট, স্বতন্ত্র আব্দুল হক ২৩৭ ভোট, স্বতন্ত্র আব্দুল জলিল ৩৬ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রশিদ ৭৪৫ ভোট, স্বতন্ত্র কামাল হোসেন ১৫ ভোট, স্বতন্ত্র নূরইসলাম তরফদার ৯ ভোট।
শার্শা সদর ইউপিতে ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুজন। এদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ইফাজ উদ্দীন পেয়েছেন ১৬৭১ ভোট ও স্বতন্ত্রের সোহারব হোসেন ৩৩০ ভোট। উলাশীতে ৪ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন দুজন।
এরা হলেন স্বতন্ত্রের আয়নাল হক ২১৩ ভোট ও রফিকুল ইসলাম ১৭১ ভোট। বাহাদুরপুরে ৫ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্রের মুকুল হোসেন ১৬ ভোট, মিনাজুর ইসলাম ৯৪২ ও ইসলামী আন্দোলনের সাহেব আলী ২৫৬ ভোট।
বাগআঁচড়ার ৩ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারান ৩১৭ ভোট পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেহেদী হাসান। কায়বার ৩ প্রার্থীর মধ্যে ১০৯ ভোট পেয়ে জামানত হারান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুন নাহার। গোগায় ৩ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা খাতুন। লক্ষণপুরে ৪ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারান দুজন। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন ২১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের রুহুল আমিন ১৯৮ ভোট।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে