স্ত্রীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে মোটরসাইকেল ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলাম সেতু নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি আখতারকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তাঁর স্বামী সিরাজুলকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে গত রোববার রাতে বৃষ্টিকে তেলধাপ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও মিডিয়া মুখপাত্র শরাফত ইসলাম।

শরাফত ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বগুড়া সদর থানার দাড়িয়াল গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব লটারিতে একটি ১৬০ সিসির মোটরসাইকেল জেতেন। ওয়াহাব ও তাঁর ছেলে রবিন (১৭) মোটরসাইকেলটি চালান। পার্শ্ববর্তী তেলধাপ গ্রামের সিরাজুল মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী তাঁর স্ত্রী বৃষ্টিকে রবিনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দেন এবং তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতে বলেন।

শরাফত ইসলাম আরও বলেন, স্বামীর পরামর্শে বৃষ্টি রবিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর রবিনকে দেখা করার প্রস্তাব দেন বৃষ্টি। সেই অনুযায়ী ৯ আগস্ট দুপুরের পর রবিন তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার নরপতির ধাপ এলাকায় যায়। সেখানে বৃষ্টি তাঁর স্বামীকে মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দেন। তিনি রবিনের সঙ্গে গল্প করার সময় কৌশলে চেতনানাশকমিশ্রিত কোমল পানীয় পান করান। কিছুক্ষণের মধ্যে রবিন অসুস্থ বোধ করে। এমন সময় বৃষ্টির স্বামী তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা রবিনের বন্ধু ও বৃষ্টিকে সেখানে বসে প্রেম করার অপরাধে থাপ্পড় দেন। এরপর মোটরসাইকেলসহ নীরবকে তুলে নিয়ে যান। কিছু দূর গিয়ে রবিনের বন্ধুকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে সিরাজুল পালিয়ে যান। পরে গত রোববার রবিনের মা রোজিনা আখতার শিবগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে পুলিশ বৃষ্টিকে গ্রেপ্তার করে। বৃষ্টির দেওয়া তথ্যমতে দিনাজপুরের বিরামপুর থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।