তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
মোহাম্মদ শাহজাহানের বয়স যখন এক মাস, তখনই তাঁর মা মারা যান। বাবা আরেক বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন। এরপর শাহজাহান হয়ে পড়েন পথশিশু। এখানে-ওখানে ধাক্কা খেতে খেতে বড় হন খুব কষ্টে। একটু বড় হতেই কাজ নেন কাভার্ডভ্যানের সহকারী হিসেবে। কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় হন চালক।
স্বপ্নের দুনিয়াটা যেন একটু একটু করেই বড় হচ্ছিল এই তরুণের। সেই স্বপ্ন এত দ্রুত যে শেষ হয়ে যাবে কে জানত! সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে কনটেইনার ওঠানামার কাভার্ডভ্যান চালাতেন শাহজাহান। গত শনিবার রাতে সেই ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আর তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না।
গতকাল সকালে শাহজাহানের খোঁজে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। বাবার খোঁজে মুখের নমুনা দেয় ছয় বছরের রিহান আহমেদ। তার মা রেশমি বেগমেরও নমুনা নেওয়া হয়। তাঁদের আশঙ্কা, শাহজাহান আর বেঁচে নেই।
মেয়ে ও দুই নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন মোহাম্মদ লিটন। লিটন নিজেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। সেই আয়ে কোনোরকমে চলে সংসার। এখন শাহজাহানের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় দুই নাতি আর মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন লিটন।
বিস্ফোরণের একটু আগেও শাহজাহানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল শ্বশুর লিটনের। মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলার সেই স্মৃতিচারণ করেন লিটন এভাবে, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন সে বলছিল, তার গাড়ি ভেতরে নিরাপদে রেখে এসেছে। ভেতরে আরেকজন চালক অবস্থান করছে। তাকে নিয়ে একেবারে বের হবে। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি।’
লিটন আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, ‘শাহজাহানকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম বের হয়ে আসতে। সে কোনো কথাই শুনল না। সে আগুনের ছবি তুলছিল। নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলে আজ তাকে হারাতে হতো না।’
লিটন বলেন, ‘শাহজাহান খুব কষ্টে বড় হয়েছে। এক মাস বয়সে মা মারা যাওয়ার পর এখানে ওখানে দিন কেটেছে তাঁর। আট বছর আগে মেয়েকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দেন। দুই দিনেও খোঁজ পেলাম না। অলৌকিক কিছু না ঘটলে তাকে তো আর জীবিত পাব না। এখন যদি মরদেহটাও পাই, তাহলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। মরদেহটা মনসুরাবাদে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করতাম।’ বলতে বলতে লিটনের চোখ কান্নায় ঝাপসা হয়ে আসে, গলা ধরে আসে।
সেই কান্না সামলে উঠলেও লিটনের গলায় আবার দুঃখের সুর। বলেন, ‘গাড়ি চালিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। নিজের চার মেয়ে। দুজনকে বিয়ে দিয়েছি। এখন একজন স্বামীহারা হলো। মেয়ে আর দুই নাতিকে তো আগলে রাখতে হবে। কীভাবে যে সামনের দিনগুলো পাড়ি দেব, ভাবতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।’
মোহাম্মদ শাহজাহানের বয়স যখন এক মাস, তখনই তাঁর মা মারা যান। বাবা আরেক বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন। এরপর শাহজাহান হয়ে পড়েন পথশিশু। এখানে-ওখানে ধাক্কা খেতে খেতে বড় হন খুব কষ্টে। একটু বড় হতেই কাজ নেন কাভার্ডভ্যানের সহকারী হিসেবে। কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় হন চালক।
স্বপ্নের দুনিয়াটা যেন একটু একটু করেই বড় হচ্ছিল এই তরুণের। সেই স্বপ্ন এত দ্রুত যে শেষ হয়ে যাবে কে জানত! সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে কনটেইনার ওঠানামার কাভার্ডভ্যান চালাতেন শাহজাহান। গত শনিবার রাতে সেই ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আর তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না।
গতকাল সকালে শাহজাহানের খোঁজে ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। বাবার খোঁজে মুখের নমুনা দেয় ছয় বছরের রিহান আহমেদ। তার মা রেশমি বেগমেরও নমুনা নেওয়া হয়। তাঁদের আশঙ্কা, শাহজাহান আর বেঁচে নেই।
মেয়ে ও দুই নাতিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন মোহাম্মদ লিটন। লিটন নিজেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। সেই আয়ে কোনোরকমে চলে সংসার। এখন শাহজাহানের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় দুই নাতি আর মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন লিটন।
বিস্ফোরণের একটু আগেও শাহজাহানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল শ্বশুর লিটনের। মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলার সেই স্মৃতিচারণ করেন লিটন এভাবে, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন সে বলছিল, তার গাড়ি ভেতরে নিরাপদে রেখে এসেছে। ভেতরে আরেকজন চালক অবস্থান করছে। তাকে নিয়ে একেবারে বের হবে। এর মধ্যে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি।’
লিটন আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, ‘শাহজাহানকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম বের হয়ে আসতে। সে কোনো কথাই শুনল না। সে আগুনের ছবি তুলছিল। নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলে আজ তাকে হারাতে হতো না।’
লিটন বলেন, ‘শাহজাহান খুব কষ্টে বড় হয়েছে। এক মাস বয়সে মা মারা যাওয়ার পর এখানে ওখানে দিন কেটেছে তাঁর। আট বছর আগে মেয়েকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দেন। দুই দিনেও খোঁজ পেলাম না। অলৌকিক কিছু না ঘটলে তাকে তো আর জীবিত পাব না। এখন যদি মরদেহটাও পাই, তাহলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। মরদেহটা মনসুরাবাদে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করতাম।’ বলতে বলতে লিটনের চোখ কান্নায় ঝাপসা হয়ে আসে, গলা ধরে আসে।
সেই কান্না সামলে উঠলেও লিটনের গলায় আবার দুঃখের সুর। বলেন, ‘গাড়ি চালিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। নিজের চার মেয়ে। দুজনকে বিয়ে দিয়েছি। এখন একজন স্বামীহারা হলো। মেয়ে আর দুই নাতিকে তো আগলে রাখতে হবে। কীভাবে যে সামনের দিনগুলো পাড়ি দেব, ভাবতেই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে