হালিম আজাদ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কল্যাণমুখী রাজনীতির অনুরক্ত অনুসারী এবং জাতির প্রয়োজনে রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে সত্যনিষ্ঠ কান্ডারি ছিলেন আলী আহম্মদ চুনকা। তাঁর রাজনীতির ক্ষেত্রে ছিল যদিও প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ, কিন্তু অকুতোভয় এবং সাধারণ মানুষের সাহসী রাজনীতির ধারক হিসেবে তিনি সারা দেশের রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ কারণে তাঁর কথা মানুষ মনে রেখেছে, তিনি না থাকলেও তাঁকে আদর্শবাদী রাজনীতির অনুসারী হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে অভিষিক্ত করেছে শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, সমগ্র দেশের রাজনৈতিক কর্মীরাও।
১৯৪৮ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর রাজনীতির মূল অঙ্গন ছিল আওয়ামী লীগের আদর্শ ও ভাবধারা। নারায়ণগঞ্জের শিল্প, বন্দর, কারখানা, খেটে খাওয়া শ্রমিক, দিনমজুর, অল্প আয়ের জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত আন্দোলন-সংগ্রামে যেমন অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর আদর্শের রাজনীতির ঝান্ডা আজীবন ঊর্ধ্বে তুলে ধরে রেখেছিলেন তিনি।
তাঁর জন্ম শিল্প, বন্দর ও বাণিজ্য নগর নারায়ণগঞ্জে, ১৯৩৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর। একটি কৃষক পরিবারে। মেধাবী ও সাহসী চুনকা খুব অল্প বয়স থেকেই সমাজকর্ম ও রাজনীতিতে জড়িয়ে যান। ছাত্রজীবনেই পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য রাজপথের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সত্যনিষ্ঠ রাজনৈতিক আদর্শ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ-সরল সম্পর্কের কারণে খুব সহজেই তিনি নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয়জন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাহসী কর্মী হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে আগমন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ ও ১৯৮৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি বিপুল উন্নয়নমূলক কাজ করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগকে চুনকা ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। এ কারণে চুনকা হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের নেতা। উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অবহেলিত মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনে থেকেছেন সদাব্যস্ত।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দলের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রকাশ্যে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, কিন্তু আলী আহম্মদ চুনকা আত্মগোপন করেননি। সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রকাশ্যে রাজপথে প্রতিবাদী অনুষ্ঠান পরিচালনায় কাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁকেও জেলে যেতে হয়। কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের সাহস দিয়ে তাঁদের কাজ চালিয়ে জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবি জানানোর কাজে সহায়তা করেন। তিনি আজীবন সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীদের সহায়তা করতেন বিভিন্নভাবে। তাঁর বাড়ি ছিল সর্বস্তরের মানুষের প্রিয় ঠিকানা। একজন জননেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন তিনি। রাজনীতিতে তাঁর কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। রাজনীতির পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রসেনানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, সুধীজন পাঠাগার, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের জায়গা বরাদ্দ দেন তিনি। শহরের জামতলা ঈদগাহ মাঠ, লাঙ্গলবন্দ স্নানাগার, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল, সোনারগাঁ জাদুঘর, জিমখানা মাঠ, পৌর পাঠাগার, চাষাঢ়া স্টেডিয়াম তিনিই সংস্কার করেন। তাঁর পরিশ্রমে শহরের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে। কাবাডি খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। এ কারণে নিজ জেলায় বিভিন্ন খেলার মাঠ নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক সাবলীল ধারার ব্যক্তিত্ব আলী আহম্মদ চুনকা। সব ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সমান জনপ্রিয়। এ কারণেই জীবিত চুনকার চেয়ে প্রয়াত চুনকা অনেক বেশি গৌরবের আসনে সিক্ত হয়ে আছেন।
১৯৮৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোক গমন করেন। তাঁর কন্যা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পিতাকে নিয়ে ‘বাবা, তুমি আমার অহংকার’ শীর্ষক লেখাটিতে বলেছেন, ‘বাবার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি চলমান যেকোনো ঘটনাকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে আলাদাভাবে চিন্তা করতেন এবং সেই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। পৌরসভার প্রথম পাঁচ বছরের সাফল্য তাঁকে দ্বিতীয় দফা ১৯৭৭ সালে আবার বিজয়ী করল। তিনি রাজনীতিতে একজন সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী ঘরানার এবং তাঁর বিশিষ্ট বন্ধু খাজা মহিউদ্দিন ও খোকা মহিউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচন করলেন। তখন বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘‘তাদের মধ্যে যে জয়ী হয়ে আসবে, সেই আমার লোক।’’ বাবা অনেক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। বঙ্গবন্ধু বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘‘আমি জানতাম চুনকা তুই জয়ী হবি, আমার কালো মানিক আয় আমার বুকে আয়।’’ এভাবে বাবাকে আলিঙ্গন করলেন বঙ্গবন্ধু।’
এটা আলী আহম্মদ চুনকার প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এভাবে আলী আহম্মদ চুনকাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব।
হালিম আজাদ, কবি ও সাংবাদিক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কল্যাণমুখী রাজনীতির অনুরক্ত অনুসারী এবং জাতির প্রয়োজনে রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে সত্যনিষ্ঠ কান্ডারি ছিলেন আলী আহম্মদ চুনকা। তাঁর রাজনীতির ক্ষেত্রে ছিল যদিও প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ, কিন্তু অকুতোভয় এবং সাধারণ মানুষের সাহসী রাজনীতির ধারক হিসেবে তিনি সারা দেশের রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ কারণে তাঁর কথা মানুষ মনে রেখেছে, তিনি না থাকলেও তাঁকে আদর্শবাদী রাজনীতির অনুসারী হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে অভিষিক্ত করেছে শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, সমগ্র দেশের রাজনৈতিক কর্মীরাও।
১৯৪৮ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর রাজনীতির মূল অঙ্গন ছিল আওয়ামী লীগের আদর্শ ও ভাবধারা। নারায়ণগঞ্জের শিল্প, বন্দর, কারখানা, খেটে খাওয়া শ্রমিক, দিনমজুর, অল্প আয়ের জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত আন্দোলন-সংগ্রামে যেমন অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর আদর্শের রাজনীতির ঝান্ডা আজীবন ঊর্ধ্বে তুলে ধরে রেখেছিলেন তিনি।
তাঁর জন্ম শিল্প, বন্দর ও বাণিজ্য নগর নারায়ণগঞ্জে, ১৯৩৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর। একটি কৃষক পরিবারে। মেধাবী ও সাহসী চুনকা খুব অল্প বয়স থেকেই সমাজকর্ম ও রাজনীতিতে জড়িয়ে যান। ছাত্রজীবনেই পঞ্চাশের দশকের শুরুতে তিনি দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য রাজপথের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সত্যনিষ্ঠ রাজনৈতিক আদর্শ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ-সরল সম্পর্কের কারণে খুব সহজেই তিনি নিজ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয়জন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাহসী কর্মী হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে আগমন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ ও ১৯৮৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি বিপুল উন্নয়নমূলক কাজ করেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগকে চুনকা ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। এ কারণে চুনকা হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের নেতা। উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অবহেলিত মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনে থেকেছেন সদাব্যস্ত।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দলের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। প্রকাশ্যে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, কিন্তু আলী আহম্মদ চুনকা আত্মগোপন করেননি। সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রকাশ্যে রাজপথে প্রতিবাদী অনুষ্ঠান পরিচালনায় কাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁকেও জেলে যেতে হয়। কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের সাহস দিয়ে তাঁদের কাজ চালিয়ে জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবি জানানোর কাজে সহায়তা করেন। তিনি আজীবন সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীদের সহায়তা করতেন বিভিন্নভাবে। তাঁর বাড়ি ছিল সর্বস্তরের মানুষের প্রিয় ঠিকানা। একজন জননেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন তিনি। রাজনীতিতে তাঁর কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। রাজনীতির পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে অগ্রসেনানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, সুধীজন পাঠাগার, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের জায়গা বরাদ্দ দেন তিনি। শহরের জামতলা ঈদগাহ মাঠ, লাঙ্গলবন্দ স্নানাগার, নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল, সোনারগাঁ জাদুঘর, জিমখানা মাঠ, পৌর পাঠাগার, চাষাঢ়া স্টেডিয়াম তিনিই সংস্কার করেন। তাঁর পরিশ্রমে শহরের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে। কাবাডি খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। এ কারণে নিজ জেলায় বিভিন্ন খেলার মাঠ নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক সাবলীল ধারার ব্যক্তিত্ব আলী আহম্মদ চুনকা। সব ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সমান জনপ্রিয়। এ কারণেই জীবিত চুনকার চেয়ে প্রয়াত চুনকা অনেক বেশি গৌরবের আসনে সিক্ত হয়ে আছেন।
১৯৮৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোক গমন করেন। তাঁর কন্যা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী পিতাকে নিয়ে ‘বাবা, তুমি আমার অহংকার’ শীর্ষক লেখাটিতে বলেছেন, ‘বাবার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি চলমান যেকোনো ঘটনাকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে আলাদাভাবে চিন্তা করতেন এবং সেই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেছেন। পৌরসভার প্রথম পাঁচ বছরের সাফল্য তাঁকে দ্বিতীয় দফা ১৯৭৭ সালে আবার বিজয়ী করল। তিনি রাজনীতিতে একজন সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী ঘরানার এবং তাঁর বিশিষ্ট বন্ধু খাজা মহিউদ্দিন ও খোকা মহিউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচন করলেন। তখন বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘‘তাদের মধ্যে যে জয়ী হয়ে আসবে, সেই আমার লোক।’’ বাবা অনেক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। বঙ্গবন্ধু বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘‘আমি জানতাম চুনকা তুই জয়ী হবি, আমার কালো মানিক আয় আমার বুকে আয়।’’ এভাবে বাবাকে আলিঙ্গন করলেন বঙ্গবন্ধু।’
এটা আলী আহম্মদ চুনকার প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এভাবে আলী আহম্মদ চুনকাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব।
হালিম আজাদ, কবি ও সাংবাদিক
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে