রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুরে
অনেক আগেই হারিয়েছে ১, ৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সার কয়েন। তবে লেনদেনে পাঁচ টাকার কয়েনের ব্যবহার থাকলেও এক ও দুই টাকার কয়েনের প্রচলন একেবারই নেই। চার টাকা মূল্যের কোনো পণ্য কিনে পাঁচ টাকার কয়েন বা নোট দিলে দোকানিরা ভাংতি নেই বলে এক টাকা ফেরত দেন না। আবার অনেক সময় এক টাকার বদলে ধরিয়ে দেন চকলেট।
মেহেরপুর পৌর শহরের মুদি দোকানি বিশু দাশ এক ও দুই টাকার কয়েনের বদলে চকলেট ধরিয়ে দেন। এতে করে ক্রেতার সঙ্গে বাঁধে তাঁর বিবাদ। খুব বিরক্তি নিয়ে বিশু দাশ বলেন, ‘এক ও দুই টাকার কয়েন একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। কেউ নিতে চান না। এমনি ভিক্ষুকরাও কয়েন দিলে ফেরত দেয়।’
আইন অনুযায়ী বিনিময়ের সময় কাগজি নোটের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত সব মূল্যমানের কয়েন নিতে সবাই বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে লেনদেনের সময় এক ও দুই টাকার কয়েন নিতে মেহেরপুরবাসীর অনীহা। ফলে এসব খুচরা পয়সা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার ব্যবসায়ীসহ সব পর্যায়ের মানুষ।
পৌর শহরের কসমেটিক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এক ও দুই টাকার কয়েন ক্রেতারা নিতে চান না। এ কারণে দোকানিদের কাছে পর্যাপ্ত কয়েন পড়ে থাকার পরও সেগুলো চালানো যাচ্ছে না। কয়েক বছর হলো কয়েনের ব্যবহার একেবারে কমে গেছে।’
কলা ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম যশোরের ঘোপ এলাকায় কলার আড়ত পরিচালনা করেন। মেহেরপুর থেকে ট্রাকে করে কলা কিনে সেখানে বিক্রি করেন। শহরের হোটেল বাজার মোড়ে মুদি দোকানির সঙ্গে দুই টাকার কয়েন নিয়ে বিবাদ বাঁধে তাঁর। তিনি বলেন, ‘যশোরে এক দুই টাকার কয়েন সচল রয়েছে। কিন্তু মেহেরপুরে দুই টাকার কয়েন নিতে চাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।’
মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দ্বিপু বলেন, ‘ব্যাংকগুলো সঠিক সময়ে বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় কয়েনের সংকট তৈরি হয়েছে। বাজারে এক ও দুই টাকার কয়েন না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক টাকার কোনো পণ্য ক্রয় করলে ক্রেতাকে যেমন দুই টাকা পরিশোধ করতে হয়। তেমনি বিক্রেতাকে চার টাকার পণ্য কিনলে দুই টাকা ফেরত দিতে হয়।’
মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা (ক্যাশ) সেলিম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের প্রতিটি শাখাকে ১২ হাজার কয়েন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আমরা সেটি নিয়ে থাকি। কিন্তু সে কয়েনগুলো আর গ্রাহককেও দিতে পারি না। আবার ওই কয়েনগুলো ছাড়াও অতিরিক্ত কয়েন নিলে আমাদের ভোল্টেও রাখতে পারি না। এখন আমাদের কাছে অনেক কয়েন জমা পড়ে রয়েছে। কেউ চাইলে আমরা দিতে পারি। ফলে কয়েন নিয়ে আমাদেরও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার অনেক সময় বেশি কয়েন নিয়ে গ্রাহকেরা এলেও সেগুলো গণনাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’
জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান বলেন, ‘যেকোনো কয়েন সরকারি আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রেতা-বিক্রেতার নেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ নিতে না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আবার ব্যাংকের বেলায়ও একই আইন।’
অনেক আগেই হারিয়েছে ১, ৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সার কয়েন। তবে লেনদেনে পাঁচ টাকার কয়েনের ব্যবহার থাকলেও এক ও দুই টাকার কয়েনের প্রচলন একেবারই নেই। চার টাকা মূল্যের কোনো পণ্য কিনে পাঁচ টাকার কয়েন বা নোট দিলে দোকানিরা ভাংতি নেই বলে এক টাকা ফেরত দেন না। আবার অনেক সময় এক টাকার বদলে ধরিয়ে দেন চকলেট।
মেহেরপুর পৌর শহরের মুদি দোকানি বিশু দাশ এক ও দুই টাকার কয়েনের বদলে চকলেট ধরিয়ে দেন। এতে করে ক্রেতার সঙ্গে বাঁধে তাঁর বিবাদ। খুব বিরক্তি নিয়ে বিশু দাশ বলেন, ‘এক ও দুই টাকার কয়েন একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। কেউ নিতে চান না। এমনি ভিক্ষুকরাও কয়েন দিলে ফেরত দেয়।’
আইন অনুযায়ী বিনিময়ের সময় কাগজি নোটের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত সব মূল্যমানের কয়েন নিতে সবাই বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে লেনদেনের সময় এক ও দুই টাকার কয়েন নিতে মেহেরপুরবাসীর অনীহা। ফলে এসব খুচরা পয়সা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার ব্যবসায়ীসহ সব পর্যায়ের মানুষ।
পৌর শহরের কসমেটিক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এক ও দুই টাকার কয়েন ক্রেতারা নিতে চান না। এ কারণে দোকানিদের কাছে পর্যাপ্ত কয়েন পড়ে থাকার পরও সেগুলো চালানো যাচ্ছে না। কয়েক বছর হলো কয়েনের ব্যবহার একেবারে কমে গেছে।’
কলা ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম যশোরের ঘোপ এলাকায় কলার আড়ত পরিচালনা করেন। মেহেরপুর থেকে ট্রাকে করে কলা কিনে সেখানে বিক্রি করেন। শহরের হোটেল বাজার মোড়ে মুদি দোকানির সঙ্গে দুই টাকার কয়েন নিয়ে বিবাদ বাঁধে তাঁর। তিনি বলেন, ‘যশোরে এক দুই টাকার কয়েন সচল রয়েছে। কিন্তু মেহেরপুরে দুই টাকার কয়েন নিতে চাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।’
মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দ্বিপু বলেন, ‘ব্যাংকগুলো সঠিক সময়ে বাজারে সরবরাহ করতে না পারায় কয়েনের সংকট তৈরি হয়েছে। বাজারে এক ও দুই টাকার কয়েন না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক টাকার কোনো পণ্য ক্রয় করলে ক্রেতাকে যেমন দুই টাকা পরিশোধ করতে হয়। তেমনি বিক্রেতাকে চার টাকার পণ্য কিনলে দুই টাকা ফেরত দিতে হয়।’
মেহেরপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা (ক্যাশ) সেলিম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের প্রতিটি শাখাকে ১২ হাজার কয়েন নেওয়া বাধ্যতামূলক। আমরা সেটি নিয়ে থাকি। কিন্তু সে কয়েনগুলো আর গ্রাহককেও দিতে পারি না। আবার ওই কয়েনগুলো ছাড়াও অতিরিক্ত কয়েন নিলে আমাদের ভোল্টেও রাখতে পারি না। এখন আমাদের কাছে অনেক কয়েন জমা পড়ে রয়েছে। কেউ চাইলে আমরা দিতে পারি। ফলে কয়েন নিয়ে আমাদেরও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার অনেক সময় বেশি কয়েন নিয়ে গ্রাহকেরা এলেও সেগুলো গণনাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এতে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।’
জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান বলেন, ‘যেকোনো কয়েন সরকারি আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রেতা-বিক্রেতার নেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ নিতে না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আবার ব্যাংকের বেলায়ও একই আইন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে