মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৫ সালে। ৪৬ বছর পার করলেও নিজস্ব ভবন ছাড়াই চলছে এ পৌরসভার কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ভবনে কোনো রকমে চলছে পৌর কার্যক্রম। বন্দর কর্তৃপক্ষের যেসব ভবন পৌর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে তার সবই ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত বলে জানা গেছে।
মোংলা বন্দর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ২১ দশমিক ৩৩ বর্গকিলোমিটারের প্রথম শ্রেণির মোংলা বন্দর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে মোংলা বন্দরের ২৭ শতক জমি ইজারা নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই জমিতে নির্মিত ছোট্ট একটি ভবন ভাড়া নিয়ে এ পৌর কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক করে দেন জেলা প্রশাসক। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৩৬টি বছর। পরে ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে বন্দরের এ ভবন থেকে ও ভবনে স্থানান্তর হতে থাকে পৌর কার্যালয়। বর্তমানে বন্দরের জরাজীর্ণ তিনতলা একটি ভবন ভাড়া নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সাত বছর ধরে এ ভবনেই চলছে পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ।
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, ২০ কক্ষের তিনতলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের কক্ষে বসেন মেয়র, সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী। নিচতলার দক্ষিণ পাশে অফিস সহায়ক ও নাগরিক সনদপত্র দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ চলছে। হোল্ডিং, ট্যাক্স ও করসেবা চলছে পূর্ব পাশে। আর উত্তর পাশে ট্রেড লাইসেন্স ও কনঞ্জারভেন্সি কার্যক্রমসহ দক্ষিণ পাশে চলছে সিভিল প্রকৌশলীর ও পানি শাখার কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চ পাতা আছে।
আরও দেখা গেছে, ভবনের তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। অনেক জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে। নিচ ও দোতলা থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনতলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনতলার ভবনটি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের হাসপাতাল ছিল। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরবর্তী সময়ে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী আজম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াসিম আরমান, আব্দুল জলিল ও কেয়া বেগম বলেন, ‘এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভবনও এর চেয়ে ভালো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আমাদের পৌরসভার কাজ চলছে। পৌরসভার আধুনিক কার্যালয় নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’
পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনেক দুঃখ। ৪৬ বছরেও আমরা পৌরসভার জন্য কোনো স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারিনি। ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হচ্ছে। আমার আগে যাঁরা মেয়র বা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেননি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘নতুন পৌর ভবনের জন্য ৫২ শতক জায়গার প্রয়োজন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আমি স্থায়ী জায়গার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছি। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ৫২ শতাংশ জায়গা চেয়ে আবেদনও করেছি। অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছেও জায়গার জন্য আবেদন জানিয়েছি। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। জায়গা পেলে শিগগির পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারব।’
বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৫ সালে। ৪৬ বছর পার করলেও নিজস্ব ভবন ছাড়াই চলছে এ পৌরসভার কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ভবনে কোনো রকমে চলছে পৌর কার্যক্রম। বন্দর কর্তৃপক্ষের যেসব ভবন পৌর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে তার সবই ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত বলে জানা গেছে।
মোংলা বন্দর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ২১ দশমিক ৩৩ বর্গকিলোমিটারের প্রথম শ্রেণির মোংলা বন্দর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে মোংলা বন্দরের ২৭ শতক জমি ইজারা নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই জমিতে নির্মিত ছোট্ট একটি ভবন ভাড়া নিয়ে এ পৌর কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি মাসে ২২ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক করে দেন জেলা প্রশাসক। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৩৬টি বছর। পরে ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে বন্দরের এ ভবন থেকে ও ভবনে স্থানান্তর হতে থাকে পৌর কার্যালয়। বর্তমানে বন্দরের জরাজীর্ণ তিনতলা একটি ভবন ভাড়া নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সাত বছর ধরে এ ভবনেই চলছে পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ।
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, ২০ কক্ষের তিনতলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের কক্ষে বসেন মেয়র, সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী। নিচতলার দক্ষিণ পাশে অফিস সহায়ক ও নাগরিক সনদপত্র দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ চলছে। হোল্ডিং, ট্যাক্স ও করসেবা চলছে পূর্ব পাশে। আর উত্তর পাশে ট্রেড লাইসেন্স ও কনঞ্জারভেন্সি কার্যক্রমসহ দক্ষিণ পাশে চলছে সিভিল প্রকৌশলীর ও পানি শাখার কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চ পাতা আছে।
আরও দেখা গেছে, ভবনের তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। অনেক জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে। নিচ ও দোতলা থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনতলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনতলার ভবনটি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের হাসপাতাল ছিল। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরবর্তী সময়ে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী আজম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াসিম আরমান, আব্দুল জলিল ও কেয়া বেগম বলেন, ‘এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভবনও এর চেয়ে ভালো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আমাদের পৌরসভার কাজ চলছে। পৌরসভার আধুনিক কার্যালয় নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।’
পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অনেক দুঃখ। ৪৬ বছরেও আমরা পৌরসভার জন্য কোনো স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারিনি। ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হচ্ছে। আমার আগে যাঁরা মেয়র বা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেননি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘নতুন পৌর ভবনের জন্য ৫২ শতক জায়গার প্রয়োজন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আমি স্থায়ী জায়গার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছি। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ৫২ শতাংশ জায়গা চেয়ে আবেদনও করেছি। অন্যদিকে বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছেও জায়গার জন্য আবেদন জানিয়েছি। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। জায়গা পেলে শিগগির পৌরসভার নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে