সম্পাদকীয়
আজ চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর চার দিনের এই সফর নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। আছে অনেক কৌতূহলও। এমন প্রশ্নও আছে, এই সফর প্রতিবেশী ভারত কতটুকু সুনজরে দেখছে? সীমান্তবিরোধসহ চীনের সঙ্গে ভারতের কিছু সমস্যা রয়েছে।
তাই বাংলাদেশের চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া ভারতের পছন্দ না হওয়ারই কথা। তবে চীনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে আসায় এমনও ধারণা আছে যে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ এমন কোনো চুক্তি বা সহযোগিতায় যাবে না, যা ভারতকে বিব্রত করতে পারে।
সরকারের যাঁরা সমালোচক, যাঁরা সবকিছুর মধ্যে শুধু মন্দ খোঁজেন, তাঁরা বাদে অন্য সবাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছেন।
এই সফর নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যেই আগ্রহ আছে। চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের যেমন কিছু চাওয়ার আছে, তেমনি বাংলাদেশের কাছ থেকে চীনেরও কিছু প্রত্যাশা আছে। পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারণ হয়ে থাকে। সমতার ভিত্তিতেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা ও শীতলতা মাপা হয়।
সব দিক বিবেচনা করে দুই দেশই প্রধানমন্ত্রীর সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে ধরনের কৌশলগত সহযোগিতার ব্যাপারে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ৮ বছর ধরে বাংলাদেশ এবং চীন তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমাগত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য-সহযোগিতা করার সক্ষমতা চীনের আছে। আমাদের চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ডলার সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ। ৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ রিজার্ভ-সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়ে চীনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এ নিয়ে নতুন ঘোষণা আসবে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে দুই দেশের কৌশলগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি, যার বিস্তারিত যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।’
দুই বছর পর বাংলাদেশ যখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে আমরা চীনের বাজার থেকে যে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাই, তখন আর তা থাকবে না। ২০২৬ সালের পর মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এ দেশের বাণিজ্যকে যতটা সুষম করা যায়, সে বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর নির্দেশনা আসতে পারে।
চীনের কাছ থেকে বড় ঋণ নিয়ে কোনো কোনো দেশ ফাঁদে পড়েছে বলে প্রচারণা আছে। এ বিষয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষকদের বক্তব্য হলো, কোন দেশ ঋণ দিচ্ছে সেটা বিষয় নয়, কোন প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়া হচ্ছে, দেখার বিষয় সেটা। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক প্রকল্পের জন্যই ঋণ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। চীনা ঋণ নেওয়ার আগে বিবেচনাবোধের পরিচয় দেওয়া হবে নিশ্চয়ই।
আজ চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর চার দিনের এই সফর নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। আছে অনেক কৌতূহলও। এমন প্রশ্নও আছে, এই সফর প্রতিবেশী ভারত কতটুকু সুনজরে দেখছে? সীমান্তবিরোধসহ চীনের সঙ্গে ভারতের কিছু সমস্যা রয়েছে।
তাই বাংলাদেশের চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া ভারতের পছন্দ না হওয়ারই কথা। তবে চীনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে আসায় এমনও ধারণা আছে যে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ এমন কোনো চুক্তি বা সহযোগিতায় যাবে না, যা ভারতকে বিব্রত করতে পারে।
সরকারের যাঁরা সমালোচক, যাঁরা সবকিছুর মধ্যে শুধু মন্দ খোঁজেন, তাঁরা বাদে অন্য সবাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছেন।
এই সফর নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যেই আগ্রহ আছে। চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের যেমন কিছু চাওয়ার আছে, তেমনি বাংলাদেশের কাছ থেকে চীনেরও কিছু প্রত্যাশা আছে। পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই এখন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ধারণ হয়ে থাকে। সমতার ভিত্তিতেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা ও শীতলতা মাপা হয়।
সব দিক বিবেচনা করে দুই দেশই প্রধানমন্ত্রীর সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে ধরনের কৌশলগত সহযোগিতার ব্যাপারে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ৮ বছর ধরে বাংলাদেশ এবং চীন তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমাগত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য-সহযোগিতা করার সক্ষমতা চীনের আছে। আমাদের চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ডলার সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ। ৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ রিজার্ভ-সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চেয়ে চীনকে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এ নিয়ে নতুন ঘোষণা আসবে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে দুই দেশের কৌশলগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি, যার বিস্তারিত যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।’
দুই বছর পর বাংলাদেশ যখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে আমরা চীনের বাজার থেকে যে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাই, তখন আর তা থাকবে না। ২০২৬ সালের পর মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এ দেশের বাণিজ্যকে যতটা সুষম করা যায়, সে বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর নির্দেশনা আসতে পারে।
চীনের কাছ থেকে বড় ঋণ নিয়ে কোনো কোনো দেশ ফাঁদে পড়েছে বলে প্রচারণা আছে। এ বিষয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষকদের বক্তব্য হলো, কোন দেশ ঋণ দিচ্ছে সেটা বিষয় নয়, কোন প্রকল্পের জন্য ঋণ নেওয়া হচ্ছে, দেখার বিষয় সেটা। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক প্রকল্পের জন্যই ঋণ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। চীনা ঋণ নেওয়ার আগে বিবেচনাবোধের পরিচয় দেওয়া হবে নিশ্চয়ই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে