নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীদের ৮৯ শতাংশ আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এ যৌথ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। গতকাল বুধবার সিভাসুতে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন মো. ইসমাইল খান।
উপাচার্য মো. ইসমাইল খান জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা এসব রোগীর রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিন, অক্সিজেনের চাপ, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ফেরিটিন এবং ডি ডাইমারের মাত্রায় মারাত্মক তারতম্য ছিল। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের হেরফেরের কারণে আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে ভর্তি হওয়া ২৩৪ রোগীর মধ্যে ১৫৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। সুস্থ হয়ে ফেরেন ৭৮ জন। মৃতদের ৭৩ শতাংশের বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা আগে থেকে নানান স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন।
জরিপে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার ঘন মিলিমিটার বেশি। তাঁদের শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা ছিল ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটার। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বেত রক্তকণিকা ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটারের বেশি হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মৃত ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম, যার গড় পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ ডেসিলিটার। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১২-১৭ ডেসিলিটার। এ ছাড়া মৃত্যু হওয়া ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের চাপ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে যায়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৭০-৯০ শতাংশ।
৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর রক্তে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিনের (সিআরপি) পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাভাবিক মাত্রা লিটারে ৫ মিলিগ্রামের কম। কিন্তু ওই রোগীদের মধ্যে সিআরপি প্রতি লিটারে গড়ে ১০২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আবার ৭৬ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর রক্তে ট্রপোনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শূন্য দশমিক ৮১ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত ছিল। এর স্বাভাবিক মাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ন্যানোগ্রাম। মৃত্যুবরণকারী ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ রোগীর রক্তে ডি-ডাইমারের পরিমাণ স্বাভাবিকের (০.৫ মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারের কম) চেয়ে উচ্চমাত্রায় ছিল, যা ছিল ২ দশমিক শূন্য ২ মাইক্রোগ্রাম।
মৃত্যুবরণকারী ৭৫ শতাংশ রোগীর রক্তে ফেরিটিনের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমাত্রায় ছিল, যার পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিলিটারে ৯০১ দশমিক ৫ ন্যানোগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ৯ থেকে ৩৭০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটার।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে মৃত্যু হওয়া ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী (১৩৯ জন) আগে এক বা একাধিক স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৯৩ জন ব্যক্তি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এই গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ, সিভাসুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ত্রিদীপ দাশ, সিভাসুর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভির আহমেদ নিজামী।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীদের ৮৯ শতাংশ আগে থেকে বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ২৩৪ জন রোগীর ওপর চার মাস ধরে গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এ যৌথ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। গতকাল বুধবার সিভাসুতে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন মো. ইসমাইল খান।
উপাচার্য মো. ইসমাইল খান জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা এসব রোগীর রক্তের শ্বেতকণিকা, হিমোগ্লোবিন, অক্সিজেনের চাপ, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ফেরিটিন এবং ডি ডাইমারের মাত্রায় মারাত্মক তারতম্য ছিল। এই উপাদানগুলোর বড় রকমের হেরফেরের কারণে আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরও তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে ভর্তি হওয়া ২৩৪ রোগীর মধ্যে ১৫৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। সুস্থ হয়ে ফেরেন ৭৮ জন। মৃতদের ৭৩ শতাংশের বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। সব মিলিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের কো-মরবিডিটি বা আগে থেকে নানান স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন।
জরিপে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৪ হাজার থেকে ১১ হাজার ঘন মিলিমিটার বেশি। তাঁদের শ্বেত রক্তকণিকার মাত্রা ছিল ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটার। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বেত রক্তকণিকা ২৬ হাজার ১১০ দশমিক ৬ ঘন মিলিমিটারের বেশি হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মৃত ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম, যার গড় পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ ডেসিলিটার। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১২-১৭ ডেসিলিটার। এ ছাড়া মৃত্যু হওয়া ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর অক্সিজেনের চাপ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে যায়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ৭০-৯০ শতাংশ।
৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীর রক্তে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিনের (সিআরপি) পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাভাবিক মাত্রা লিটারে ৫ মিলিগ্রামের কম। কিন্তু ওই রোগীদের মধ্যে সিআরপি প্রতি লিটারে গড়ে ১০২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
আবার ৭৬ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর রক্তে ট্রপোনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শূন্য দশমিক ৮১ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত ছিল। এর স্বাভাবিক মাত্রা শূন্য দশমিক ৪ ন্যানোগ্রাম। মৃত্যুবরণকারী ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ রোগীর রক্তে ডি-ডাইমারের পরিমাণ স্বাভাবিকের (০.৫ মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারের কম) চেয়ে উচ্চমাত্রায় ছিল, যা ছিল ২ দশমিক শূন্য ২ মাইক্রোগ্রাম।
মৃত্যুবরণকারী ৭৫ শতাংশ রোগীর রক্তে ফেরিটিনের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চমাত্রায় ছিল, যার পরিমাণ ছিল প্রতি মিলিলিটারে ৯০১ দশমিক ৫ ন্যানোগ্রাম। স্বাভাবিক মাত্রা ৯ থেকে ৩৭০ ন্যানোগ্রাম/মিলিলিটার।
গবেষণায় দেখা যায়, আইসিইউতে মৃত্যু হওয়া ৮৯ দশমিক এক শতাংশ রোগী (১৩৯ জন) আগে এক বা একাধিক স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৯৩ জন ব্যক্তি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এই গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহমেদ, জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট রাজদ্বীপ বিশ্বাস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মৌমিতা দাশ, সিভাসুর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ত্রিদীপ দাশ, সিভাসুর মলিকিউলার বায়োলজিস্ট প্রণেশ দত্ত, সিরাজুল ইসলাম ও তানভির আহমেদ নিজামী।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে