ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় হাইলাকাঠি গ্রাম পাটি গ্রাম নামে পরিচিত। শীতলপাটির জন্য এই গ্রামের নাম পাটি গ্রাম। প্রায় ১০০ পরিবার পাটি তৈরি এবং বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি। পুঁজিসংকট, আধুনিকতার ছোঁয়া ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিলুপ্তির পথে জাতিসংঘের ইউনেস্কের তালিকাভুক্ত এই শিল্প।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই শিল্পে। ফলে বেচাবিক্রিতে ভাটা পড়েছে। এতে শীতলপাটির কারিগরেরা পড়েছেন বিপাকে। প্রত্যেক পরিবার দেড় থেকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব মিলিয়ে ওই গ্রামের পাটিকরেরা প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন দাবি শীতলপাটি তৈরির কারিগর পাটিকর ও সমিতির নেতাদের।
প্রতিবছর পাটি তৈরির কাঁচামাল প্রস্তুত ও বুননের মৌসুমে এনজিও থেকে ঋণ নেন কারিগরেরা। মূলত কাঁচামাল সংগ্রহ করতেই তাঁরা ঋণ নেন। কাঁচামাল সংগ্রহ করে শুরু করেন শীতলপাটি বোনা। লক্ষ্য চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস। এই সময়ে পাটির চাহিদা থাকে বেশ। কিন্তু গত বছর করোনা মহামারির কারণে তৈরি করা অনেক পাটি এখনো অবিক্রীত রয়েছে। এতে ১ হাজার টাকা দামের একটি শীতলপাটি বিক্রি করতে হচ্ছে ৪শ থেকে ৫শ টাকায়। এতে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি কারিগরেরা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠি ও ডহরশংকর গ্রামে রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। পরিবারগুলো পাটি বুনে জীবিকা নির্বাহ করে। এ গ্রামের শত শত হেক্টর জমিজুড়ে রয়েছে পাটিগাছের বাগান। পাইত্রা চাষ ও কেনার জন্য প্রচুর মূলধন প্রয়োজন হয়। এ জন্য শিল্পীরা মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন। একটি পাটি বুনতে ৩-৪ জনের দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। যা বিক্রি করে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। মহাজনেরা প্রতি পাটিতে এক শ থেকে পাঁচ শ টাকা লাভ করেন।
হাইলাকাঠি গ্রামের বাবুল পাটিকর বলেন, ‘শীতে পাটিগাছ কেটে বেতি তৈরি (কাঁচামাল প্রস্তুত) করা হয়। এ সময়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিই। তা দিয়ে সংসার চালাই। গত বছর ঋণ নিয়ে ১২০টি শীতল পাটি বুনেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে কোথাও কোনো মেলা, মাহফিল বা অনুষ্ঠান না থাকায় পাটি বিক্রি হয়নি। প্রতিটি পাটি ১ হাজারের বেশি টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু সেই পাটি এখন আদামে (অনেক কম দামে) বিক্রি করতে হচ্ছে।’
নির্মল পাটিকর বলেন, ‘যে পাটি ১২শ টাকায় বিক্রি করি, গত মৌসুমে তা ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে।’
পাটিকর সমিতির সাবেক সভাপতি বলাই পাটিকর বলেন, ‘করোনার কারণে পাটি বিক্রি কমে গেছে। এতে কারিগরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের পাটি স্বল্পদামে গ্রামাঞ্চলে বিক্রির ফলে শীতল পাটির বিক্রি কমে গেছে, যা এই ব্যবসাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে সহজে ঋণ পেতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জোহর আলী। তিনি বলেন, ‘সহজ শর্তে ঋণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় হাইলাকাঠি গ্রাম পাটি গ্রাম নামে পরিচিত। শীতলপাটির জন্য এই গ্রামের নাম পাটি গ্রাম। প্রায় ১০০ পরিবার পাটি তৈরি এবং বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটি। পুঁজিসংকট, আধুনিকতার ছোঁয়া ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বিলুপ্তির পথে জাতিসংঘের ইউনেস্কের তালিকাভুক্ত এই শিল্প।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই শিল্পে। ফলে বেচাবিক্রিতে ভাটা পড়েছে। এতে শীতলপাটির কারিগরেরা পড়েছেন বিপাকে। প্রত্যেক পরিবার দেড় থেকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব মিলিয়ে ওই গ্রামের পাটিকরেরা প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন দাবি শীতলপাটি তৈরির কারিগর পাটিকর ও সমিতির নেতাদের।
প্রতিবছর পাটি তৈরির কাঁচামাল প্রস্তুত ও বুননের মৌসুমে এনজিও থেকে ঋণ নেন কারিগরেরা। মূলত কাঁচামাল সংগ্রহ করতেই তাঁরা ঋণ নেন। কাঁচামাল সংগ্রহ করে শুরু করেন শীতলপাটি বোনা। লক্ষ্য চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস। এই সময়ে পাটির চাহিদা থাকে বেশ। কিন্তু গত বছর করোনা মহামারির কারণে তৈরি করা অনেক পাটি এখনো অবিক্রীত রয়েছে। এতে ১ হাজার টাকা দামের একটি শীতলপাটি বিক্রি করতে হচ্ছে ৪শ থেকে ৫শ টাকায়। এতে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি কারিগরেরা।
জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠি ও ডহরশংকর গ্রামে রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। পরিবারগুলো পাটি বুনে জীবিকা নির্বাহ করে। এ গ্রামের শত শত হেক্টর জমিজুড়ে রয়েছে পাটিগাছের বাগান। পাইত্রা চাষ ও কেনার জন্য প্রচুর মূলধন প্রয়োজন হয়। এ জন্য শিল্পীরা মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন। একটি পাটি বুনতে ৩-৪ জনের দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। যা বিক্রি করে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। মহাজনেরা প্রতি পাটিতে এক শ থেকে পাঁচ শ টাকা লাভ করেন।
হাইলাকাঠি গ্রামের বাবুল পাটিকর বলেন, ‘শীতে পাটিগাছ কেটে বেতি তৈরি (কাঁচামাল প্রস্তুত) করা হয়। এ সময়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিই। তা দিয়ে সংসার চালাই। গত বছর ঋণ নিয়ে ১২০টি শীতল পাটি বুনেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে কোথাও কোনো মেলা, মাহফিল বা অনুষ্ঠান না থাকায় পাটি বিক্রি হয়নি। প্রতিটি পাটি ১ হাজারের বেশি টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু সেই পাটি এখন আদামে (অনেক কম দামে) বিক্রি করতে হচ্ছে।’
নির্মল পাটিকর বলেন, ‘যে পাটি ১২শ টাকায় বিক্রি করি, গত মৌসুমে তা ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে।’
পাটিকর সমিতির সাবেক সভাপতি বলাই পাটিকর বলেন, ‘করোনার কারণে পাটি বিক্রি কমে গেছে। এতে কারিগরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের পাটি স্বল্পদামে গ্রামাঞ্চলে বিক্রির ফলে শীতল পাটির বিক্রি কমে গেছে, যা এই ব্যবসাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে সহজে ঋণ পেতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জোহর আলী। তিনি বলেন, ‘সহজ শর্তে ঋণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে