বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
জেলা প্রতিষ্ঠার প্রায় চার দশক পর ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে বান্দরবান। উপজেলা ‘কম’ থাকায় কারণে ২০২০ সালের মাঝামাঝি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে জনবলও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমানো হয়েছে সরকারি বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
এদিকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলাবাসী। তবে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং ঊর্ধ্বতন চাহিদাপত্রসহ ডিও লেটার পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানেও পার্বত্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৮ বছর পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি উপজেলা কম থাকার যুক্তিতে বান্দরবানকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানোয় জেলাবাসী দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। তবে বান্দরবানে আরও একটি উপজেলা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রমতে, ৮টি পর্যন্ত উপজেলা থাকলে কোনো জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির মর্যাদা দেওয়া হয়। বান্দরবানে বর্তমানে ৭টি উপজেলা আছে। এ যুক্তি দেখিয়ে ৩৮ বছর পর বান্দরবান জেলাকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বান্দরবান ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলার মর্যাদা, বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল বান্দরবান মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। বান্দরবান ও লামা মহকুমা একীভূত হয়ে বান্দরবান নামকরণ হয়। জাতীয় সংসদের ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসন এটি। ৪ হাজার ৪৭৯ দশমিক শূন্য ২ কিলোমিটার (১ হাজার ৭২৯ দশমিক ৩৬ বর্গমাইল) আয়তনের এই জেলা। ১০ বছর আগের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৫ জন। তবে চলতি বছরে করোনা টিকার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৬ জন। ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলায় ২টি পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়ন ছাড়াও ৯৫টি মৌজা রয়েছে।
এদিকে মাসের মাঝামাঝি এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের জানান, জেলায় ৭টি উপজেলা থাকার কারণ দেখিয়ে গত বছর বান্দরবানকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। এর সঙ্গে জেলার জন্য সরকারি বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধাও কমে গেছে। তবে বান্দরবানকে আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেকবার পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী এ বিষয়ে ডিও লেটার দেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও চেষ্টা করছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় সেবা নিতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। তিন দিনের সেবা কখনো ১০ কর্মদিবসের বেশি লেগে যায়।
জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুমে ১১ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ৪ জন। এতে করে জমির খতিয়ানসহ বিভিন্ন কাজে সেবাপ্রার্থীরা এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সংকট সমাধানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েও জনবল পায়নি জেলা প্রশাসক। ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলায় লোকবল কম থাকে বিধায় এই সমস্যা হয়েছে। অন্যান্য দপ্তরেও একই অবস্থা। এমনকি আগের তুলনায় বর্তমানে লোকবল কমিয়ে আনা হয়েছে।
রেকর্ড রুমসহ অন্য শাখার কর্মরতরা জানিয়েছেন, দিন দিন জেলায় লোকজন বাড়ছে, তাঁদের বিভিন্ন প্রয়োজনও বাড়ছে। কিন্তু লোকবল কম থাকায় সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে দিয়ে বেগ পাচ্ছেন।
রেকর্ড রুম থেকে জমির খতিয়ান নিতে আসা মো. দিদার, মো. রফিকুল আলম, নুর আলমসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা খতিয়ান পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তিন দিনের মধ্যে খতিয়ানের কপি পাওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক দেরি হয়। তাই তাঁরা প্রয়োজনীয় কাজ সারতে দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিকদের সূত্র জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই, আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়ন নিয়ে আরও একটি উপজেলা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা সদর কোথায় হবে তা নিয়ে জটিলতার কারণে কার্যক্রমে বিলম্ব ঘটছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, বান্দরবানকে আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করছেন।
জেলা প্রতিষ্ঠার প্রায় চার দশক পর ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে বান্দরবান। উপজেলা ‘কম’ থাকায় কারণে ২০২০ সালের মাঝামাঝি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে জনবলও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমানো হয়েছে সরকারি বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
এদিকে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলাবাসী। তবে পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং ঊর্ধ্বতন চাহিদাপত্রসহ ডিও লেটার পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানেও পার্বত্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৮ বছর পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি উপজেলা কম থাকার যুক্তিতে বান্দরবানকে ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানোয় জেলাবাসী দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। তবে বান্দরবানে আরও একটি উপজেলা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রমতে, ৮টি পর্যন্ত উপজেলা থাকলে কোনো জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরির মর্যাদা দেওয়া হয়। বান্দরবানে বর্তমানে ৭টি উপজেলা আছে। এ যুক্তি দেখিয়ে ৩৮ বছর পর বান্দরবান জেলাকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বান্দরবান ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলার মর্যাদা, বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালের ১৮ এপ্রিল বান্দরবান মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়। বান্দরবান ও লামা মহকুমা একীভূত হয়ে বান্দরবান নামকরণ হয়। জাতীয় সংসদের ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসন এটি। ৪ হাজার ৪৭৯ দশমিক শূন্য ২ কিলোমিটার (১ হাজার ৭২৯ দশমিক ৩৬ বর্গমাইল) আয়তনের এই জেলা। ১০ বছর আগের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৫ জন। তবে চলতি বছরে করোনা টিকার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৬ জন। ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলায় ২টি পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়ন ছাড়াও ৯৫টি মৌজা রয়েছে।
এদিকে মাসের মাঝামাঝি এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের জানান, জেলায় ৭টি উপজেলা থাকার কারণ দেখিয়ে গত বছর বান্দরবানকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। এর সঙ্গে জেলার জন্য সরকারি বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধাও কমে গেছে। তবে বান্দরবানকে আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেকবার পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী এ বিষয়ে ডিও লেটার দেওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও চেষ্টা করছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় সেবা নিতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। তিন দিনের সেবা কখনো ১০ কর্মদিবসের বেশি লেগে যায়।
জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুমে ১১ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ৪ জন। এতে করে জমির খতিয়ানসহ বিভিন্ন কাজে সেবাপ্রার্থীরা এসে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সংকট সমাধানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েও জনবল পায়নি জেলা প্রশাসক। ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলায় লোকবল কম থাকে বিধায় এই সমস্যা হয়েছে। অন্যান্য দপ্তরেও একই অবস্থা। এমনকি আগের তুলনায় বর্তমানে লোকবল কমিয়ে আনা হয়েছে।
রেকর্ড রুমসহ অন্য শাখার কর্মরতরা জানিয়েছেন, দিন দিন জেলায় লোকজন বাড়ছে, তাঁদের বিভিন্ন প্রয়োজনও বাড়ছে। কিন্তু লোকবল কম থাকায় সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে দিয়ে বেগ পাচ্ছেন।
রেকর্ড রুম থেকে জমির খতিয়ান নিতে আসা মো. দিদার, মো. রফিকুল আলম, নুর আলমসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা খতিয়ান পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তিন দিনের মধ্যে খতিয়ানের কপি পাওয়ার কথা থাকলেও তা অনেক দেরি হয়। তাই তাঁরা প্রয়োজনীয় কাজ সারতে দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিকদের সূত্র জানা গেছে, বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই, আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়ন নিয়ে আরও একটি উপজেলা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা সদর কোথায় হবে তা নিয়ে জটিলতার কারণে কার্যক্রমে বিলম্ব ঘটছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, বান্দরবানকে আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করছেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে