শেখ আবু হাসান, খুলনা
মহানগরীতে অবৈধভাবে চলাচল করা ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান) বন্ধে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) উদ্যোগ নিয়েছে। আগে যাঁরা লাইসেন্স নিয়েছিলেন, সেসব ইজিবাইক নবায়ন করে নম্বর প্লেট ও স্টিকার দেওয়া শুরু হয়েছে। পরে নবায়নের বাইরে থাকা ইজিবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে কেসিসি। গত ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের সময় বেঁধে দেয় কেসিসি।
এখন থেকে নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগানো ছাড়া কোনো ইজিবাইক নগরীতে চললে সেটাকে অবৈধ গণ্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কেসিসি। গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল কেসিসির অনুমোদিত ইজিবাইকের নবায়নের শেষ সময়। তবে লাইসেন্সধারী বেশকিছু ইজিবাইকের নবায়ন সম্পন্ন না হওয়ায় আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো, অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি নবায়নের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নবায়ন শেষ হওয়ার পর অবৈধ ইজিবাইক বন্ধে কেসিসির পক্ষ থেকে নগরীতে অভিযান শুরু হবে।
সরেজমিন গতকাল বুধবার দুপুরে কেসিসির লাইসেন্স শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক ইজিবাইকের মালিক-চালক নারী-পুরুষ নম্বর প্লেট ও স্টিকার নেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে তাঁরা নবায়নের ২ হাজার টাকা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিয়ে নম্বর প্লেট ও স্টিকারের জন্য লাইসেন্স শাখায় যান। সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নবায়ন করা ইজিবাইকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এসএস স্টিলের তৈরি নম্বর প্লেট ও স্টিকার সরবরাহ করছেন।
এ সময় বেশ কয়েকজন ইজিবাইকের মালিক ও চালকের সঙ্গে কথা হয়। গত ২০১৯ সালে কেসিসির নির্ধারিত ফরম ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে সব শর্ত পূরণ করে জমা দেন বলে তাঁরা জানান। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নগরীতে চলাচলের লাইসেন্স নিয়েছেন।
কিন্তু অনেক দিন ধরেই নগরীতে কেসিসির লাইসেন্স ছাড়াই অসংখ্য ইজিবাইক চলাচল করছে। ফলে তারা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ ইজিবাইকের কারণে নগরীর ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শহরের বাইরে থেকে নগরীতে ঢুকে চলাচল করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে নগরীতে ২০ হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে। লাইসেন্সধারী মালিক-চালকেরা অবৈধভাবে চলা ইজিবাইক বন্ধের দাবি জানান।
কেসিসির লাইসেন্স কর্মকর্তা রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাইসেন্সধারী ইজিবাইকের অনুমোদনের বাইরেও অবৈধভাবে কয়েক গুণ ইজিবাইক মহানগরীতে চলাচল করছে। ফলে নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। মহানগরীতে কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ বাহনটির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় কেসিসি কর্তৃপক্ষ এর রাশ টেনে ধরে একটি নিয়মের মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ সালে কেসিসি নগরীতে অনুমোদন নিয়ে চলাচলের জন্য ১০ হাজার ফরম বিতরণ করে। সে মোতাবেক ইজিবাইকের মালিকেরা ফরম পূরণ করে কেসিসির লাইসেন্স শাখায় জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে কর্তৃপক্ষ ৭ হাজার ৯৯৬টির অনুমোদন (লাইসেন্স) দেয়।
রবিউল আলম আরও জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে অবৈধ ইজিবাইক বন্ধে অভিযান শুরু করা হয়। অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইকের মালিকদের জরিমানা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইজিবাইকের নবায়ন চলায় অভিযান বন্ধ রয়েছে। নবায়ন শেষে অভিযান আবার শুরু হবে। গত ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের শেষ সময় ছিল। কিন্তু বেশকিছু ইজিবাইকের নবায়ন সম্পন্ন না হওয়ায় আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইক বন্ধ করতে নবায়ন করা সব গাড়িকে স্টিকার এবং নম্বর প্লেট সরবরাহ করা হচ্ছে। অনুমোদিত সব গাড়িতে নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগাতে হবে। প্লেট ও স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি নগরীতে চলাচল করতে পারবে না। এই ব্যবস্থা চালু হলে অনুমোদনহীন ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হবে বলে তিনি আশা করেন।
নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তাজুল ইসলাম জানান, নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগানো থাকলে অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইক বন্ধ করা পুলিশের জন্য সহজ হবে। এ ছাড়া নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই ইজিবাইকগুলো নির্দিষ্ট পয়েন্টে দাঁড়াতে হবে। যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা যাবে না। ইজিবাইক চালক ও জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। কেসিসি ও কেএমপি সমন্বিতভাবে কাজ করলে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।
মহানগরীতে অবৈধভাবে চলাচল করা ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান) বন্ধে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) উদ্যোগ নিয়েছে। আগে যাঁরা লাইসেন্স নিয়েছিলেন, সেসব ইজিবাইক নবায়ন করে নম্বর প্লেট ও স্টিকার দেওয়া শুরু হয়েছে। পরে নবায়নের বাইরে থাকা ইজিবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে কেসিসি। গত ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের সময় বেঁধে দেয় কেসিসি।
এখন থেকে নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগানো ছাড়া কোনো ইজিবাইক নগরীতে চললে সেটাকে অবৈধ গণ্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কেসিসি। গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল কেসিসির অনুমোদিত ইজিবাইকের নবায়নের শেষ সময়। তবে লাইসেন্সধারী বেশকিছু ইজিবাইকের নবায়ন সম্পন্ন না হওয়ায় আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো, অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি নবায়নের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নবায়ন শেষ হওয়ার পর অবৈধ ইজিবাইক বন্ধে কেসিসির পক্ষ থেকে নগরীতে অভিযান শুরু হবে।
সরেজমিন গতকাল বুধবার দুপুরে কেসিসির লাইসেন্স শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বিপুল সংখ্যক ইজিবাইকের মালিক-চালক নারী-পুরুষ নম্বর প্লেট ও স্টিকার নেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে তাঁরা নবায়নের ২ হাজার টাকা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিয়ে নম্বর প্লেট ও স্টিকারের জন্য লাইসেন্স শাখায় যান। সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নবায়ন করা ইজিবাইকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এসএস স্টিলের তৈরি নম্বর প্লেট ও স্টিকার সরবরাহ করছেন।
এ সময় বেশ কয়েকজন ইজিবাইকের মালিক ও চালকের সঙ্গে কথা হয়। গত ২০১৯ সালে কেসিসির নির্ধারিত ফরম ৫০০ টাকা দিয়ে কিনে সব শর্ত পূরণ করে জমা দেন বলে তাঁরা জানান। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নগরীতে চলাচলের লাইসেন্স নিয়েছেন।
কিন্তু অনেক দিন ধরেই নগরীতে কেসিসির লাইসেন্স ছাড়াই অসংখ্য ইজিবাইক চলাচল করছে। ফলে তারা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ ইজিবাইকের কারণে নগরীর ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শহরের বাইরে থেকে নগরীতে ঢুকে চলাচল করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে নগরীতে ২০ হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে। লাইসেন্সধারী মালিক-চালকেরা অবৈধভাবে চলা ইজিবাইক বন্ধের দাবি জানান।
কেসিসির লাইসেন্স কর্মকর্তা রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাইসেন্সধারী ইজিবাইকের অনুমোদনের বাইরেও অবৈধভাবে কয়েক গুণ ইজিবাইক মহানগরীতে চলাচল করছে। ফলে নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। মহানগরীতে কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ বাহনটির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় কেসিসি কর্তৃপক্ষ এর রাশ টেনে ধরে একটি নিয়মের মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ সালে কেসিসি নগরীতে অনুমোদন নিয়ে চলাচলের জন্য ১০ হাজার ফরম বিতরণ করে। সে মোতাবেক ইজিবাইকের মালিকেরা ফরম পূরণ করে কেসিসির লাইসেন্স শাখায় জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে কর্তৃপক্ষ ৭ হাজার ৯৯৬টির অনুমোদন (লাইসেন্স) দেয়।
রবিউল আলম আরও জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে অবৈধ ইজিবাইক বন্ধে অভিযান শুরু করা হয়। অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইকের মালিকদের জরিমানা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইজিবাইকের নবায়ন চলায় অভিযান বন্ধ রয়েছে। নবায়ন শেষে অভিযান আবার শুরু হবে। গত ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের শেষ সময় ছিল। কিন্তু বেশকিছু ইজিবাইকের নবায়ন সম্পন্ন না হওয়ায় আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইক বন্ধ করতে নবায়ন করা সব গাড়িকে স্টিকার এবং নম্বর প্লেট সরবরাহ করা হচ্ছে। অনুমোদিত সব গাড়িতে নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগাতে হবে। প্লেট ও স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি নগরীতে চলাচল করতে পারবে না। এই ব্যবস্থা চালু হলে অনুমোদনহীন ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হবে বলে তিনি আশা করেন।
নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তাজুল ইসলাম জানান, নম্বর প্লেট ও স্টিকার লাগানো থাকলে অবৈধভাবে চলাচলকারী ইজিবাইক বন্ধ করা পুলিশের জন্য সহজ হবে। এ ছাড়া নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই ইজিবাইকগুলো নির্দিষ্ট পয়েন্টে দাঁড়াতে হবে। যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা যাবে না। ইজিবাইক চালক ও জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। কেসিসি ও কেএমপি সমন্বিতভাবে কাজ করলে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে