মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা
এত দিন সবজি উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য দূরের বাজারে নিয়ে যেতে হতো ঝিকরগাছার বারবাকপুরের কৃষকদের। এতে সময় এবং খরচ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হতো তাঁদের, কিন্তু এখন থেকে তাঁদের আর সেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
কৃষকদের কষ্ট লাঘবে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বারবাকপুর বাজারে কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ফসল কাটার পর রপ্তানি ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপোর্ট) কর্মকর্তা ড. আতিকুর রহমান।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, পিও এমএমসির সভাপতি প্রতীক পবন পাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিকুর রহমান বলেন, উৎপাদিত পণ্য এ কেন্দ্রে বিক্রির মাধ্যমে কৃষক একদিকে যেমন ন্যায্য মূল্য পাবেন, অপরদিকে ভোগান্তি দূর হবে। পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান বজায় থাকবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদনে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আগে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা নিয়ে নানা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হতো। অধিকাংশ সময় পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতাম না। কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করায় এখন থেকে এখানেই আমাদের উৎপাদিত সব কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারব। আর কোনো ভোগান্তি আর থাকবে না।’
জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি গ্রামের ২০টি গুচ্ছে সিআইজির আওতাভুক্ত ৪০০ কৃষককে নিয়ে ২০১৮ সালে বারবাকপুর বাজারজাতকরণ কমিটি (এমএমসি) গঠন করে। সিআইজি হলো একই স্বার্থে গঠিত কোনো দল। একই গ্রাম বা পাড়ায় বসবাসরত এবং একই আর্থসামাজিক অবস্থাসম্পন্ন কৃষকদের মধ্য থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক সদস্যদের সমন্বয়ে এ সিআইজি গঠিত হয়।
বর্তমানে এ কমিটির প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। যার মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য ২৮ লাখ টাকায় কেনা একটি ট্রাকসহ ছোট আরও দুটি পণ্যবাহী ভ্যান রয়েছে।
কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা কেন্দ্র পরিদর্শনে উদ্বুদ্ধ ভ্রমণে আসেন জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার সিসিএমসির ৩০ জন কৃষক। তাঁদের সভাপতি মাখন লাল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের উপজেলাতেও এ রকম একটি কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র করতে চাই।’
ঝিকরগাছা পিও এমএমসির সভাপতি প্রতীক পবন পাল বলেন, ‘কেন্দ্রে কৃষকের উৎপাদিত সব পণ্য সহজেই বিক্রি করা যাবে। আবার কেনা–বেচার মাঝে যে লাভ হবে তা আমাদের সমিতির সম্পদে যোগ হবে। যা কৃষকদের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।’
সমিতির সদস্য বারবাকপুর গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান নান্নু বলেন, ‘আমাদের ৪০০ জন সিআইজি সদস্যের সমন্বয়ে কমিটির মাধ্যমে সঞ্চিত অর্থে এ বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।’
বারবাকপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘খেতে উৎপাদিত যে কোনো পণ্য বিক্রি করতে দূরে যেতে হয় না। এই কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারায় নারী হিসেবে খুবই সুবিধা পাচ্ছি।’
হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের এলডিএফ মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন গড়ে দেড়-দুই লাখ টাকার কৃষিপণ্য কেনা-বেচা হয়। তবে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন সাড়ে তিন-চার লাখ টাকার পণ্য কেনা-বেচাও হয়ে থাকে।’
উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘উপজেলার এ অঞ্চল কৃষি সমৃদ্ধ। এ অঞ্চলের উৎপাদিত অধিকাংশ কৃষিপণ্য নিরাপদ। কেন্দ্রটি থেকে এ অঞ্চলের কৃষকেরা নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘বারবাকপুর বোধখানা পিও এমএমসির এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এমন কেন্দ্র প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ওঠা উচিত বলে মনে করি। তাহলে দেশ কৃষিতে আরও সমৃদ্ধ হবে।’
এত দিন সবজি উৎপাদনের পর বিক্রির জন্য দূরের বাজারে নিয়ে যেতে হতো ঝিকরগাছার বারবাকপুরের কৃষকদের। এতে সময় এবং খরচ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হতো তাঁদের, কিন্তু এখন থেকে তাঁদের আর সেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
কৃষকদের কষ্ট লাঘবে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বারবাকপুর বাজারে কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
হর্টেক্স ফাউন্ডেশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ফসল কাটার পর রপ্তানি ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপোর্ট) কর্মকর্তা ড. আতিকুর রহমান।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, পিও এমএমসির সভাপতি প্রতীক পবন পাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিকুর রহমান বলেন, উৎপাদিত পণ্য এ কেন্দ্রে বিক্রির মাধ্যমে কৃষক একদিকে যেমন ন্যায্য মূল্য পাবেন, অপরদিকে ভোগান্তি দূর হবে। পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মান বজায় থাকবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদনে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আগে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা নিয়ে নানা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হতো। অধিকাংশ সময় পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতাম না। কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করায় এখন থেকে এখানেই আমাদের উৎপাদিত সব কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারব। আর কোনো ভোগান্তি আর থাকবে না।’
জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি গ্রামের ২০টি গুচ্ছে সিআইজির আওতাভুক্ত ৪০০ কৃষককে নিয়ে ২০১৮ সালে বারবাকপুর বাজারজাতকরণ কমিটি (এমএমসি) গঠন করে। সিআইজি হলো একই স্বার্থে গঠিত কোনো দল। একই গ্রাম বা পাড়ায় বসবাসরত এবং একই আর্থসামাজিক অবস্থাসম্পন্ন কৃষকদের মধ্য থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক সদস্যদের সমন্বয়ে এ সিআইজি গঠিত হয়।
বর্তমানে এ কমিটির প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। যার মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য ২৮ লাখ টাকায় কেনা একটি ট্রাকসহ ছোট আরও দুটি পণ্যবাহী ভ্যান রয়েছে।
কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা কেন্দ্র পরিদর্শনে উদ্বুদ্ধ ভ্রমণে আসেন জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার সিসিএমসির ৩০ জন কৃষক। তাঁদের সভাপতি মাখন লাল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের উপজেলাতেও এ রকম একটি কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র করতে চাই।’
ঝিকরগাছা পিও এমএমসির সভাপতি প্রতীক পবন পাল বলেন, ‘কেন্দ্রে কৃষকের উৎপাদিত সব পণ্য সহজেই বিক্রি করা যাবে। আবার কেনা–বেচার মাঝে যে লাভ হবে তা আমাদের সমিতির সম্পদে যোগ হবে। যা কৃষকদের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।’
সমিতির সদস্য বারবাকপুর গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান নান্নু বলেন, ‘আমাদের ৪০০ জন সিআইজি সদস্যের সমন্বয়ে কমিটির মাধ্যমে সঞ্চিত অর্থে এ বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।’
বারবাকপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘খেতে উৎপাদিত যে কোনো পণ্য বিক্রি করতে দূরে যেতে হয় না। এই কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারায় নারী হিসেবে খুবই সুবিধা পাচ্ছি।’
হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের এলডিএফ মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন গড়ে দেড়-দুই লাখ টাকার কৃষিপণ্য কেনা-বেচা হয়। তবে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন সাড়ে তিন-চার লাখ টাকার পণ্য কেনা-বেচাও হয়ে থাকে।’
উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘উপজেলার এ অঞ্চল কৃষি সমৃদ্ধ। এ অঞ্চলের উৎপাদিত অধিকাংশ কৃষিপণ্য নিরাপদ। কেন্দ্রটি থেকে এ অঞ্চলের কৃষকেরা নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘বারবাকপুর বোধখানা পিও এমএমসির এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এমন কেন্দ্র প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ওঠা উচিত বলে মনে করি। তাহলে দেশ কৃষিতে আরও সমৃদ্ধ হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে