কুমিল্লা প্রতিনিধি
আজ ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুমিল্লা নগর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। নগরের নিয়ন্ত্রণ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুমিল্লা জেলা কমান্ডার শফিউল আহমেদ বাবুল জানান, কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ইন্ডিয়ান ৪র্থ কোরের ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের মেজর জেনারেল আর ডি হিরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা ৭ ডিসেম্বর রাতে চারদিক থেকে নগরকে ঘিরে ফেলে। শুরু হয় লড়াই। এই লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনীর কে ও এস ফোর্স যোগ দেয়।
পরের দিন ৮ ডিসেম্বর হার মানে হানাদারেরা। ওই দিন বিকেলে মুক্ত কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক আহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে নগরীর টাউন হল মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কুমিল্লা নগরে মুক্তিবাহিনীর প্রবেশের কথা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা নন্দন চৌধুরী। তাঁর ভাষ্য মতে ‘প্রথমে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার থেকে সুয়াগাজীতে কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে একত্রিত হয়। পরে সুয়াগাজী হয়ে এয়ারপোর্টে ঢুকে মুক্তিবাহিনী।’
স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই হানাদার বাহিনী হত্যা করে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। এরপর দীর্ঘ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহত হয় কুমিল্লার হাজারো নিরীহ জনতা। কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানের অরক্ষিত বধ্যভূমি ও গণ-কবর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর এ হত্যাযজ্ঞের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক বলেন, দীর্ঘ যুদ্ধে হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের গণহত্যা করে মাটিচাপা দেয়। কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস, লাকসাম, বেতিয়রা এবং দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে গণকবর ও বধ্যভূমি। এগুলো সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় অরক্ষিত গণকবর ও বধ্যভূমিসহ যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো সংরক্ষণে সরকারের প্রতি আর্থিক বরাদ্দেরও দাবি জানান যুদ্ধকালীন এই জেলা কমান্ডার।
মুক্ত দিবসের কর্মসূচি
প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার পালিত হবে কুমিল্লা মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে আজ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর টাউন হল থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে নগর উদ্যানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিকেলে টাউন হলে শিখা প্রজ্বালন করা হবে। সন্ধ্যায় টাউন হল শহীদ রফিকুল ইসলাম মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তা ছাড়া বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মহাসমাবেশ।
এতে কুমিল্লা অঞ্চলের প্রায় ৮০০ মুক্তিযোদ্ধা এ সমাবেশে অংশ নেবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ আঞ্চলিক মহাসমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এতে সভাপতিত্ব করবেন। প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুমিল্লা নগর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। নগরের নিয়ন্ত্রণ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুমিল্লা জেলা কমান্ডার শফিউল আহমেদ বাবুল জানান, কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ইন্ডিয়ান ৪র্থ কোরের ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের মেজর জেনারেল আর ডি হিরার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা ৭ ডিসেম্বর রাতে চারদিক থেকে নগরকে ঘিরে ফেলে। শুরু হয় লড়াই। এই লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনীর কে ও এস ফোর্স যোগ দেয়।
পরের দিন ৮ ডিসেম্বর হার মানে হানাদারেরা। ওই দিন বিকেলে মুক্ত কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক আহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে নগরীর টাউন হল মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কুমিল্লা নগরে মুক্তিবাহিনীর প্রবেশের কথা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা নন্দন চৌধুরী। তাঁর ভাষ্য মতে ‘প্রথমে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার থেকে সুয়াগাজীতে কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে একত্রিত হয়। পরে সুয়াগাজী হয়ে এয়ারপোর্টে ঢুকে মুক্তিবাহিনী।’
স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই হানাদার বাহিনী হত্যা করে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। এরপর দীর্ঘ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহত হয় কুমিল্লার হাজারো নিরীহ জনতা। কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানের অরক্ষিত বধ্যভূমি ও গণ-কবর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর এ হত্যাযজ্ঞের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।
যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক বলেন, দীর্ঘ যুদ্ধে হানাদার বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের গণহত্যা করে মাটিচাপা দেয়। কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস, লাকসাম, বেতিয়রা এবং দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে গণকবর ও বধ্যভূমি। এগুলো সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় অরক্ষিত গণকবর ও বধ্যভূমিসহ যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো সংরক্ষণে সরকারের প্রতি আর্থিক বরাদ্দেরও দাবি জানান যুদ্ধকালীন এই জেলা কমান্ডার।
মুক্ত দিবসের কর্মসূচি
প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার পালিত হবে কুমিল্লা মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে আজ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর টাউন হল থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে নগর উদ্যানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিকেলে টাউন হলে শিখা প্রজ্বালন করা হবে। সন্ধ্যায় টাউন হল শহীদ রফিকুল ইসলাম মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তা ছাড়া বিকেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের সমন্বয়ে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মহাসমাবেশ।
এতে কুমিল্লা অঞ্চলের প্রায় ৮০০ মুক্তিযোদ্ধা এ সমাবেশে অংশ নেবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ আঞ্চলিক মহাসমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এতে সভাপতিত্ব করবেন। প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে