জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে ধীরগতিতে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সময়মতো কাজ শেষ না হলে আগাম বৃষ্টিতে হাওরে ঢল নামলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
কাবিটা নীতিমালা অনুসারে ১৫ ডিসেম্বর হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার সময়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত (৯ জানুয়ারি) দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ফসল রক্ষায় ৭০১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫২৯ কিলোমিটার বাঁধের মেরামত ও নতুন করে কাজ করা হবে, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা। গতকাল রোববার পর্যন্ত ৪৪৮টি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলমান আছে ১০৭টি প্রকল্পের।
এদিকে কৃষকেরা জমি, বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেছেন। হাওরে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর ২ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় এবার অন্য বছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবছরই আগাম বন্যার শঙ্কা নিয়ে কৃষকেরা মাঠে কাজ শুরু করেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিন কাজ কইরা এখন বাঁধের কাজ বন্ধ কইরা রাখছে। সময়মতো যদি বাঁধ নির্মাণ না হয়, তাইলে বন্যায় ফসল নষ্ট হইয়া যাইব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ আর মার্চের শুরু থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর এই বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।’
সদর উপজেলার কালিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘বাঁধ যত তাড়াতাড়ি করা হয়, ততই আমরা নিশ্চিন্তে থাকি। মনের আনন্দে আমরা ফসল ঘরে তুলতাম পারি।’
হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ধর্মপাশায় চলতি বছর ১৫৭টি প্রকল্পের কাজ করা হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত হাওরে ১৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে।
ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণের কৃষক জলিল মিয়া বলেন, ‘এখনো আমাদের হাওরে কাজ শুরু হইছে না। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি থাকি। ঢল আসলেই সব তলাইয়া নিয়া যাইব। তাই আমরা চাই দ্রুত বাঁধ করা হউক।’
ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেসব নিয়েও রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বাঁধগুলো কতটুকু প্রয়োজনীয় তা আরও নিরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘এ বছর প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে খুব তাড়াহুড়া করে।’
পাউবোর কর্মকর্তা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করার বিলম্বেও কথা স্বীকার করে বলেন, হাওর থেকে এ বছর পানি নামতে দেরি হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ হবে আশ্বাস পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহার। তিনি জানান, বাঁধের কাজ যদিও এ বছর বিলম্বিত হয়েছে। তবে কৃষকেরা শঙ্কায় যেন না থাকে তার অনুরোধ করছি। বাঁধের কাজ সময়মতো শেষ করা হবে।’
সুনামগঞ্জের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে ধীরগতিতে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সময়মতো কাজ শেষ না হলে আগাম বৃষ্টিতে হাওরে ঢল নামলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
কাবিটা নীতিমালা অনুসারে ১৫ ডিসেম্বর হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার সময়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত (৯ জানুয়ারি) দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ফসল রক্ষায় ৭০১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫২৯ কিলোমিটার বাঁধের মেরামত ও নতুন করে কাজ করা হবে, যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা। গতকাল রোববার পর্যন্ত ৪৪৮টি গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলমান আছে ১০৭টি প্রকল্পের।
এদিকে কৃষকেরা জমি, বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেছেন। হাওরে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর ২ লাখ ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় এবার অন্য বছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবছরই আগাম বন্যার শঙ্কা নিয়ে কৃষকেরা মাঠে কাজ শুরু করেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিন কাজ কইরা এখন বাঁধের কাজ বন্ধ কইরা রাখছে। সময়মতো যদি বাঁধ নির্মাণ না হয়, তাইলে বন্যায় ফসল নষ্ট হইয়া যাইব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ আর মার্চের শুরু থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর এই বৃষ্টিপাতের কারণে বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।’
সদর উপজেলার কালিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘বাঁধ যত তাড়াতাড়ি করা হয়, ততই আমরা নিশ্চিন্তে থাকি। মনের আনন্দে আমরা ফসল ঘরে তুলতাম পারি।’
হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ধর্মপাশায় চলতি বছর ১৫৭টি প্রকল্পের কাজ করা হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত হাওরে ১৭টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়ে থাকে।
ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণের কৃষক জলিল মিয়া বলেন, ‘এখনো আমাদের হাওরে কাজ শুরু হইছে না। আমরা সীমান্তের কাছাকাছি থাকি। ঢল আসলেই সব তলাইয়া নিয়া যাইব। তাই আমরা চাই দ্রুত বাঁধ করা হউক।’
ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেসব নিয়েও রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বাঁধগুলো কতটুকু প্রয়োজনীয় তা আরও নিরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘এ বছর প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে খুব তাড়াহুড়া করে।’
পাউবোর কর্মকর্তা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করার বিলম্বেও কথা স্বীকার করে বলেন, হাওর থেকে এ বছর পানি নামতে দেরি হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ হবে আশ্বাস পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহার। তিনি জানান, বাঁধের কাজ যদিও এ বছর বিলম্বিত হয়েছে। তবে কৃষকেরা শঙ্কায় যেন না থাকে তার অনুরোধ করছি। বাঁধের কাজ সময়মতো শেষ করা হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে