মিরাজ শিকদার, ডামুড্যা (শরীয়তপুর)
ডামুড্যা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহানারা বেগম। স্কুলের প্রয়োজনে মেয়ের জন্মসনদের ভুল সংশোধন করতে এক মাস আগে ডামুড্যা পৌরসভায় যান তিনি। পৌর কর্মকর্তারা তাঁকে জানান, সন্তানের জন্মসনদ ঠিক করতে হলে মা-বাবার জন্মসনদ অবশ্যই থাকতে হবে এবং তা সঠিকও হতে হবে।
জাহানারা বেগম জানান, তাঁর জন্মসনদ ঠিক থাকলেও স্বামীরটাতে ভুল ছিল। সেটি ঠিক করতে বেশ কয়েক দিন পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় ঘোরাঘুরি করে দরখাস্ত করেন। এতেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। জানানো হয়, পৌরসভা থেকে দরখাস্ত অনুমোদন করে পরে তা ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিসে জমা দিতে হবে। অথচ কয়েক দিন আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই সেটি জমা দিতেন।
জাহানারার মতো পৌরসভার অনেকেই জন্মনিবন্ধন করতে এসে এবং ভুল সংশোধনের জন্য গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, জন্মসনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করার শর্তে জটিলতা রয়েছে। রয়েছে সনদ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা। সরকারি ফি’র বাইরেও নেওয়া হচ্ছে অর্থ। পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে ও জমি রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের করোনার টিকা ও স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এটি পেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বলেন, ‘ছেলের জন্মসনদ করতে এসে জানতে পারি আগে নিজেরটা ঠিক করতে হবে। জানতাম না কোথায়, কী করতে হয়। বেশ কিছুদিন ঘুরতে ঘুরতে আবেদন করতে পেরেছি। তা-ও রাজবাড়ী গিয়ে। এত ভোগান্তি আগে কখনো পোহাতে হয়নি। যদি জরুরি না হতো কোনো দিনই করতাম না।’
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের জনবলসংকট, ইন্টারনেটের ধীর গতি ও কেন্দ্রীয় সার্ভারে নানা জটিলতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। সম্প্রতি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে জন্মনিবন্ধনের সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। কিন্তু এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকেরা ঘাটে ঘাটে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। আবার অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে। সেখানে ভোগান্তি আরও বেশি। এ ছাড়া জন্মসনদ উত্তোলন ও সংশোধনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দালালচক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জনবলসংকট, ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টারনেটের ধীর গতি, কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটি, সেবাদানকারীর দুর্ব্যবহার, তথ্য প্রদানে অনীহা ও নাগরিকদের সচেতনতার অভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান কার্যক্রম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’
জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে প্যানেল মেয়র আবুল হোসেন মন্টু বলেন, ‘সংশোধনে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভোগান্তিই নেই। অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই সংশোধন করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে এত দিন সচেতন ছিল না। এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ১৭টি সেবা পেতে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মসনদ লাগে।’
নতুন করে জন্মনিবন্ধন করতে কিংবা ভুল সংশোধনে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনে খুবই সামান্য পরিমাণে ফি দিতে হয়।’
ডামুড্যা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহানারা বেগম। স্কুলের প্রয়োজনে মেয়ের জন্মসনদের ভুল সংশোধন করতে এক মাস আগে ডামুড্যা পৌরসভায় যান তিনি। পৌর কর্মকর্তারা তাঁকে জানান, সন্তানের জন্মসনদ ঠিক করতে হলে মা-বাবার জন্মসনদ অবশ্যই থাকতে হবে এবং তা সঠিকও হতে হবে।
জাহানারা বেগম জানান, তাঁর জন্মসনদ ঠিক থাকলেও স্বামীরটাতে ভুল ছিল। সেটি ঠিক করতে বেশ কয়েক দিন পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় ঘোরাঘুরি করে দরখাস্ত করেন। এতেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। জানানো হয়, পৌরসভা থেকে দরখাস্ত অনুমোদন করে পরে তা ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিসে জমা দিতে হবে। অথচ কয়েক দিন আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই সেটি জমা দিতেন।
জাহানারার মতো পৌরসভার অনেকেই জন্মনিবন্ধন করতে এসে এবং ভুল সংশোধনের জন্য গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, জন্মসনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করার শর্তে জটিলতা রয়েছে। রয়েছে সনদ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা। সরকারি ফি’র বাইরেও নেওয়া হচ্ছে অর্থ। পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে ও জমি রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের করোনার টিকা ও স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এটি পেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বলেন, ‘ছেলের জন্মসনদ করতে এসে জানতে পারি আগে নিজেরটা ঠিক করতে হবে। জানতাম না কোথায়, কী করতে হয়। বেশ কিছুদিন ঘুরতে ঘুরতে আবেদন করতে পেরেছি। তা-ও রাজবাড়ী গিয়ে। এত ভোগান্তি আগে কখনো পোহাতে হয়নি। যদি জরুরি না হতো কোনো দিনই করতাম না।’
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের জনবলসংকট, ইন্টারনেটের ধীর গতি ও কেন্দ্রীয় সার্ভারে নানা জটিলতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। সম্প্রতি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে জন্মনিবন্ধনের সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। কিন্তু এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকেরা ঘাটে ঘাটে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। আবার অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে। সেখানে ভোগান্তি আরও বেশি। এ ছাড়া জন্মসনদ উত্তোলন ও সংশোধনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দালালচক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জনবলসংকট, ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টারনেটের ধীর গতি, কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটি, সেবাদানকারীর দুর্ব্যবহার, তথ্য প্রদানে অনীহা ও নাগরিকদের সচেতনতার অভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান কার্যক্রম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’
জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে প্যানেল মেয়র আবুল হোসেন মন্টু বলেন, ‘সংশোধনে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভোগান্তিই নেই। অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই সংশোধন করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে এত দিন সচেতন ছিল না। এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ১৭টি সেবা পেতে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মসনদ লাগে।’
নতুন করে জন্মনিবন্ধন করতে কিংবা ভুল সংশোধনে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনে খুবই সামান্য পরিমাণে ফি দিতে হয়।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে