নাইমুর রহমান, নাটোর
নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। নৌকার প্রার্থী উপাধ্যক্ষ শাহিদা খাতুনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা এস এম শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ময়মুর সুলতান। নৌকার এমন পরাজয়ে দলের নেতাদের মধ্যে চলছে সমালোচনা।
দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, সাবেক ও বর্তমান সাংসদের নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান ও নিষ্ক্রিয়তা, ভোট কেনাবেচা ও কৌশলী সীমানা নির্ধারণের কারণে নৌকার পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
নির্বাচনে নৌকার পরাজয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না দলের নেতারা। তবে দলীয় কর্মীদের বিশ্লেষণে নৌকার ভরাডুবির নেপথ্যে উপজেলায় দলের ভঙ্গুর সাংগঠনিক অবস্থা। নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে দলের উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতা, তিন দশকের বেশি সময় ধরে উপজেলা সম্মেলন না হওয়া এবং কর্মী না বাড়ায় পৌর ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির অন্যতম কারণ।
তবে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা কমিটির নেতারা নৌকার পরাজয়ের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। আর নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলছেন, সাংসদ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রচারে থাকলেও ভোট দেননি। আর বিএনপি নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দুঃশাসনের কারণে ইউপি ও পৌর নির্বাচনে ভোটাররা বিএনপিকে বেছে নিয়েছেন।
পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শাহিদা খাতুন বলেন, ‘একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ অবস্থান নিয়েছিলেন। আমি নৌকার প্রার্থী হলেও নির্বাচনে দল আমার পাশে ছিল না। সাবেক সাংসদ আবুল কালামও প্রচারের বাইরে কিছুই করেননি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার রহমান বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়েছে। তা ছাড়া ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় এমনভাবে পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যাতে বিএনপি ও জামায়াতের বংশানুক্রমিক ভোটাররা পৌর এলাকার অভ্যন্তরে বসবাস করেন। এ কৌশলও বিএনপির জয়ের একটি কারণ। এ ছাড়া বর্তমান সাংসদ নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এখানে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এর জন্য নির্বাচন কমিশন তাঁকে শোকজ করেছে। তবু ব্যক্তি ইমেজের কারণে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল আরও বলেন, উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তিন দশকের বেশি সময় ধরে পদ আঁকড়ে আছেন। তাঁরা সম্মেলন আয়োজনের পথ রুদ্ধ করে রেখেছেন। তাঁদের কারণে এই উপজেলায় কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরি হয় না। এর প্রভাবে এখানে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে বাগাতিপাড়ায় সাংগঠনিক অচলাবস্থা নিয়ে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ খোদ উপজেলা কমিটির নেতারাই।উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসিম মাহমুদ বলেন, তাঁরা যে একটা দল করেন, তা মনে হয় না। সম্মেলন, কর্মী সমাবেশ না থাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা দিন দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠান জেলা সম্মেলনের আগেই করার যাবতীয় প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ১৬ বছর পরও বাগাতিপাড়ায় বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মেয়র নির্বাচিত হন, এটা আওয়ামী লীগের চরম সাংগঠনিক ব্যর্থতা। উপজেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় সাংসদের দ্বন্দ্বে নৌকা ডুবেছে। আবার দীর্ঘ সময় সম্মেলন না হওয়ায় কর্মীরাও হতাশায় ভুগছেন। এই অচলাবস্থা দূর করতে দ্রুত উপজেলা সম্মেলনের আয়োজন জরুরি। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলে জেলা আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ভরাডুবি হয়েছে। নৌকার প্রার্থী উপাধ্যক্ষ শাহিদা খাতুনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা এস এম শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ময়মুর সুলতান। নৌকার এমন পরাজয়ে দলের নেতাদের মধ্যে চলছে সমালোচনা।
দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, সাবেক ও বর্তমান সাংসদের নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান ও নিষ্ক্রিয়তা, ভোট কেনাবেচা ও কৌশলী সীমানা নির্ধারণের কারণে নৌকার পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
নির্বাচনে নৌকার পরাজয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না দলের নেতারা। তবে দলীয় কর্মীদের বিশ্লেষণে নৌকার ভরাডুবির নেপথ্যে উপজেলায় দলের ভঙ্গুর সাংগঠনিক অবস্থা। নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে দলের উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতা, তিন দশকের বেশি সময় ধরে উপজেলা সম্মেলন না হওয়া এবং কর্মী না বাড়ায় পৌর ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির অন্যতম কারণ।
তবে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা কমিটির নেতারা নৌকার পরাজয়ের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। আর নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলছেন, সাংসদ ও দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রচারে থাকলেও ভোট দেননি। আর বিএনপি নেতাদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দুঃশাসনের কারণে ইউপি ও পৌর নির্বাচনে ভোটাররা বিএনপিকে বেছে নিয়েছেন।
পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শাহিদা খাতুন বলেন, ‘একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সাংসদ অবস্থান নিয়েছিলেন। আমি নৌকার প্রার্থী হলেও নির্বাচনে দল আমার পাশে ছিল না। সাবেক সাংসদ আবুল কালামও প্রচারের বাইরে কিছুই করেননি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার রহমান বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের ভোট ভাগ হয়েছে। তা ছাড়া ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় এমনভাবে পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যাতে বিএনপি ও জামায়াতের বংশানুক্রমিক ভোটাররা পৌর এলাকার অভ্যন্তরে বসবাস করেন। এ কৌশলও বিএনপির জয়ের একটি কারণ। এ ছাড়া বর্তমান সাংসদ নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় এখানে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এর জন্য নির্বাচন কমিশন তাঁকে শোকজ করেছে। তবু ব্যক্তি ইমেজের কারণে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল আরও বলেন, উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তিন দশকের বেশি সময় ধরে পদ আঁকড়ে আছেন। তাঁরা সম্মেলন আয়োজনের পথ রুদ্ধ করে রেখেছেন। তাঁদের কারণে এই উপজেলায় কর্মী ও নেতৃত্ব তৈরি হয় না। এর প্রভাবে এখানে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদিকে বাগাতিপাড়ায় সাংগঠনিক অচলাবস্থা নিয়ে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ খোদ উপজেলা কমিটির নেতারাই।উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসিম মাহমুদ বলেন, তাঁরা যে একটা দল করেন, তা মনে হয় না। সম্মেলন, কর্মী সমাবেশ না থাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা দিন দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠান জেলা সম্মেলনের আগেই করার যাবতীয় প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, ১৬ বছর পরও বাগাতিপাড়ায় বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা মেয়র নির্বাচিত হন, এটা আওয়ামী লীগের চরম সাংগঠনিক ব্যর্থতা। উপজেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় সাংসদের দ্বন্দ্বে নৌকা ডুবেছে। আবার দীর্ঘ সময় সম্মেলন না হওয়ায় কর্মীরাও হতাশায় ভুগছেন। এই অচলাবস্থা দূর করতে দ্রুত উপজেলা সম্মেলনের আয়োজন জরুরি। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলে জেলা আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে