আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দিনে-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকেরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের তিন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে। এ ছাড়া উপজেলার লতব্দী, বালুচর, কেয়াইন, শেখরনগর, রাজানগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে। অনেক জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কৃষিজমির মাটি কাটায় স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন বাধা দিলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। সুযোগ পেলেই মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকুর মাধ্যমে এমনভাবে মাটি কাটছে যে, একটু বৃষ্টি হলেই পাশের কৃষিজমি ভেঙে পড়বে। এতে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মাটির ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বেশির ভাগ জমিই তিন ফসলি। এখানে ধান, পাট, আলু, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। ১০ বছর আগে তিন ফসলি কৃষিজমি ছিল ১৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর। আর বর্তমানে রয়েছে ১৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর। এতে ৬৫০ হেক্টর জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে দিন দিন জমি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চাষাবাদের জন্য কোনো জমিই পাওয়া যাবে না।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটির ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন। তাঁরা দিনে বা রাতে সময় পেলেই ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
খিদিরপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘চণ্ডীবদ্দী-খিদিরপুর মৌজার ফসলি জমির মাটি শামীম ও শাহিনের দল রাতে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের মাটি কাটার কারণে আমার জমি ভেঙে পড়েছে। কোনোভাবেই চক্রটির মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জমিগুলো একসময় আর থাকবে না। তাঁদের নিষেধ করতে গেলে তাঁরা হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।’
লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘চণ্ডীবদ্দী-খিদিরপুর মৌজার ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী। আমি এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে একটি লিখিত আবেদন করেছি। এরপর প্রশাসন এসে বালু তোলা বন্ধ করে গেলেও আবার শুরু করেছেন তাঁরা। আমরা প্রশাসনের কাছে মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লতব্দী ইউনিয়নের এক কৃষক বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তার এক দিন পর থেকেই শামীম ও শাহিনের গ্রুপ রাতের আঁধারেই আবার বালু উত্তোলন শুরু করে। কোনোভাবেই তাঁদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসাইল ইউনিয়নের কয়েক কৃষক জানান, প্রথমে পাশের জমি থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাটা হয়। পরে জমিটি ভেঙে পড়ে। এতে ওই জমি আর চাষ করা সম্ভব হয় না। এ রকম জমি ভেঙে পড়লে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষকেরা বাধা দিয়েও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজের ছেলে রুবেল, জাহাঙ্গীরসহ আরও কয়েকজন আত্মীয় এ মাটি কাটায় জড়িত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘ভুক্তভোগী কৃষক আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি, কিন্তু যাঁদের জমি কাটে, তাঁরা কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেন না। তাই আমরা ব্যবস্থাও নিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। খবর পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। যাঁরা রাতের আঁধারে কৃষিজমির মাটি কাটছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দিনে-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কৃষকেরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে দেখা গেছে, উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের তিন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছে। এ ছাড়া উপজেলার লতব্দী, বালুচর, কেয়াইন, শেখরনগর, রাজানগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষিজমির মাটি কাটা হচ্ছে। অনেক জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কৃষিজমির মাটি কাটায় স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন বাধা দিলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। সুযোগ পেলেই মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকুর মাধ্যমে এমনভাবে মাটি কাটছে যে, একটু বৃষ্টি হলেই পাশের কৃষিজমি ভেঙে পড়বে। এতে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মাটির ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বেশির ভাগ জমিই তিন ফসলি। এখানে ধান, পাট, আলু, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। ১০ বছর আগে তিন ফসলি কৃষিজমি ছিল ১৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর। আর বর্তমানে রয়েছে ১৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর। এতে ৬৫০ হেক্টর জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে দিন দিন জমি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চাষাবাদের জন্য কোনো জমিই পাওয়া যাবে না।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটির ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন। তাঁরা দিনে বা রাতে সময় পেলেই ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
খিদিরপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘চণ্ডীবদ্দী-খিদিরপুর মৌজার ফসলি জমির মাটি শামীম ও শাহিনের দল রাতে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের মাটি কাটার কারণে আমার জমি ভেঙে পড়েছে। কোনোভাবেই চক্রটির মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমাদের জমিগুলো একসময় আর থাকবে না। তাঁদের নিষেধ করতে গেলে তাঁরা হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।’
লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘চণ্ডীবদ্দী-খিদিরপুর মৌজার ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী। আমি এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে একটি লিখিত আবেদন করেছি। এরপর প্রশাসন এসে বালু তোলা বন্ধ করে গেলেও আবার শুরু করেছেন তাঁরা। আমরা প্রশাসনের কাছে মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লতব্দী ইউনিয়নের এক কৃষক বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তার এক দিন পর থেকেই শামীম ও শাহিনের গ্রুপ রাতের আঁধারেই আবার বালু উত্তোলন শুরু করে। কোনোভাবেই তাঁদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসাইল ইউনিয়নের কয়েক কৃষক জানান, প্রথমে পাশের জমি থেকে ১৫-২০ ফুট গভীর করে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাটা হয়। পরে জমিটি ভেঙে পড়ে। এতে ওই জমি আর চাষ করা সম্ভব হয় না। এ রকম জমি ভেঙে পড়লে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষকেরা বাধা দিয়েও মাটি কাটা বন্ধ করতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজের ছেলে রুবেল, জাহাঙ্গীরসহ আরও কয়েকজন আত্মীয় এ মাটি কাটায় জড়িত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘ভুক্তভোগী কৃষক আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি, কিন্তু যাঁদের জমি কাটে, তাঁরা কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেন না। তাই আমরা ব্যবস্থাও নিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। খবর পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। যাঁরা রাতের আঁধারে কৃষিজমির মাটি কাটছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে