শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলার ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ। বাড়ছে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগ। শিশুরাই বেশি ভুগছে এসব অসুখে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন মাসের এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
আবহাওয়া পরিবর্তের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের কুসুম গরম পানি পান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভোলা সদর উপজেলার যুগিরঘোল এলাকার গৃহবধূ মুজিযা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর তিন ছেলে-মেয়ে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে। তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর পরামর্শে ওষুধ দিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। তাই তিনি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাননি।
ভোলা পৌরসভার উকিল পাড়ার বাসিন্দা মালেকুর রহমান ও জালাল আকবরী শিবলী জানান, কয়েক দিন ধরে শীত পড়ছে। বিশেষ করে ভোরে বেশ ঠান্ডা অনুভব করেন। সকালে কুয়াশা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথায় ভুগছেন তাঁরা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘরে থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোটামুটি ভালো আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতি পরিবারের কেউ না কেউ সর্দি, জ্বর ও কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২০০ শিশু। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ৫৯ জন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইয়ামিন নামে তিন মাস বয়সী এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে শিশু রোগীর চাপ একটু বেশি। গত অক্টোবর মাসে শিশু ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয় ৭৭৮ জন রোগী। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ১৩৭ জন। চলতি মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৮। তাঁরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫টি শয্যা ও সাতটি কেবিনে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫৩ রোগী। গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশু রোগীদের। একটি শয্যায় দুজন কিংবা তারও বেশি শিশুকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভোলার সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, শীতের এ সময়ে সাধারণত সব জায়গায়ই শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এটি প্রতি বছর এই মৌসুমে ঘটে। এতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এ জন্য শিশুদের গরম কাপড় পরাতে হবে। তাদের কুসুম গরম পানি পান করাতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। ঘরের বাইরে বাতাসে কম যাতায়াত করতে হবে। এ বিষয়ে শিশুর মা-বাবাদের অধিক সতর্ক ও সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
ভোলার ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ। বাড়ছে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগ। শিশুরাই বেশি ভুগছে এসব অসুখে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন মাসের এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
আবহাওয়া পরিবর্তের কারণে এসব রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের কুসুম গরম পানি পান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভোলা সদর উপজেলার যুগিরঘোল এলাকার গৃহবধূ মুজিযা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাঁর তিন ছেলে-মেয়ে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছে। তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর পরামর্শে ওষুধ দিচ্ছেন ছেলে-মেয়েদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। তাই তিনি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাননি।
ভোলা পৌরসভার উকিল পাড়ার বাসিন্দা মালেকুর রহমান ও জালাল আকবরী শিবলী জানান, কয়েক দিন ধরে শীত পড়ছে। বিশেষ করে ভোরে বেশ ঠান্ডা অনুভব করেন। সকালে কুয়াশা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর, কাশি ও শরীরে ব্যথায় ভুগছেন তাঁরা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘরে থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোটামুটি ভালো আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় প্রতি পরিবারের কেউ না কেউ সর্দি, জ্বর ও কাশিসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্তত ২০০ শিশু। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ৫৯ জন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ইয়ামিন নামে তিন মাস বয়সী এক শিশু গত সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে শিশু রোগীর চাপ একটু বেশি। গত অক্টোবর মাসে শিশু ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয় ৭৭৮ জন রোগী। এর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল ১৩৭ জন। চলতি মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৮। তাঁরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫টি শয্যা ও সাতটি কেবিনে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫৩ রোগী। গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশু রোগীদের। একটি শয্যায় দুজন কিংবা তারও বেশি শিশুকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি, জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভোলার সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, শীতের এ সময়ে সাধারণত সব জায়গায়ই শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এটি প্রতি বছর এই মৌসুমে ঘটে। এতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এ জন্য শিশুদের গরম কাপড় পরাতে হবে। তাদের কুসুম গরম পানি পান করাতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। ঘরের বাইরে বাতাসে কম যাতায়াত করতে হবে। এ বিষয়ে শিশুর মা-বাবাদের অধিক সতর্ক ও সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৪ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে