পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
চিনিকলে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর অঞ্চলে চাষিদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে না আখ। এতে করে এবার ফসলটির চাষ কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রংপুরের শ্যামপুর এবং গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ চিনিকলে চলতি মৌসুমেও আখমাড়াই করা হচ্ছে না। গত বছর থেকে চিনিকল দুটি বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আখ চাষে তাঁদের অনীহা বেড়েই চলেছে। অনেকে ইতিমধ্যে এই চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
চাষিদের অভিযোগ, যখন চিনিকলগুলো আখ সংগ্রহ করত তখন পণ্যটি বিক্রি ও মূল্য প্রাপ্তিতে চাষিদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হতো। যে কারণে তাঁরা বিকল্প হিসেবে আখমাড়াই করে গুড় তৈরি করছেন। এবার বিশেষ করে যেসব কৃষকের জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে আখ পড়েছিল তাঁরা উপায়ন্তর না পেয়ে গুড় তৈরি শুরু করেছেন।
রংপুরের পাশাপাশি দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি জেলার কৃষকেরা প্রতি বছর আখের আবাদ করে থাকেন। একসময় এই আবাদ খুবই জনপ্রিয় ছিল। এমনকি অনেক চাষি শুধু আখ চাষের ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন। এখন নানা জটিলতায় দিনের পর দিন আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা।
শ্যামপুর এবং মহিমাগঞ্জ চিনিকল দুটি পীরগঞ্জ উপজেলা সদর, জাফরপাড়া, চতরা, রায়পুর, পত্মীচড়া, গুপিনাথপুর, কাদিরাবাদ, হরনাথপুর, মোনাইল, কুমেদপুর ও দানিসনগর আখকেন্দ্রে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারীর (সিডিএ) মাধ্যমে আখ ক্রয় করে।
পীরগঞ্জ আখ জোন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বিগত সময়ে উপজেলায় ৭০০ একরের মতো জমিতে আখ চাষ হতো। বর্তমানে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ মৌসুমে ৪০০ একর জমিতে ফসলটির চাষ করা হয়েছে।
মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের আখ চাষি মোজাফফর হোসেন জানান, উপজেলার বড় আলমপুর, মদনখালী, কুমেদপুর, টুকুরিয়া, রায়পুর, চতরা ও ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে অধিক পরিমাণে আখের চাষ হতো। ইউনিয়নগুলোতে কৃষকদের জমি বেশি থাকার ফলে তাঁরা দীর্ঘ সময় লাগিয়ে আখ চাষ করতে পারতেন।
বড় আলমপুর গ্রামের আজগর আলী বলেন, ‘আখ আবাদ করে প্রতি বছর আমাদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। এ জন্য আমরা বর্তমানে চাষ অনেক কমে দিয়েছি। যেটুকু চাষ করা হয়েছে সেগুলো দিয়ে গুড় তৈরি করা হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এতে করে অবশ্য চাষিরা লাভবানই হবেন। সারা বছর বাড়ির চাহিদা মিটিয়েও গুড় বিক্রি করে নগদ অর্থ পাওয়া যাবে।’
আজগর আলী জানান, আখ কিনতে অন্যান্য বছর এলাকায় চিনিকলের লোকজন চোখে পড়ত। বর্তমানে তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
চিনিকলে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর অঞ্চলে চাষিদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে না আখ। এতে করে এবার ফসলটির চাষ কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রংপুরের শ্যামপুর এবং গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ চিনিকলে চলতি মৌসুমেও আখমাড়াই করা হচ্ছে না। গত বছর থেকে চিনিকল দুটি বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আখ চাষে তাঁদের অনীহা বেড়েই চলেছে। অনেকে ইতিমধ্যে এই চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
চাষিদের অভিযোগ, যখন চিনিকলগুলো আখ সংগ্রহ করত তখন পণ্যটি বিক্রি ও মূল্য প্রাপ্তিতে চাষিদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হতো। যে কারণে তাঁরা বিকল্প হিসেবে আখমাড়াই করে গুড় তৈরি করছেন। এবার বিশেষ করে যেসব কৃষকের জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে আখ পড়েছিল তাঁরা উপায়ন্তর না পেয়ে গুড় তৈরি শুরু করেছেন।
রংপুরের পাশাপাশি দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি জেলার কৃষকেরা প্রতি বছর আখের আবাদ করে থাকেন। একসময় এই আবাদ খুবই জনপ্রিয় ছিল। এমনকি অনেক চাষি শুধু আখ চাষের ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন। এখন নানা জটিলতায় দিনের পর দিন আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা।
শ্যামপুর এবং মহিমাগঞ্জ চিনিকল দুটি পীরগঞ্জ উপজেলা সদর, জাফরপাড়া, চতরা, রায়পুর, পত্মীচড়া, গুপিনাথপুর, কাদিরাবাদ, হরনাথপুর, মোনাইল, কুমেদপুর ও দানিসনগর আখকেন্দ্রে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারীর (সিডিএ) মাধ্যমে আখ ক্রয় করে।
পীরগঞ্জ আখ জোন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বিগত সময়ে উপজেলায় ৭০০ একরের মতো জমিতে আখ চাষ হতো। বর্তমানে তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ মৌসুমে ৪০০ একর জমিতে ফসলটির চাষ করা হয়েছে।
মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের আখ চাষি মোজাফফর হোসেন জানান, উপজেলার বড় আলমপুর, মদনখালী, কুমেদপুর, টুকুরিয়া, রায়পুর, চতরা ও ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে অধিক পরিমাণে আখের চাষ হতো। ইউনিয়নগুলোতে কৃষকদের জমি বেশি থাকার ফলে তাঁরা দীর্ঘ সময় লাগিয়ে আখ চাষ করতে পারতেন।
বড় আলমপুর গ্রামের আজগর আলী বলেন, ‘আখ আবাদ করে প্রতি বছর আমাদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। এ জন্য আমরা বর্তমানে চাষ অনেক কমে দিয়েছি। যেটুকু চাষ করা হয়েছে সেগুলো দিয়ে গুড় তৈরি করা হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এতে করে অবশ্য চাষিরা লাভবানই হবেন। সারা বছর বাড়ির চাহিদা মিটিয়েও গুড় বিক্রি করে নগদ অর্থ পাওয়া যাবে।’
আজগর আলী জানান, আখ কিনতে অন্যান্য বছর এলাকায় চিনিকলের লোকজন চোখে পড়ত। বর্তমানে তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে