মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অপরিকল্পিত ভাবে সেতু নির্মাণ চলছে। এতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বদলে বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর এক পাশে আছে বড় এক পুকুর, আর অপর পাশে বেশ কয়েকটি ঘর। সংযোগ সড়ক বানাতে গিয়ে ভাঙা পড়বে বসত ঘরগুলো।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের পশ্চিম মোল্লাপাড়া-কাঠিরা সড়কের ঐচারমাঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপর ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) একটি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় স্থানীয় ঠিকাদারকে। ঠিকাদার গত এক বছর আগে সেতুর কাজ শুরু করে করে। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া থেকে কাঠিরা সড়কের ঐচারমাঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপরের এই সেতুর দুপাশে কোনো সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়ক নেই। এই অপরিকল্পিত সেতুতে উঠতে মই ব্যবহার করতে হবে মানুষদের। সেতুর একপাশে রয়েছে বিদ্যালয়ের একটি বড় পুকুর, অন্য পাশে রয়েছে প্রায় ১০টি বসত ঘর।
বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ) তৈরি করলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বদলে বাড়বে। তবে এ সেতুতে সংযোগ সড়ক করা হলে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তি কম হলেও ১২টি পরিবারের শতাধিক লোকের থাকার একমাত্র আশ্রয়স্থল তাদের ঘর গুলো ভেঙে ফেলতে হবে।
সেতুর পাশের হালদার বাড়ির মধু হালদার, নির্মল হালদার ও উৎপল হালদার জানান, এই ছোট সরু খালে এত বড় কোটি টাকার সেতু নির্মাণের ফলে শতাধিক লোক বিপদে পড়েছেন। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে তাঁদের বসত ঘর ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। তাঁরা দিন আনেন দিন খান। কষ্ট করে কাঠ দিয়ে ঘর বানিয়েছেন। এখন সেই ঘর সেতুর কারণে ভেঙে ফেলতে বলা হচ্ছে। এখন কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না।
ওই বাড়ির গৃহিণী কনক হালদার ও যত্ন হালদার জানান, সেতুটি সড়ক সোজা নির্মাণ না করে এমনভাবে বানানো হয়েছে সেতুর একপাশে বিদ্যালয়ের পুকুর এবং অন্য পাশে বসত ঘর পড়েছে। সেতুটি নির্মাণের সময় সড়ক সোজা করার জন্য বারবার বলা হলেও ঠিকাদার বলছেন এতে সমস্যা হবে না। কিন্তু সেতুটির কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে আর এখনই ঠিকাদার বলছেন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে বসত ঘর ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই।
ঠিকাদার হাচান তালুকদার বলেন, ‘আমি সেতুর নকশা অনুযায়ী কাজ করেছি। সেতুটি নির্মাণে কয়েকটি পরিবারের ক্ষতি হলেও তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। সেতু আর সড়ক নির্মাণ হলে এই এলাকা উন্নয়নে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার হালাদার বলেন, ‘সেতুটি সড়ক সোজা নির্মাণ করলে হয়তো বসত ঘরগুলো অপসারণ করতে হতো না। তবুও সেতুটি তৈরি হওয়ায় এই এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ কমবে।’
এই সেতুর দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বসত ঘর ভেঙে ফেললেও বাড়ির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আর এই সেতুর ডিজাইন করেছিল ঢাকা থেকে আসা প্রকৌশলীরা।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যোগদান করেছি। এই সেতু সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারব।’
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অপরিকল্পিত ভাবে সেতু নির্মাণ চলছে। এতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বদলে বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর এক পাশে আছে বড় এক পুকুর, আর অপর পাশে বেশ কয়েকটি ঘর। সংযোগ সড়ক বানাতে গিয়ে ভাঙা পড়বে বসত ঘরগুলো।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের পশ্চিম মোল্লাপাড়া-কাঠিরা সড়কের ঐচারমাঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপর ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) একটি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় স্থানীয় ঠিকাদারকে। ঠিকাদার গত এক বছর আগে সেতুর কাজ শুরু করে করে। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া থেকে কাঠিরা সড়কের ঐচারমাঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপরের এই সেতুর দুপাশে কোনো সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়ক নেই। এই অপরিকল্পিত সেতুতে উঠতে মই ব্যবহার করতে হবে মানুষদের। সেতুর একপাশে রয়েছে বিদ্যালয়ের একটি বড় পুকুর, অন্য পাশে রয়েছে প্রায় ১০টি বসত ঘর।
বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ) তৈরি করলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বদলে বাড়বে। তবে এ সেতুতে সংযোগ সড়ক করা হলে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তি কম হলেও ১২টি পরিবারের শতাধিক লোকের থাকার একমাত্র আশ্রয়স্থল তাদের ঘর গুলো ভেঙে ফেলতে হবে।
সেতুর পাশের হালদার বাড়ির মধু হালদার, নির্মল হালদার ও উৎপল হালদার জানান, এই ছোট সরু খালে এত বড় কোটি টাকার সেতু নির্মাণের ফলে শতাধিক লোক বিপদে পড়েছেন। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে তাঁদের বসত ঘর ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। তাঁরা দিন আনেন দিন খান। কষ্ট করে কাঠ দিয়ে ঘর বানিয়েছেন। এখন সেই ঘর সেতুর কারণে ভেঙে ফেলতে বলা হচ্ছে। এখন কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না।
ওই বাড়ির গৃহিণী কনক হালদার ও যত্ন হালদার জানান, সেতুটি সড়ক সোজা নির্মাণ না করে এমনভাবে বানানো হয়েছে সেতুর একপাশে বিদ্যালয়ের পুকুর এবং অন্য পাশে বসত ঘর পড়েছে। সেতুটি নির্মাণের সময় সড়ক সোজা করার জন্য বারবার বলা হলেও ঠিকাদার বলছেন এতে সমস্যা হবে না। কিন্তু সেতুটির কাজ প্রায় সমাপ্তের পথে আর এখনই ঠিকাদার বলছেন সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হলে বসত ঘর ভেঙে ফেলা ছাড়া উপায় নেই।
ঠিকাদার হাচান তালুকদার বলেন, ‘আমি সেতুর নকশা অনুযায়ী কাজ করেছি। সেতুটি নির্মাণে কয়েকটি পরিবারের ক্ষতি হলেও তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। সেতু আর সড়ক নির্মাণ হলে এই এলাকা উন্নয়নে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার হালাদার বলেন, ‘সেতুটি সড়ক সোজা নির্মাণ করলে হয়তো বসত ঘরগুলো অপসারণ করতে হতো না। তবুও সেতুটি তৈরি হওয়ায় এই এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ কমবে।’
এই সেতুর দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে বসত ঘর ভেঙে ফেললেও বাড়ির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আর এই সেতুর ডিজাইন করেছিল ঢাকা থেকে আসা প্রকৌশলীরা।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী অহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে এই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে যোগদান করেছি। এই সেতু সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে