কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
১৮৮২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রামের পটিয়ার আদালত ভবন নির্মাণ করে। একই বছর এই ভবনে চৌকি আদালত চালু করা হয়। বর্তমানে এটি পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত হিসেবে পরিচিত।
এই আদালত ভবন দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর ১৯৮৫ সালে গণপূর্ত বিভাগ ব্যবহারের অনুপযোগী ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর ৩৬ বছর পার হয়েছে। কোনো উন্নয়ন হয়নি। তবে এই ভবনেই চলছে আদালতের কার্যক্রম।
জানা গেছে, পটিয়ায় মোট ছয়টি আদালতের কার্যক্রম চলে। এগুলো হলো পটিয়া প্রথম, দ্বিতীয়, অতিরিক্ত আদালত এবং বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী আদালত। এখানে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মামলা বিচারাধীন। ছয় কোর্টে মাত্র চারজন বিচারক রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, টিনের ছাউনির ১৪০ বছরের পুরোনো আদালত ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। বেড়ার কিছু অংশ অর্ধপাকা। পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আদালত ভবনের ওপরে রয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের তার।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ও পটিয়া পৌরসদরের সুচক্রদণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল করিম পটিয়া আইনজীবী সমিতির এক সংবর্ধনায় পটিয়ায় বহুতল আদালত ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ছয়তলা ভবনের জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তবে অদৃশ্য কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় ফাইল আটকে রাখে। এ কারণে ভবন নির্মাণকাজ আর শুরু হয়নি।
এর আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আদালত ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল অলি আহমদ (বীরবিক্রম) ওই বরাদ্দ বাতিল করে তাঁর নিজের এলাকায় গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভবনের জন্য নিয়ে যান।
পটিয়া যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার শীল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্ষাকালে বেশি সমস্যা হয়। টিন ছিদ্র হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় মামলার নথি নষ্ট হয়। সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিচারকদের খাসকামরা, চেম্বার, বাসভবন, রাস্তা ও আদালত ভবনসহ বিচারক, আইনজীবীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।’
১৮০ বছরের ঐতিহ্য রক্ষায় বহুতল আদালত ভবন নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন পটিয়া যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার শীল ।
১৮৮২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রামের পটিয়ার আদালত ভবন নির্মাণ করে। একই বছর এই ভবনে চৌকি আদালত চালু করা হয়। বর্তমানে এটি পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত হিসেবে পরিচিত।
এই আদালত ভবন দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর ১৯৮৫ সালে গণপূর্ত বিভাগ ব্যবহারের অনুপযোগী ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর ৩৬ বছর পার হয়েছে। কোনো উন্নয়ন হয়নি। তবে এই ভবনেই চলছে আদালতের কার্যক্রম।
জানা গেছে, পটিয়ায় মোট ছয়টি আদালতের কার্যক্রম চলে। এগুলো হলো পটিয়া প্রথম, দ্বিতীয়, অতিরিক্ত আদালত এবং বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী আদালত। এখানে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মামলা বিচারাধীন। ছয় কোর্টে মাত্র চারজন বিচারক রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, টিনের ছাউনির ১৪০ বছরের পুরোনো আদালত ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। বেড়ার কিছু অংশ অর্ধপাকা। পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আদালত ভবনের ওপরে রয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের তার।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ও পটিয়া পৌরসদরের সুচক্রদণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল করিম পটিয়া আইনজীবী সমিতির এক সংবর্ধনায় পটিয়ায় বহুতল আদালত ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ছয়তলা ভবনের জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। তবে অদৃশ্য কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় ফাইল আটকে রাখে। এ কারণে ভবন নির্মাণকাজ আর শুরু হয়নি।
এর আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আদালত ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল অলি আহমদ (বীরবিক্রম) ওই বরাদ্দ বাতিল করে তাঁর নিজের এলাকায় গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভবনের জন্য নিয়ে যান।
পটিয়া যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার শীল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্ষাকালে বেশি সমস্যা হয়। টিন ছিদ্র হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় মামলার নথি নষ্ট হয়। সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিচারকদের খাসকামরা, চেম্বার, বাসভবন, রাস্তা ও আদালত ভবনসহ বিচারক, আইনজীবীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।’
১৮০ বছরের ঐতিহ্য রক্ষায় বহুতল আদালত ভবন নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন পটিয়া যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীপক কুমার শীল ।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে