মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা
বছর দশেক আগেও রবিশস্য ফলেছে যেখানে, এখন সেখানে শস্য তো দূরের কথা শুষ্ক মৌসুমেও কোমর পানি। একটি খাল নিশ্চিহ্ন হওয়ায় পানি নিষ্কাশন না হতে পেরে ২০০ বিঘা জমি বিলে পরিণত হয়েছে। বলছি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের কৈখালী মাঠের কথা।
দীর্ঘ ১ দশক ধরে জলাবদ্ধ থাকায় একসময়ের ফসলের মাঠটি এখন স্থানীয়রা কৈখালী বিল নামে ডাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৈখালী বিলের ২০০ বিঘা জমিতে কোমর পানি জমে রয়েছে। ফলে চলতি রোপা আমন ধানের চাষ করতে পারেননি এই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক।
আগামী বোরো–ইরি মৌসুমে চাষ করতে হলে সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা লাগবে এই বিলে। কিন্তু নিষ্কাশনে ব্যয়বহুল হওয়ায় কৃষকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
পুরন্দরপুর রেললাইন থেকে উৎপত্তি হওয়া কৈখালী মাঠের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ছোট্ট খালটি দিয়ে পানি রাজাপুরের মধ্য দিয়ে চলে যেত কপোতাক্ষে নদে। কৈখালী বিলের শেষ প্রান্ত থেকে রাজাপুর নায়েব বাড়ি পর্যন্ত অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণে খালটি নিশ্চিহ্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর এতেই স্থায়ী জলাবদ্ধতায় চাষের অনুপযোগী হয়েছে এই বিলটি।
কথা হয় পুরন্দরপুর গ্রামের কৃষক হায়দার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই বিলে আমার দুই বিঘা জমি রয়েছে। ৮-১০ বছর আগে এসব জমিতে রবিশস্য চাষ করেছি। এখানে ভালো ফসল ফলত। কিন্তু এখন সব সময় পানি জমে থাকায় আর আবাদ করতে পারি না। আবাদ করতে হলে পানি সেচে চাষ করতে হবে। যা অনেক ব্যয়বহুল।’
একই গ্রামের জনি বিশ্বাস বলেন, ‘কৈখালী মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সবই এখন পানির তলায়। সেখানে আমারসহ গোত্রীয়দের চার বিঘা জমি রয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আবাদি জমি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আবাদি জমি হারিয়ে আমিসহ এলাকার বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
সেলিম হোসেন নামে অপর কৃষক বলেন, ‘আমার যতটুকু আবাদি জমি আছে তার সবটুকুই এই বিলে। এখন আবাদ না হওয়ায় কষ্টে আছি।’
পাশের গ্রাম রাজাপুরের মিজানুর রহমান বলেন, ‘খালটি নিশ্চিহ্ন হওয়ায় শুধু কৈখালী নয় আমাদের গ্রামের সোমপঁচার বিলেও আবাদ হয় না। পানি নিষ্কাশন না হতে পেরে এই বিলে এ বছরও রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল হয়নি।’
এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। আবেদনে প্রায় দেড় শ কৃষক গণস্বাক্ষর করেছেন।
আবেদনপত্রে বলা হয়, ‘জলাবদ্ধ আমাদের জমিগুলো থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য থাকা খালটি বেশ কয়েক বছর ধরে বাঁধ, দখল ও অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের জন্য পানি নিষ্কাশনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’
তবে স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন, এখানে যে খালটি ছিল তা সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার আগেই দখল হয়ে যায়। ফলে এখানে নতুন করে খাল খননের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে কৃষকদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘পুরন্দরপুর গ্রামের কৃষকদের খাল খননের একটি আবেদন পেয়েছি। খালটি সরকারি হলে পুনরুদ্ধার করা হবে।’
বছর দশেক আগেও রবিশস্য ফলেছে যেখানে, এখন সেখানে শস্য তো দূরের কথা শুষ্ক মৌসুমেও কোমর পানি। একটি খাল নিশ্চিহ্ন হওয়ায় পানি নিষ্কাশন না হতে পেরে ২০০ বিঘা জমি বিলে পরিণত হয়েছে। বলছি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের কৈখালী মাঠের কথা।
দীর্ঘ ১ দশক ধরে জলাবদ্ধ থাকায় একসময়ের ফসলের মাঠটি এখন স্থানীয়রা কৈখালী বিল নামে ডাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৈখালী বিলের ২০০ বিঘা জমিতে কোমর পানি জমে রয়েছে। ফলে চলতি রোপা আমন ধানের চাষ করতে পারেননি এই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক।
আগামী বোরো–ইরি মৌসুমে চাষ করতে হলে সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা লাগবে এই বিলে। কিন্তু নিষ্কাশনে ব্যয়বহুল হওয়ায় কৃষকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
পুরন্দরপুর রেললাইন থেকে উৎপত্তি হওয়া কৈখালী মাঠের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ছোট্ট খালটি দিয়ে পানি রাজাপুরের মধ্য দিয়ে চলে যেত কপোতাক্ষে নদে। কৈখালী বিলের শেষ প্রান্ত থেকে রাজাপুর নায়েব বাড়ি পর্যন্ত অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণে খালটি নিশ্চিহ্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর এতেই স্থায়ী জলাবদ্ধতায় চাষের অনুপযোগী হয়েছে এই বিলটি।
কথা হয় পুরন্দরপুর গ্রামের কৃষক হায়দার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই বিলে আমার দুই বিঘা জমি রয়েছে। ৮-১০ বছর আগে এসব জমিতে রবিশস্য চাষ করেছি। এখানে ভালো ফসল ফলত। কিন্তু এখন সব সময় পানি জমে থাকায় আর আবাদ করতে পারি না। আবাদ করতে হলে পানি সেচে চাষ করতে হবে। যা অনেক ব্যয়বহুল।’
একই গ্রামের জনি বিশ্বাস বলেন, ‘কৈখালী মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সবই এখন পানির তলায়। সেখানে আমারসহ গোত্রীয়দের চার বিঘা জমি রয়েছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আবাদি জমি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আবাদি জমি হারিয়ে আমিসহ এলাকার বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
সেলিম হোসেন নামে অপর কৃষক বলেন, ‘আমার যতটুকু আবাদি জমি আছে তার সবটুকুই এই বিলে। এখন আবাদ না হওয়ায় কষ্টে আছি।’
পাশের গ্রাম রাজাপুরের মিজানুর রহমান বলেন, ‘খালটি নিশ্চিহ্ন হওয়ায় শুধু কৈখালী নয় আমাদের গ্রামের সোমপঁচার বিলেও আবাদ হয় না। পানি নিষ্কাশন না হতে পেরে এই বিলে এ বছরও রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল হয়নি।’
এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। আবেদনে প্রায় দেড় শ কৃষক গণস্বাক্ষর করেছেন।
আবেদনপত্রে বলা হয়, ‘জলাবদ্ধ আমাদের জমিগুলো থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য থাকা খালটি বেশ কয়েক বছর ধরে বাঁধ, দখল ও অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের জন্য পানি নিষ্কাশনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’
তবে স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন, এখানে যে খালটি ছিল তা সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার আগেই দখল হয়ে যায়। ফলে এখানে নতুন করে খাল খননের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে কৃষকদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘পুরন্দরপুর গ্রামের কৃষকদের খাল খননের একটি আবেদন পেয়েছি। খালটি সরকারি হলে পুনরুদ্ধার করা হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে