ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বিকেলে মহাসড়কে গাড়ির সারি টাঙ্গাইল অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে উপজেলার এলেঙ্গা হয়ে সদর উপজেলার কান্দিলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়। আর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৫২ কিলোমিটারজুড়ে যানজট লেগে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের যাত্রী ও পরিবহনের চালক-শ্রমিকেরা।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় এ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, পশ্চিম প্রান্তে ব্রিজ ও সড়কের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় কয়েক দিন ধরেই পশ্চিম প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল।

বুধবার ভোররাত থেকে সেই যানজট সেতুর পূর্ব প্রান্তের টোল প্লাজা পর্যন্ত পৌঁছে গেলে সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার সম্ভব না হওয়ায় ভোর সাড়ে চারটা থেকে টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়। এর ফলে পূর্ব প্রান্তে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুর পশ্চিম পাশের নলকা সেতুর মেরামতকাজ শেষ হলে যানজট স্বাভাবিক হতে পারে। ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত সন্ধ্যায় বলেন, ‘যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালের দিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার এবং হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বনপাড়া মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার, বগুড়া মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার ও পাবনা মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের আংশিক প্রায় ২২ জেলার যানবাহন চলাচল করে।

যানজটে আটকে পড়া একটি মাইক্রোবাসের চালক শিহাব হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে যানজটে আটকে যাই। রাত ২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এখনো আটকে আছি। এ যানজট কখন শেষ হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’