নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী ডিউটিতে নিয়োগে দেওয়ার কথা বলে আনসারের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়া সেই আনসারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আজিমুর শানের বিরুদ্ধে। এর আগেও উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম ও সহকারী আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আজিমুর শানের বিরুদ্ধে ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে।

আনসারদের ইউনিয়ন দলপতি ও দলনেত্রীরা কাজ দেওয়ার কথা বলে সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করেন। ঘুষ নেওয়ার পরও কাজ পাননি অনেকে। এ ঘটনায় নির্বাচনের আগের দিন উপজেলা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন আনসার সদস্যরা। কিন্তু তাতেও কোনো ফল আসেনি। এখন ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে হয়রানিসহ নানা হুমকির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা। ফলে একদিকে টাকা, অন্যদিকে কর্মকর্তার ভাড়া করা লোকজনের হুমকিতে ভয়ভীতির মধ্যেই দিন পার করছেন তাঁরা।

আনসার-ভিডিপি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ ইউপির নির্বাচনে ১১১টি সেন্টারে মোট ১ হাজার ৮৮৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২২২ জন আনসার এবং ১ হাজার ৬৬৫ জন ভিডিপি সদস্য। প্রতি সেন্টারে মোট ১৭ জন দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি সদস্য পাবেন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এই কাজ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন দলনেতা ও আনাসার সদস্য।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলনেতা ও দলনেত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী ডিউটি পাওয়ার জন্য আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম ও সহকারী আনসার-ভিডিপির কর্মকর্তা আজিমুর শান প্রতিটি দলের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৭টি গ্রুপের জন্য ৮৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাঁদের কাছে। এরপরও ডিউটি পাইনি। আমরা সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে এখন উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

অভিযুক্ত সহকারী আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আজিমুর শানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানানো বলে দাবি করেন।

আনসার-ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট তানজিনা বিন্তে এরশাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কিছু লিখিত অভিযোগ এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ডিপার্টমেন্টাল প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’