প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জেলার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র পাটকেলঘাটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নালাব্যবস্থা না থাকা, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও দোকানপাট নির্মাণ—এসব কারণে চলতি বছর বর্ষা শুরুর আগেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।

প্রতি বুধ ও শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন পাটকেলঘাটায়। এ ছাড়া এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কের বেহালে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে তাদেরও।

জনগুরুত্বপূর্ণ পাটকেলঘাটার গোডাউন রোডে পাঁচরাস্তা মোড়ের রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের নালাব্যবস্থা অকেজো দীর্ঘদিন বিধায় এখানকার পানি পাটকেলঘাটা থানার সামনে দিয়ে কপোতাক্ষ নদে চলে যায়। বর্তমানে সে নালাটি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে বাজারের রাস্তাগুলোতে কোথাও হাঁটুপানি জমে।

হাইস্কুল রোডে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় মানুষকে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনেক সময় কাদামাটি মেখে বাড়ি যেতে হয়। তবে বেশি বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের। রাস্তায় পানি জমে থাকায় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করা ও নালাব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি।

পাটকেলঘাটার গোডাউন রোডের ব্যবসায়ী সরকার, সাধন ও রাসেল বলেন, ‘পানি চলাচলের ড্রেন বন্দ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। রাস্তার পানি পার হয়ে কোনো ক্রেতা দোকানে আসতে চায় না। বিষয়টি নিয়ে পাটকেলঘাটা বাজার কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বৃষ্টি নেই, তারপরও রাস্তায় পানি জমে আছে।’ সরকার প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করলেও বাজারের তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না বলেও তাঁরা দাবি করেন।

পাটকেলঘাটা বাজার কমিটির সভাপতি নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দুরবস্থার কথা ভেবে বাজারের পুরোনো ড্রেন পরিষ্কার করে পানি চলাচলের রাস্তা করার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা করতে রাজি হচ্ছেন না।’

শেখ আবদুল হাই আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে পাটকেলঘাটা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজ করা হবে। এ ব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, পাটকেলঘাটা বাজারের রাস্তাগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।