শেখ রফিক
‘একুশের ইতিহাস যেমন আমাদের গর্ব ও অহংকারের ইতিহাস, তেমনি প্রাক্-বায়ান্ন রাজনৈতিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডও একই ধরনের ইতিহাস, যা একুশের পূর্ব চেতনার প্রতীক। একুশের মাসে, একুশের বর্ণাঢ্য উদ্যাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গণতান্ত্রিক-প্রগতিবাদী পূর্ব সংগ্রামের বিশেষ ঘটনা স্মরণ করতে চাই, তাতে একুশের মর্যাদা বাড়বে বই কমবে না।’—আহমদ রফিক, ভাষাসৈনিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কবি।
১৯৪৮-৫০ সাল। দেশব্যাপী চলেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাসের রাজত্ব। জনতার অন্ন, বস্ত্র এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বুলেটের মাধ্যমে স্তব্ধ করা হয়েছিল। এই জুলুম, নির্যাতনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল এ দেশের শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষ।
জনগণের দাবিদাওয়া ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণের সংগ্রামকে সার্থক করে তোলার জন্য যেসব দেশপ্রেমিক কমিউনিস্ট নেতা-কর্মী এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গৃহীত হয়েছিল চরম নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা। ফলে তাঁদের ওপর নির্যাতন বাড়তে থাকে, ধরে ধরে জেলে ভরা হয় কমিউনিস্টের নেতা-কর্মীদের। ভরে যায় পূর্ব বাংলার কারাগারগুলো। ব্রিটিশ সরকার রাজবন্দীদের বিশেষ মর্যাদা দিতে বাধ্য হলেও, মুসলিম লীগ সরকার সেই মর্যাদা তুলে নেয় এবং রাজবন্দীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে বিবেচনা করে। জেলের সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হতো। তাদের দিয়ে জেলের ঘানিও টানানো হতো। অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করেন কমিউনিস্ট বন্দীরা।
এই নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা রাজবন্দীরা মাথা পেতে গ্রহণ করেননি। এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করেছেন। ঢাকা ও রাজশাহী জেলে আটক রাজবন্দীরা ১৯৪৯ সালে চারবার প্রথম ৩০ দিন, দ্বিতীয়বার ৪১ দিন, তৃতীয়বার ৪৯ দিন এবং পরিশেষে ৬১ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন। অনশন ধর্মঘটের মুখে সরকার রাজবন্দীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার তা ভঙ্গ করেছে। ১৯৪৮-৫০ সালে রংপুরের কালিপদ দে, গাইবান্ধার খালেক, চট্টগ্রামের ধীরেন শীল, যশোরের ফরিদদ্দার পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। পাগল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন যশোরের লুৎফর রহমান।
পাকিস্তানি শাসকদের এসব অত্যাচার রাজবন্দীদের স্তব্ধ করতে পারেনি। ১৯৪৯ সালে রাজবন্দীরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেল কর্তৃপক্ষ বলপূর্বক রাজবন্দীদের খাওয়ানোর চেষ্টা করত। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা জেলে অনশনরত রাজবন্দী শিবেন রায়কে জোর করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দুধ শিবেন রায়ের পাকস্থলীতে না গিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। জেল কর্তৃপক্ষ এদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাঁকে ৬ নম্বর সেলে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। রাতে শিবেন রায় মৃত্যুবরণ করেন। শিবেন রায়ের মৃত্যুর পর ১৯৫০ সালে রাজবন্দীদের আংশিক দাবি পূরণ হয়।
১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে রাজশাহী জেলের সাধারণ কয়েদিরা অনশন শুরু করলে, কমিউনিস্ট বন্দীরাও যোগ দেন। ঘানি টানানো হবে না, ভালো খাবার দেওয়া হবে—এই আশ্বাসের ভিত্তিতে ১৪ এপ্রিল অনশন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে কমিউনিস্ট বন্দীদের ওপর জুলুম বাড়তে থাকে। ২১ এপ্রিল রাজবন্দীদের প্রতিনিধি কমরেড আব্দুল হক আর কমরেড বিজন সেনকে ধমক দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শাস্তি হিসেবে ১০ জন বন্দীকে কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হবে। এই শাস্তিমূলক আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন খাপড়া ওয়ার্ডের কমিউনিস্ট বন্দীরা। এরপর ২২ ও ২৩ এপ্রিল রাজবন্দীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কয়েক দফা। ২৪ এপ্রিল সকালে কমরেড কম্পরাম সিং তেজদীপ্তভাবেই বলেন, ‘শাস্তি আমরা মানব না, সেলে আমরা যাব না, নিতে এলে বাধা দেব।’ তাঁর এই বক্তব্য সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়।
২৪ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৫ মিনিট, রাজশাহী জেল সুপারিনটেনডেন্ট এডওয়ার্ড বিল দলবল নিয়ে হঠাৎ করেই খাপড়া ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন এবং কমরেড আব্দুল হকের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিল সাহেব যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই ওয়ার্ডে ঢুকেছেন, সেটা কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না।
একপর্যায়ে ‘কমিউনিস্টরা ক্রিমিনাল’ বলে গালি দিতে দিতে ওয়ার্ড থেকে বের হয়েই বিল দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিল বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাগলা ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। বিল এবার গুলি চালাতে নির্দেশ দেন। বাঁশ দিয়ে জানালার কাচ ভেঙে, জানালার ফাঁকের মধ্যে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গুলি করতে থাকে সিপাহিরা। রক্তে ভেসে যায় খাপড়া ওয়ার্ড। রাজবন্দীরা চিৎকার করে দরজা খুলে দিতে বলেন। দরজা খুলতেই সিপাহি ও কয়েদি পাহারা মেটরা, আহত-নিহতনির্বিশেষে সবাইকে পেটাতে শুরু করে।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডের রাজবন্দীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের নির্দেশমতো। শুধু গুলি নয়, বন্দীদের ওপর লাঠি পেটাও করা হয়েছিল। আহতদের মধ্যে যাঁরা পানি পানি বলে চিৎকার করেছিলেন, পানির বদলে তাঁদের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন সর্বমোট ৬০টি গুলি চালানো হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁরা হলেন হানিফ শেখ, আনোয়ার হোসেন, সুখেন ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, সুধীন ধর, কম্পরাম সিং, বিজন সেনসহ ৭ জন; বাকিরা সবাই আহত হয়েছিলেন।
শেখ রফিক, প্রকাশক, বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা, নির্বাহী পরিচালক, রেয়ারবই ডট ওআরজি
‘একুশের ইতিহাস যেমন আমাদের গর্ব ও অহংকারের ইতিহাস, তেমনি প্রাক্-বায়ান্ন রাজনৈতিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডও একই ধরনের ইতিহাস, যা একুশের পূর্ব চেতনার প্রতীক। একুশের মাসে, একুশের বর্ণাঢ্য উদ্যাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গণতান্ত্রিক-প্রগতিবাদী পূর্ব সংগ্রামের বিশেষ ঘটনা স্মরণ করতে চাই, তাতে একুশের মর্যাদা বাড়বে বই কমবে না।’—আহমদ রফিক, ভাষাসৈনিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কবি।
১৯৪৮-৫০ সাল। দেশব্যাপী চলেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাসের রাজত্ব। জনতার অন্ন, বস্ত্র এবং গণতান্ত্রিক অধিকার বুলেটের মাধ্যমে স্তব্ধ করা হয়েছিল। এই জুলুম, নির্যাতনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল এ দেশের শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষ।
জনগণের দাবিদাওয়া ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণের সংগ্রামকে সার্থক করে তোলার জন্য যেসব দেশপ্রেমিক কমিউনিস্ট নেতা-কর্মী এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গৃহীত হয়েছিল চরম নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা। ফলে তাঁদের ওপর নির্যাতন বাড়তে থাকে, ধরে ধরে জেলে ভরা হয় কমিউনিস্টের নেতা-কর্মীদের। ভরে যায় পূর্ব বাংলার কারাগারগুলো। ব্রিটিশ সরকার রাজবন্দীদের বিশেষ মর্যাদা দিতে বাধ্য হলেও, মুসলিম লীগ সরকার সেই মর্যাদা তুলে নেয় এবং রাজবন্দীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে বিবেচনা করে। জেলের সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হতো। তাদের দিয়ে জেলের ঘানিও টানানো হতো। অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করেন কমিউনিস্ট বন্দীরা।
এই নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা রাজবন্দীরা মাথা পেতে গ্রহণ করেননি। এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলন করেছেন। ঢাকা ও রাজশাহী জেলে আটক রাজবন্দীরা ১৯৪৯ সালে চারবার প্রথম ৩০ দিন, দ্বিতীয়বার ৪১ দিন, তৃতীয়বার ৪৯ দিন এবং পরিশেষে ৬১ দিন অনশন ধর্মঘট করেছিলেন। অনশন ধর্মঘটের মুখে সরকার রাজবন্দীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার তা ভঙ্গ করেছে। ১৯৪৮-৫০ সালে রংপুরের কালিপদ দে, গাইবান্ধার খালেক, চট্টগ্রামের ধীরেন শীল, যশোরের ফরিদদ্দার পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। পাগল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন যশোরের লুৎফর রহমান।
পাকিস্তানি শাসকদের এসব অত্যাচার রাজবন্দীদের স্তব্ধ করতে পারেনি। ১৯৪৯ সালে রাজবন্দীরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেল কর্তৃপক্ষ বলপূর্বক রাজবন্দীদের খাওয়ানোর চেষ্টা করত। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা জেলে অনশনরত রাজবন্দী শিবেন রায়কে জোর করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দুধ শিবেন রায়ের পাকস্থলীতে না গিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে। জেল কর্তৃপক্ষ এদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাঁকে ৬ নম্বর সেলে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। রাতে শিবেন রায় মৃত্যুবরণ করেন। শিবেন রায়ের মৃত্যুর পর ১৯৫০ সালে রাজবন্দীদের আংশিক দাবি পূরণ হয়।
১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে রাজশাহী জেলের সাধারণ কয়েদিরা অনশন শুরু করলে, কমিউনিস্ট বন্দীরাও যোগ দেন। ঘানি টানানো হবে না, ভালো খাবার দেওয়া হবে—এই আশ্বাসের ভিত্তিতে ১৪ এপ্রিল অনশন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এর পর থেকে কমিউনিস্ট বন্দীদের ওপর জুলুম বাড়তে থাকে। ২১ এপ্রিল রাজবন্দীদের প্রতিনিধি কমরেড আব্দুল হক আর কমরেড বিজন সেনকে ধমক দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, শাস্তি হিসেবে ১০ জন বন্দীকে কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হবে। এই শাস্তিমূলক আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন খাপড়া ওয়ার্ডের কমিউনিস্ট বন্দীরা। এরপর ২২ ও ২৩ এপ্রিল রাজবন্দীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কয়েক দফা। ২৪ এপ্রিল সকালে কমরেড কম্পরাম সিং তেজদীপ্তভাবেই বলেন, ‘শাস্তি আমরা মানব না, সেলে আমরা যাব না, নিতে এলে বাধা দেব।’ তাঁর এই বক্তব্য সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়।
২৪ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৫ মিনিট, রাজশাহী জেল সুপারিনটেনডেন্ট এডওয়ার্ড বিল দলবল নিয়ে হঠাৎ করেই খাপড়া ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন এবং কমরেড আব্দুল হকের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিল সাহেব যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই ওয়ার্ডে ঢুকেছেন, সেটা কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না।
একপর্যায়ে ‘কমিউনিস্টরা ক্রিমিনাল’ বলে গালি দিতে দিতে ওয়ার্ড থেকে বের হয়েই বিল দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিল বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাগলা ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। বিল এবার গুলি চালাতে নির্দেশ দেন। বাঁশ দিয়ে জানালার কাচ ভেঙে, জানালার ফাঁকের মধ্যে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গুলি করতে থাকে সিপাহিরা। রক্তে ভেসে যায় খাপড়া ওয়ার্ড। রাজবন্দীরা চিৎকার করে দরজা খুলে দিতে বলেন। দরজা খুলতেই সিপাহি ও কয়েদি পাহারা মেটরা, আহত-নিহতনির্বিশেষে সবাইকে পেটাতে শুরু করে।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডের রাজবন্দীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের নির্দেশমতো। শুধু গুলি নয়, বন্দীদের ওপর লাঠি পেটাও করা হয়েছিল। আহতদের মধ্যে যাঁরা পানি পানি বলে চিৎকার করেছিলেন, পানির বদলে তাঁদের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন সর্বমোট ৬০টি গুলি চালানো হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলে যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, তাঁরা হলেন হানিফ শেখ, আনোয়ার হোসেন, সুখেন ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, সুধীন ধর, কম্পরাম সিং, বিজন সেনসহ ৭ জন; বাকিরা সবাই আহত হয়েছিলেন।
শেখ রফিক, প্রকাশক, বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা, নির্বাহী পরিচালক, রেয়ারবই ডট ওআরজি
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে