শরিফুল হাসান, কলামিস্ট
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ৯ মাসের যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি অর্থ ও রসদ সংগ্রহেও তাঁদের ভূমিকা ছিল অনন্য।
১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বাংলাদেশের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এই উত্তরণে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
সর্বশেষ বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের প্রতিবেদনমতে, প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সপ্তম। প্রবাসীরা বছরে প্রায় ২২-২৪ বিলিয়ন ডলার পাঠান দেশে। সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশে এখন যে পরিমাণ ঋণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আসে, এর চেয়ে ৬ থেকে ১০ গুণ বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর বিশ্বমন্দা, বৈশ্বিক মহামারি ও রিজার্ভ-সংকটের ভরসাও হলেন প্রবাসীরা।
কিন্তু যে প্রবাসীরা আজকের সমৃদ্ধির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের অবদানের কতটা স্বীকৃতি দিতে পেরেছে বাংলাদেশ? এ প্রশ্ন করার কারণ, দেশে প্রথমবারের মতো আজ জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি দিতেই ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রতিবছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালনের এই সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক একটি সনদ স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্যই ১৮ ডিসেম্বর। অন্যদিকে প্রবাসী, অনাবাসী বাংলাদেশিসহ সব প্রবাসীর অবদানের স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় প্রবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় প্রবাসী দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করে গত বছর পরিপত্র জারি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আজ জাতীয় প্রবাসী দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। শুধু দিবস উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতায় যেন দিনটি হারিয়ে না যায়, সেটা মনে রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে শেখার আছে।
অনাবাসী বাংলাদেশি কিংবা প্রবাসী আয় সব দিক থেকেই গোটা পৃথিবীর শীর্ষ দেশ ভারত। সেই ভারত তাদের প্রবাসী নাগরিকদের অবদানের স্মরণে প্রতিবছরের ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করে থাকে। ৯ জানুয়ারি বেছে নেওয়ার কারণ ১৯১৫ সালের এই দিনে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন।
২০০৩ সালে ভারত সরকারের অনাবাসী ভারতীয় দপ্তর, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর দিনটি পালন শুরু করে। এখন এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় দিবস। বিদেশে ভারতের প্রতিটি দূতাবাসে দিবসটি পালন করা হয়। পাশাপাশি ভারতের কোনো একটা বড় শহরে প্রবাসী ভারতীয় দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন—এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সম্মান দেওয়া হয়। এটি অনাবাসী ভারতীয় এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ভারতীয় পুরস্কার।
২০০৩ সাল থেকে ২০ বছরে যেসব অনাবাসীকে ভারত পুরস্কৃত করেছে, সেটি দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী, কবি, সমাজসেবক, মানবাধিকারকর্মী দারুণ সব নাম। ভারতের রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার প্রদান করেন এবং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন।
প্রবাসী ভারতীয় দিবসের এই সম্মেলন এখন ভারতের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যেটি বিদেশে বসবাসরতদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ গড়ে তুলতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা অনাবাসী ভারতীয়রা এসব অনুষ্ঠানে আসার জন্য নাম নিবন্ধন করেন। এখানে প্রবাসীরা ভারতের বিভিন্ন নীতির বিষয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। ভারতের নানা প্রকল্প ও উদ্যোগেও যুক্ত হন। এ ছাড়া ওই সম্মেলনে স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রাখা প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীও হয়।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা প্রবাসীদের স্বীকৃতি দিতে পারিনি। নেই কোনো রাষ্ট্রীয় তালিকাও। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীদের ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। শুধু যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দল বেঁধে বিপন্ন স্বজাতির মুক্তির লড়াইয়ে চাঁদা উঠিয়ে অর্থ সাহায্য করেছেন।
তাঁদের কারণে বিদেশিরা বাঙালির মুক্তির মানবিক লড়াইয়ে সাড়া দিয়েছেন। জাতীয় প্রবাসী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এসব
অবদানের কথা তুলে ধরা উচিত।
শুধু মুক্তিযুদ্ধ কেন, আজকের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা ভূমিকা রাখছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, লেবানন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম-বেশি আছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
অন্যদিকে অনাবাসী বাংলাদেশিরা আছেন—যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর নানা দেশে। তাঁরা দেশে যেমন প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন, তেমনি বিদেশেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন তাঁদের কাজ দিয়ে।
কিন্তু এত অবদানের পরেও প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাসে সেবা পেতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাজেই শুধু একটা আনুষ্ঠানিক দিবসে না থেকে প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয় নানা উদ্যোগ থাকা উচিত।
প্রবাসে বিশেষ অবদান রেখে দেশকে সম্মানিত করছেন এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় একটা ডিজিটাল পোর্টাল হতে পারে, যেখানে বিদেশে নানা খাতে অবদান রাখা বাংলাদেশিদের ছবিসহ প্রোফাইল থাকবে। বিদেশে থাকা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বছরজুড়ে নানা বিষয়ে সম্মেলন হতে পারে। দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভাবনা ও দক্ষতা কাজে আসতে পারে। তাই প্রবাসীদের সম্মান করতে পারলেই সার্থক হবে দিবসটি পালনের সার্থকতা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ৯ মাসের যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি অর্থ ও রসদ সংগ্রহেও তাঁদের ভূমিকা ছিল অনন্য।
১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বাংলাদেশের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এই উত্তরণে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
সর্বশেষ বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের প্রতিবেদনমতে, প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সপ্তম। প্রবাসীরা বছরে প্রায় ২২-২৪ বিলিয়ন ডলার পাঠান দেশে। সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশে এখন যে পরিমাণ ঋণ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আসে, এর চেয়ে ৬ থেকে ১০ গুণ বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর বিশ্বমন্দা, বৈশ্বিক মহামারি ও রিজার্ভ-সংকটের ভরসাও হলেন প্রবাসীরা।
কিন্তু যে প্রবাসীরা আজকের সমৃদ্ধির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের অবদানের কতটা স্বীকৃতি দিতে পেরেছে বাংলাদেশ? এ প্রশ্ন করার কারণ, দেশে প্রথমবারের মতো আজ জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি দিতেই ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রতিবছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালনের এই সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক একটি সনদ স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্যই ১৮ ডিসেম্বর। অন্যদিকে প্রবাসী, অনাবাসী বাংলাদেশিসহ সব প্রবাসীর অবদানের স্বীকৃতি দিতেই জাতীয় প্রবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় প্রবাসী দিবসটিকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করে গত বছর পরিপত্র জারি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আজ জাতীয় প্রবাসী দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। শুধু দিবস উদ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতায় যেন দিনটি হারিয়ে না যায়, সেটা মনে রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে শেখার আছে।
অনাবাসী বাংলাদেশি কিংবা প্রবাসী আয় সব দিক থেকেই গোটা পৃথিবীর শীর্ষ দেশ ভারত। সেই ভারত তাদের প্রবাসী নাগরিকদের অবদানের স্মরণে প্রতিবছরের ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করে থাকে। ৯ জানুয়ারি বেছে নেওয়ার কারণ ১৯১৫ সালের এই দিনে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন।
২০০৩ সালে ভারত সরকারের অনাবাসী ভারতীয় দপ্তর, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর দিনটি পালন শুরু করে। এখন এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় দিবস। বিদেশে ভারতের প্রতিটি দূতাবাসে দিবসটি পালন করা হয়। পাশাপাশি ভারতের কোনো একটা বড় শহরে প্রবাসী ভারতীয় দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন—এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সম্মান দেওয়া হয়। এটি অনাবাসী ভারতীয় এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ভারতীয় পুরস্কার।
২০০৩ সাল থেকে ২০ বছরে যেসব অনাবাসীকে ভারত পুরস্কৃত করেছে, সেটি দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী, কবি, সমাজসেবক, মানবাধিকারকর্মী দারুণ সব নাম। ভারতের রাষ্ট্রপতি এই পুরস্কার প্রদান করেন এবং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন।
প্রবাসী ভারতীয় দিবসের এই সম্মেলন এখন ভারতের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যেটি বিদেশে বসবাসরতদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ গড়ে তুলতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা অনাবাসী ভারতীয়রা এসব অনুষ্ঠানে আসার জন্য নাম নিবন্ধন করেন। এখানে প্রবাসীরা ভারতের বিভিন্ন নীতির বিষয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। ভারতের নানা প্রকল্প ও উদ্যোগেও যুক্ত হন। এ ছাড়া ওই সম্মেলনে স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রাখা প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীও হয়।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা প্রবাসীদের স্বীকৃতি দিতে পারিনি। নেই কোনো রাষ্ট্রীয় তালিকাও। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীদের ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। শুধু যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দল বেঁধে বিপন্ন স্বজাতির মুক্তির লড়াইয়ে চাঁদা উঠিয়ে অর্থ সাহায্য করেছেন।
তাঁদের কারণে বিদেশিরা বাঙালির মুক্তির মানবিক লড়াইয়ে সাড়া দিয়েছেন। জাতীয় প্রবাসী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এসব
অবদানের কথা তুলে ধরা উচিত।
শুধু মুক্তিযুদ্ধ কেন, আজকের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা ভূমিকা রাখছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১ কোটির বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, লেবানন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম-বেশি আছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
অন্যদিকে অনাবাসী বাংলাদেশিরা আছেন—যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর নানা দেশে। তাঁরা দেশে যেমন প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন, তেমনি বিদেশেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন তাঁদের কাজ দিয়ে।
কিন্তু এত অবদানের পরেও প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাসে সেবা পেতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাজেই শুধু একটা আনুষ্ঠানিক দিবসে না থেকে প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয় নানা উদ্যোগ থাকা উচিত।
প্রবাসে বিশেষ অবদান রেখে দেশকে সম্মানিত করছেন এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় একটা ডিজিটাল পোর্টাল হতে পারে, যেখানে বিদেশে নানা খাতে অবদান রাখা বাংলাদেশিদের ছবিসহ প্রোফাইল থাকবে। বিদেশে থাকা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বছরজুড়ে নানা বিষয়ে সম্মেলন হতে পারে। দেশের উন্নয়নে তাঁদের ভাবনা ও দক্ষতা কাজে আসতে পারে। তাই প্রবাসীদের সম্মান করতে পারলেই সার্থক হবে দিবসটি পালনের সার্থকতা।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে