এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী আবাদ করেছেন আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন নামে দুই ভাই। তাঁদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গংগাপাড়া এলাকায়। বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী ঠিক সেই সময় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুল ফোটায় হলুদ রং ধারণ করেছে মাঠ।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের গুণগত মান ভালো। চাহিদাও বেশি। তাই কৃষকদের এই তেলজাতীয় ফসল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সূর্যের আলো আর ফুলের হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল। সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে ফুলের দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার।
আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। মনোরম পরিবেশ, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউ।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশিয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ব সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ভাঙানো যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম এই তেলে।
চলতি মৌসুমে জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় গংগাপাড়া গ্রামে ১০০ শতাংশ জমিতে কৃষক আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা।
প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি ফুটেছে। সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমীদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হই চই ফেলে দিয়েছে। ফুল ফোটার পর প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন।
সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আগতরা। সেলফি তুলছেন উৎসুক মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।
সাংবাদিক খাদেমু হক বাবুল বলেন, ‘প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে এসেছেন। ফুলের গন্ধে মন নেচে উঠেছে।’
সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী নারগিস আক্তার বলেন, ‘শহরের ঘরবন্দী থেকে একটু মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে ও বাগান ভরা ফুল দেখতে এখানে আসা। তবে এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর লাগছে। তাই সবাই মিলে এ মনোরম দৃশ্য ফ্রেমে বন্দী করছি।’
ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, ‘বাসাবাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুলের বাগান করা যায়। কিন্তু সূর্যমুখী ফুলের বাগান করা খুব একটা হয়ে উঠে না। এ ছাড়া একসঙ্গে অনেক সূর্যমুখী ফুল দেখে মনটা ভরে যায়।’
কৃষক আমেজ আলী দর্জী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। ভবিষ্যতে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।’
কৃষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অনেকটাই শখ করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি। ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করবো।’
উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা বেশি। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এল. এম. রেজুয়ান বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়। যারা চাষ করবে তাদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী আবাদ করেছেন আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন নামে দুই ভাই। তাঁদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গংগাপাড়া এলাকায়। বাজারে ভোজ্যতেলের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী ঠিক সেই সময় উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। বর্তমানে সূর্যমুখী ফুল ফোটায় হলুদ রং ধারণ করেছে মাঠ।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের গুণগত মান ভালো। চাহিদাও বেশি। তাই কৃষকদের এই তেলজাতীয় ফসল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সূর্যের আলো আর ফুলের হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল। সকালে পূর্ব দিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে ফুলের দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার।
আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই আসছেন অনেকে। মনোরম পরিবেশ, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউ।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশিয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ব সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ভাঙানো যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম এই তেলে।
চলতি মৌসুমে জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় গংগাপাড়া গ্রামে ১০০ শতাংশ জমিতে কৃষক আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা।
প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি ফুটেছে। সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমীদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হই চই ফেলে দিয়েছে। ফুল ফোটার পর প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন।
সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আগতরা। সেলফি তুলছেন উৎসুক মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।
সাংবাদিক খাদেমু হক বাবুল বলেন, ‘প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে এসেছেন। ফুলের গন্ধে মন নেচে উঠেছে।’
সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী নারগিস আক্তার বলেন, ‘শহরের ঘরবন্দী থেকে একটু মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে ও বাগান ভরা ফুল দেখতে এখানে আসা। তবে এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর লাগছে। তাই সবাই মিলে এ মনোরম দৃশ্য ফ্রেমে বন্দী করছি।’
ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, ‘বাসাবাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুলের বাগান করা যায়। কিন্তু সূর্যমুখী ফুলের বাগান করা খুব একটা হয়ে উঠে না। এ ছাড়া একসঙ্গে অনেক সূর্যমুখী ফুল দেখে মনটা ভরে যায়।’
কৃষক আমেজ আলী দর্জী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। ভবিষ্যতে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।’
কৃষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অনেকটাই শখ করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি। ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করবো।’
উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী মিজানুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলের তেলের চাহিদা বেশি। তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এল. এম. রেজুয়ান বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়। যারা চাষ করবে তাদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে