বিনোদন ডেস্ক
আমি ভাগ্যবান এমন একটি গান পেয়েছি
কুমার বিশ্বজিৎ, সংগীতশিল্পী
কাওসার ভাইয়ের লেখনী নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা আধুনিক গানকে যাঁরা কাব্য, সাহিত্য ও অন্ত্যমিলের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, কাওসার ভাই তাঁদের অন্যতম। তাঁর গানের মাধ্যমে আমরা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। অনেকে ভেসেছেন আবেগে, অনেকে উপলব্ধিতে, অনেকে বেদনায়। তাঁর গানের মাধ্যমে সাহস পেয়েছি, শক্তি পেয়েছি আমিও।
একটা হতাশায় আমি ভুগি, তাঁদের মতো মেধাবীদের এই চলে যাওয়ায় আমাদের যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তা পূরণের লোক কবে আসবে? আদৌ কি আসবে? মানুষ মরণশীল। সবাইকে যেতে হবে। আমি অনেক ভাগ্যবান তাঁর ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানটা পেয়েছি লাকী ভাইয়ের সুরে। একটা শিল্পীর ক্যারিয়ারে এমন একটি গান পাওয়ার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
গানটা আমার গাওয়ার আগেই সৃষ্টি হয়েছে। এটা লাকী আখান্দ্ ভাই, ফাহমিদা নবী—তাঁরাও গেয়েছেন। তবে কেন যেন শ্রোতারা আমার গাওয়া একটু বেশি পছন্দ করেছেন। যখনই আমি মঞ্চে গান গাইতে উঠি, প্রতিটি গানের আগে গীতিকার ও সুরকারের নাম বলি। যখনই ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানের কথা বলি, যে আওয়াজটা পাই তা শিহরিত করার মতো। এমনকি এই গানটা গাওয়া শুরু করলে, আমাকে বেশিক্ষণ গাইতে হয় না। শ্রোতারাই পুরোটা গায়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গানটি গাইতে পারেন। গানটি কিন্তু সহজ নয়। অনেক কাব্য, সাহিত্য ও অন্ত্যমিল আছে। তারপরও এটি সবার কাছে পৌঁছেছে।
তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন
সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী
ভীষণ জনপ্রিয় গীতিকবির পাশাপাশি উনি একজন বরেণ্য জ্যোতিষও। ছোটবেলায় ‘সাতটি রঙের সাতটি সুর’ নামের শিশুতোষ অনুষ্ঠানে তাঁর গান প্রথম গাই। বড় হয়ে গেয়েছি ‘আমায় ডেকো না’ আর ‘কবিতা পড়ার প্রহর’। কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও লাকি আখান্দ্ চমৎকার এক গানের জুটি ছিলেন। ওনারা একসঙ্গে আমাদের বাসায় আসতেন। চার-পাঁচ বছর যখন আমার বয়স, তখনই দেখতাম আমাদের বাসায় তাঁদের আসা-যাওয়া। আমি কাওসার মামা ডাকতাম। উনি খুব সুন্দর করে লিখতেন। ওনার হাতের লেখা ভীষণ সুন্দর। কয়েক স্টাইলে লেখার দক্ষতা ছিল। মনে আছে, আমাদের ভাই পঞ্চমের এক জন্মদিনে কার্ড বানানো হলো। আমার মা বললেন, কাওসারকে কার্ড লেখার দায়িত্বটা দিই। উনি এত সুন্দর করে কার্ডগুলোতে লিখেছিলেন!
একটা সময় সেই কাওসার মামা আমার খালাকে পছন্দ করলেন। বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এবং সম্পর্কে আমার খালু হলেন। তিনি আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ছিলেন। তাঁর লেখা অসংখ্য গান জনপ্রিয় হয়েছে। দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা গেয়েছেন তাঁর গান।
টেলিভিশনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে কাওসার মামা ও লাকী চাচা গান করতেন। সেখান থেকে অনেক জনপ্রিয় গান বের হলো। আমারও বের হলো ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’-এর মতো গান।
গত কয়েক দিন তাঁকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে। আইসিইউতে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর ফিরলেন না। চলেই গেলেন তাঁর লেখা গানের মতো দূরে, বহু দূরে।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় কিছু গান
আমি ভাগ্যবান এমন একটি গান পেয়েছি
কুমার বিশ্বজিৎ, সংগীতশিল্পী
কাওসার ভাইয়ের লেখনী নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা আধুনিক গানকে যাঁরা কাব্য, সাহিত্য ও অন্ত্যমিলের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, কাওসার ভাই তাঁদের অন্যতম। তাঁর গানের মাধ্যমে আমরা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। অনেকে ভেসেছেন আবেগে, অনেকে উপলব্ধিতে, অনেকে বেদনায়। তাঁর গানের মাধ্যমে সাহস পেয়েছি, শক্তি পেয়েছি আমিও।
একটা হতাশায় আমি ভুগি, তাঁদের মতো মেধাবীদের এই চলে যাওয়ায় আমাদের যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তা পূরণের লোক কবে আসবে? আদৌ কি আসবে? মানুষ মরণশীল। সবাইকে যেতে হবে। আমি অনেক ভাগ্যবান তাঁর ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানটা পেয়েছি লাকী ভাইয়ের সুরে। একটা শিল্পীর ক্যারিয়ারে এমন একটি গান পাওয়ার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।
গানটা আমার গাওয়ার আগেই সৃষ্টি হয়েছে। এটা লাকী আখান্দ্ ভাই, ফাহমিদা নবী—তাঁরাও গেয়েছেন। তবে কেন যেন শ্রোতারা আমার গাওয়া একটু বেশি পছন্দ করেছেন। যখনই আমি মঞ্চে গান গাইতে উঠি, প্রতিটি গানের আগে গীতিকার ও সুরকারের নাম বলি। যখনই ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানের কথা বলি, যে আওয়াজটা পাই তা শিহরিত করার মতো। এমনকি এই গানটা গাওয়া শুরু করলে, আমাকে বেশিক্ষণ গাইতে হয় না। শ্রোতারাই পুরোটা গায়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গানটি গাইতে পারেন। গানটি কিন্তু সহজ নয়। অনেক কাব্য, সাহিত্য ও অন্ত্যমিল আছে। তারপরও এটি সবার কাছে পৌঁছেছে।
তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন
সামিনা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী
ভীষণ জনপ্রিয় গীতিকবির পাশাপাশি উনি একজন বরেণ্য জ্যোতিষও। ছোটবেলায় ‘সাতটি রঙের সাতটি সুর’ নামের শিশুতোষ অনুষ্ঠানে তাঁর গান প্রথম গাই। বড় হয়ে গেয়েছি ‘আমায় ডেকো না’ আর ‘কবিতা পড়ার প্রহর’। কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও লাকি আখান্দ্ চমৎকার এক গানের জুটি ছিলেন। ওনারা একসঙ্গে আমাদের বাসায় আসতেন। চার-পাঁচ বছর যখন আমার বয়স, তখনই দেখতাম আমাদের বাসায় তাঁদের আসা-যাওয়া। আমি কাওসার মামা ডাকতাম। উনি খুব সুন্দর করে লিখতেন। ওনার হাতের লেখা ভীষণ সুন্দর। কয়েক স্টাইলে লেখার দক্ষতা ছিল। মনে আছে, আমাদের ভাই পঞ্চমের এক জন্মদিনে কার্ড বানানো হলো। আমার মা বললেন, কাওসারকে কার্ড লেখার দায়িত্বটা দিই। উনি এত সুন্দর করে কার্ডগুলোতে লিখেছিলেন!
একটা সময় সেই কাওসার মামা আমার খালাকে পছন্দ করলেন। বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এবং সম্পর্কে আমার খালু হলেন। তিনি আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ছিলেন। তাঁর লেখা অসংখ্য গান জনপ্রিয় হয়েছে। দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা গেয়েছেন তাঁর গান।
টেলিভিশনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে কাওসার মামা ও লাকী চাচা গান করতেন। সেখান থেকে অনেক জনপ্রিয় গান বের হলো। আমারও বের হলো ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’-এর মতো গান।
গত কয়েক দিন তাঁকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় কেটেছে। আইসিইউতে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর ফিরলেন না। চলেই গেলেন তাঁর লেখা গানের মতো দূরে, বহু দূরে।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় কিছু গান
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে