দিনাজপুর প্রতিনিধি
বেশি মজুরি দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের বোরোচাষিরা। ভালো ফলন হওয়ার পরও পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।
জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। ঝোড়ো হাওয়া আর প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় অনেক স্থানেই ধান গাছ হেলে পড়েছে জমিতে। কোথাও বা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অবস্থা বিবেচনায় অনেকেই তড়িঘড়ি করে ধান কেটে নিয়েছেন। আবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই ধান কাটতে পারছেন না। ইতিমধ্যে যাঁরা ধান কেটেছেন তাঁরা মাড়াই ও শুকাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
এদিকে, ঝড়-বৃষ্টির কারণে সবাই দ্রুত ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করায় কৃষি শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ সুযোগে শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি অবিশ্বাস্য হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও অনেক সময় শ্রমিক মিলছে না। নিরুপায় হয়ে বাড়তি দাম দিয়েই নিতে হচ্ছে শ্রমিক। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জেলার সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘এবার আট বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। পাঁচ বিঘার ধান কেটেছি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে, বাকি জমির ধান কাটতে পারি নাই। ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে পড়ে গেছে, শ্রমিক পাওয়াই যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ১০ হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে পড়া ধান কাটতে শ্রমিক নিতে হয়েছে। শ্রমিককেই এত টাকা দিলে আমরা খাব কী?’
চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক মনির জানান, তাঁর পাঁচ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি শুকালে ধান কাটতে হবে শ্রমিক দিয়ে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার সময় মতো ধান কাটতে না পারলে জমিতে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক খেতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। এই ধান কাটতে বেশি খরচ হচ্ছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিতে ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। চাষিদের খেতের পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি তেমন একটা ক্ষতি হবে না।’
এদিকে, জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগামী ৫ / ৭ দিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই, তবে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে পারে।
বেশি মজুরি দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের বোরোচাষিরা। ভালো ফলন হওয়ার পরও পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০ মেট্রিক টন।
জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। ঝোড়ো হাওয়া আর প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় অনেক স্থানেই ধান গাছ হেলে পড়েছে জমিতে। কোথাও বা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অবস্থা বিবেচনায় অনেকেই তড়িঘড়ি করে ধান কেটে নিয়েছেন। আবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই ধান কাটতে পারছেন না। ইতিমধ্যে যাঁরা ধান কেটেছেন তাঁরা মাড়াই ও শুকাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
এদিকে, ঝড়-বৃষ্টির কারণে সবাই দ্রুত ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করায় কৃষি শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ সুযোগে শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরি অবিশ্বাস্য হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মজুরি দিয়েও অনেক সময় শ্রমিক মিলছে না। নিরুপায় হয়ে বাড়তি দাম দিয়েই নিতে হচ্ছে শ্রমিক। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
জেলার সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘এবার আট বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। পাঁচ বিঘার ধান কেটেছি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে, বাকি জমির ধান কাটতে পারি নাই। ঝড় বৃষ্টিতে ধান মাটিতে পড়ে গেছে, শ্রমিক পাওয়াই যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ১০ হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে পড়া ধান কাটতে শ্রমিক নিতে হয়েছে। শ্রমিককেই এত টাকা দিলে আমরা খাব কী?’
চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক মনির জানান, তাঁর পাঁচ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি শুকালে ধান কাটতে হবে শ্রমিক দিয়ে। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার সময় মতো ধান কাটতে না পারলে জমিতে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক খেতে ধান গাছ নুয়ে পড়েছে। এই ধান কাটতে বেশি খরচ হচ্ছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) খালেদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিতে ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। চাষিদের খেতের পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি তেমন একটা ক্ষতি হবে না।’
এদিকে, জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগামী ৫ / ৭ দিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই, তবে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে পারে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে