সম্পাদকীয়
পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্র পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট আইনকানুন দ্বারা। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এ দেশে ক্ষমতাবান তথা সমাজপতিদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় নিয়মের কারণে দেশের কোনো কোনো জায়গায় দুর্বল মানুষদের ওপর নির্মমতার খড়্গ নেমে আসে। ভুক্তভোগী অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতাও পান না। এ রকম একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে রোববারের আজকের পত্রিকায়।
জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক আহমদ ও তাঁর লোকজন ব্যবসায়ী মো. তাহের আলী ও তাঁর ভাইদের কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর, আসবাব এবং মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া, পরিবারের নারীদের নির্যাতন করাসহ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছেন। তাঁদের নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি দুই বছর বয়সী একটি শিশুও। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এ ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামে। পূর্ববিরোধের জেরে দুর্ঘটনাজনিত একটি মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার দায় চাপিয়ে তাহের আলীকে করা হয়েছে সমাজচ্যুত। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঝোলানো হয়েছে তালা।
আরও নির্মম ঘটনা হলো গত শুক্রবার স্থানীয় মসজিদে বৈঠক করে ইউপি সদস্য ফারুক ঘোষণা দেন, এলাকার কেউ তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বললে ৫০ হাজার টাকা এবং কোনো ব্যবসায়ী ওই পরিবারের কাছে কিছু বিক্রি করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আবার ওই বৈঠকে অন্যায়ভাবে তাহের আলীর পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
শুধু উমনপুর গ্রামে নয়, সালিসের নামে সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে এ রকম জবরদস্তির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে। দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে এভাবে নিজের ক্ষমতাবলে অন্যায় সিদ্ধান্ত কেউ চাপিয়ে দিতে পারেন না। দেশটা নিশ্চয়ই মগের মুল্লুক নয়।
বিচারের নামে ক্ষমতাবানদের কাছে অবিচারের সম্মুখীন হতে হয় ক্ষমতাহীনদের। বিচারের নামে কোন ক্ষমতাবলে এ ধরনের অন্যায় কীভাবে করতে পারেন একজন ইউপি সদস্য? অথচ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আমাদের দেশে নীতিনৈতিকতার জায়গায় জবরদস্তির বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ঘটনা তার প্রমাণ। আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেলেও সামাজিক দায়বদ্ধতায় ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি।
একসময় গ্রামের ছোট ছোট সমস্যা বা বিরোধগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হতো। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য থানা-পুলিশ ও আদালত পর্যন্ত যেতে হতো না। কিন্তু এখন আর সমাজপতিরা সেই কাজগুলো না করে, তাদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে বেশি আগ্রহী। কারণ, তাঁদের কাছে সমস্যা সমাধানের চেয়ে নিজের লাভ-ক্ষতি দেখাটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও সম্পাদকীয়টি লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি! স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী? সেটা উদ্ঘাটন করার পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি তো নিশ্চিত করতেই হবে। ‘যা ইচ্ছে তা-ই’ বিচার-সালিস করে দেশটাকে মগের মুল্লুকে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না।
পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্র পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট আইনকানুন দ্বারা। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এ দেশে ক্ষমতাবান তথা সমাজপতিদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় নিয়মের কারণে দেশের কোনো কোনো জায়গায় দুর্বল মানুষদের ওপর নির্মমতার খড়্গ নেমে আসে। ভুক্তভোগী অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতাও পান না। এ রকম একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে রোববারের আজকের পত্রিকায়।
জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক আহমদ ও তাঁর লোকজন ব্যবসায়ী মো. তাহের আলী ও তাঁর ভাইদের কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর, আসবাব এবং মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া, পরিবারের নারীদের নির্যাতন করাসহ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছেন। তাঁদের নির্মমতা থেকে রেহাই পায়নি দুই বছর বয়সী একটি শিশুও। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এ ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামে। পূর্ববিরোধের জেরে দুর্ঘটনাজনিত একটি মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার দায় চাপিয়ে তাহের আলীকে করা হয়েছে সমাজচ্যুত। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঝোলানো হয়েছে তালা।
আরও নির্মম ঘটনা হলো গত শুক্রবার স্থানীয় মসজিদে বৈঠক করে ইউপি সদস্য ফারুক ঘোষণা দেন, এলাকার কেউ তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বললে ৫০ হাজার টাকা এবং কোনো ব্যবসায়ী ওই পরিবারের কাছে কিছু বিক্রি করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আবার ওই বৈঠকে অন্যায়ভাবে তাহের আলীর পরিবারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
শুধু উমনপুর গ্রামে নয়, সালিসের নামে সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে এ রকম জবরদস্তির ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটছে। দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে এভাবে নিজের ক্ষমতাবলে অন্যায় সিদ্ধান্ত কেউ চাপিয়ে দিতে পারেন না। দেশটা নিশ্চয়ই মগের মুল্লুক নয়।
বিচারের নামে ক্ষমতাবানদের কাছে অবিচারের সম্মুখীন হতে হয় ক্ষমতাহীনদের। বিচারের নামে কোন ক্ষমতাবলে এ ধরনের অন্যায় কীভাবে করতে পারেন একজন ইউপি সদস্য? অথচ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আমাদের দেশে নীতিনৈতিকতার জায়গায় জবরদস্তির বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, এ ঘটনা তার প্রমাণ। আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেলেও সামাজিক দায়বদ্ধতায় ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি।
একসময় গ্রামের ছোট ছোট সমস্যা বা বিরোধগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হতো। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য থানা-পুলিশ ও আদালত পর্যন্ত যেতে হতো না। কিন্তু এখন আর সমাজপতিরা সেই কাজগুলো না করে, তাদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে বেশি আগ্রহী। কারণ, তাঁদের কাছে সমস্যা সমাধানের চেয়ে নিজের লাভ-ক্ষতি দেখাটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও সম্পাদকীয়টি লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি! স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী? সেটা উদ্ঘাটন করার পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি তো নিশ্চিত করতেই হবে। ‘যা ইচ্ছে তা-ই’ বিচার-সালিস করে দেশটাকে মগের মুল্লুকে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে