অজয় দাশগুপ্ত
সমাজ কি এগোচ্ছে? দেশ এগোচ্ছে এটা আমরা জানি এবং মানিও। কিন্তু সমাজ ছাড়া কি দেশ এগোতে পারে? উন্নয়ন ও বিস্তারের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হলো সমাজ সংহতি। সেটা যে নেই, তার প্রমাণ প্রায়ই পাই আমরা। একটা সময় ছিল, যখন ঘুম ভাঙলেই দেখতাম দেশে রাজনৈতিক গন্ডগোল চলছে।
সেই সময়কালে হরতাল, ধরপাকড়, ভাঙচুর ছিল নৈমিত্তিক। আমাদের যৌবন সুখে কাটেনি। সুখ কাকে বলে, তা-ও আমরা জানতাম না। এরশাদের আমলে আমাদের কাজ ছিল স্বৈরাচার তাড়ানোর সংগ্রামে মনোনিবেশ করা। সাহিত্য, সংস্কৃতি, এমনকি জীবনও দখল করতে চেয়েছিলেন এরশাদ। পারেননি।
বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলও ছিল ভয়াবহ। তাদের মূল টার্গেট ছিল দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ। যাঁরা কুপরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট কেক কাটাতেন, তাঁদের অনেকেই আজ আর নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরাও গতায়ু। অথচ রক্তমাখা সেই কেকের দগদগে ঘা রয়ে গেছে। খালেদা জিয়া থেকেও নেই। তবে এটা বলতে হবে, তখন ধরপাকড়, নির্যাতন থাকলেও সমাজে বিদ্রোহ ছিল। যে দ্রোহ বহু বড় বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিল দেশে। গান, নাটক, কবিতাসহ শিল্পের সব শাখাই ছিল আনন্দ আর বিদ্রোহে ভরপুর।
আমি সেই আমলের প্রশংসা করছি না। বলছি, তখনো সমাজ এত অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেনি। লালনের মতো মানুষের গান কারও গাত্রদাহের কারণ হতে পারে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। লালন কেন টার্গেট এখন? দেশের ভেতরে বসবাসকারী মানুষই ভালো বলতে পারবেন।
আমরা যাঁরা দেশের বাইরে থাকি, আমাদের ধারণা ভিন্ন। মাঝে মাঝে দেশে গেলে আমরা যা টের পাই, তার সারমর্মটা এমন—যা দেখি, যা শুনি, সেটা আসল চেহারা নয়। মনোজাগতিকভাবে দেশে ধর্মের নামে এক ধরনের বিপ্লব ঘটে গিয়েছে। সে বিপ্লব যে প্রগতির নয়, এটা এখন স্পষ্ট। পোশাক, আহার, আচরণের পাশাপাশি টার্গেট এখন সংস্কৃতি। এটাই স্বাভাবিক ছিল।
লালনের প্রতি বিদ্বেষে আমি মোটেও অবাক হইনি। এটাই স্বাভাবিক। লালন ছিলেন মরমি সাধক। সুফি মানুষ। মরম ব্যাপারটাই তো হাওয়া হয়ে গেছে! মরমি থাকবে কীভাবে? মরমের চরম আকালে আমরা দেখছি অমানুষের বাড়বাড়ন্ত। মানুষের হাতে টাকার ছড়াছড়ি। দেশের উন্নতি হলে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এটাই ঘটার কথা। কিন্তু ওই যে বলছিলাম, উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র একজন। যিনি না থাকলে দেশ, সমাজ, জীবন আঁধার। ত্যাগীরা বাদে বাকি সবাই কোনো না কোনোভাবে সুবিধাভোগী। সুবিধা নেওয়াটা অন্যায় নয়, কিন্তু সমাজকে অন্ধকারে যেতে দেওয়ার দায় এড়াবে কীভাবে?
আজকাল প্রতিবাদ নেই। সব সময় বাদ-প্রতিবাদ ভালো নয়। কিন্তু ন্যায্য প্রতিবাদ না হলে যা হয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ আমাদের চলমান সমাজ। আপনি কথা বলে দেখুন, যেসব তরুণ-তরুণী বলিষ্ঠ হওয়ার কথা, তাদের কী অবস্থা! তারা এসবের ধারেকাছে নেই। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড নামের বায়বীয় জগতে থাকা এরা কোনো খবরই রাখে না। তাদের হাতের মুঠোয় যে মোবাইল ফোন, তাতেই মজে আছে তারা।
কোনটা সত্য আর কোনটা ভুল, তা-ও জানে না। বোঝেও না। প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলেন: সেরা সময় কাটাতে হলে বইয়ের সঙ্গে থাকতে হবে আর নিকৃষ্ট সময় কাটাতে চাইলে টিভির পর্দায় মুখ রাখতে হবে। এই কথা আজ শতভাগ সত্য। সেই সত্যের প্রতিফলন আমরা দেখছি সমাজে। প্রচার, অপপ্রচার আর অচলায়তনের ফাঁকে আজকাল যে বাস্তবতা, তার শিকার লালন সাঁই।
কথাবার্তাহীন অদ্ভুত সব অভিযোগ ক্লান্ত করে তুলছে সমাজকে। সমাজের প্রতি শাখায় হয় নৈরাজ্য, নয়তো এসব অঘটন। অনুভূতি যে আসলে কী, তার কোনো ব্যাখ্যা পাবেন না আপনি। যে যেমন, যার যেমন ইচ্ছে অনুভূতি বানিয়ে নেয়। তারপর এর প্রভাব পড়ে সমাজে।
সমাজ তো বটেই, দেশের বাইরের বাংলাদেশিরাও কেঁপে ওঠে ভয়ে। আমাদের পছন্দ ও সমর্থনের সরকার থাকার পরও এসব কেন ঘটছে? এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার হলেও উদ্যোগ নেই। আমরা যাঁরা ৬০ পেরিয়েছি, আমাদের চোখের সমানেই ঘটেছিল সব কাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কত কাণ্ড যে ঘটানো হতো! পরে দেখা গেল, সবগুলো ছিল বানোয়াট। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
লালনের গান আর কারও কবিতা বা কোনো শিল্প আসলে বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে মগজধোলাই। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাংলা, বাঙালির ঐক্য আর সম্প্রীতির ওপর আঘাত হানা। কারণ এই আঘাত না হানলে এ দেশের শক্তি থমকে দাঁড়াবে না। একটা কথা ভাবুন, যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছি, যাঁর গান আমাদের জাতীয় সংগীত, তাঁকে ছিঁড়েখুঁড়ে অপমান করার কী ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! সমানে নির্ভয়ে যা খুশি বলা আর কোনো বিষয়ে দেখবেন না! কিন্তু লালন, রবীন্দ্রনাথ হলে তা অবাধ। এটাই হলো বদলে যাওয়া চিত্র। এই অপচিত্র যদি চলতে থাকে, আমাদের জাতীয় পরিচয় লোপ পেতে সময় লাগবে না। এবং এটাই প্রতিক্রিয়াশীলদের চাওয়া।
মূলত ‘চিলে কান নিয়েছে’ টাইপের ব্যাপার খুব বাজার পাচ্ছে এখন। বিশেষ করে বিশ্বাস আর সংস্কার যখন তার কাছে পরাভূত, তখন তো এমন হবেই। কোথায় আমাদের দিকপালেরা? কেন গর্জে উঠছে না মুক্তবুদ্ধি?
আমরা সবাই জানি, শেখ হাসিনার সরকার না থাকলে কী হবে, কী হতে পারে! সে ভয় কি আমাদের এক করবে না? লালন ফকিরের কোনো লাভ-লোকসান নেই। তিনি অমর। রবীন্দ্রনাথও বিশ্বজয়ী কবি। এসবে তাঁর কিছুই আসবে-যাবে না। মাঝখানে আমাদের কপাল পুড়ছে। যে তারুণ্য সব সময়কালের ভরসা, তারা এখন ভারতবিরোধিতার নামে রবীন্দ্রনাথকেও মানতে চাইছে না। এ জন্য দায়ী অপপ্রচার আর ষড়যন্ত্র।
কে জানে এর শেষ কোথায়? একটা বিষয় সবারই বোঝা দরকার—বাংলাদেশ এগোচ্ছে। সেই অগ্রযাত্রার সঙ্গে সমাজ তাল মেলাতে না পারলে আমাদের কষ্ট, দুঃখ আর বেদনা কোনো দিনও লাঘব হবে না। লালনের দেশ, হাসন রাজার দেশ আমাদের। এই দেশ, এই সমাজে তাঁরা আপন মহিমায় আছেন, থাকবেন। দূর হোক এসব অপপ্রক্রিয়া। ভালো থাক বাংলাদেশ।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
সমাজ কি এগোচ্ছে? দেশ এগোচ্ছে এটা আমরা জানি এবং মানিও। কিন্তু সমাজ ছাড়া কি দেশ এগোতে পারে? উন্নয়ন ও বিস্তারের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হলো সমাজ সংহতি। সেটা যে নেই, তার প্রমাণ প্রায়ই পাই আমরা। একটা সময় ছিল, যখন ঘুম ভাঙলেই দেখতাম দেশে রাজনৈতিক গন্ডগোল চলছে।
সেই সময়কালে হরতাল, ধরপাকড়, ভাঙচুর ছিল নৈমিত্তিক। আমাদের যৌবন সুখে কাটেনি। সুখ কাকে বলে, তা-ও আমরা জানতাম না। এরশাদের আমলে আমাদের কাজ ছিল স্বৈরাচার তাড়ানোর সংগ্রামে মনোনিবেশ করা। সাহিত্য, সংস্কৃতি, এমনকি জীবনও দখল করতে চেয়েছিলেন এরশাদ। পারেননি।
বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলও ছিল ভয়াবহ। তাদের মূল টার্গেট ছিল দেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ। যাঁরা কুপরামর্শ দিয়ে খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট কেক কাটাতেন, তাঁদের অনেকেই আজ আর নেই। যাঁরা আছেন, তাঁরাও গতায়ু। অথচ রক্তমাখা সেই কেকের দগদগে ঘা রয়ে গেছে। খালেদা জিয়া থেকেও নেই। তবে এটা বলতে হবে, তখন ধরপাকড়, নির্যাতন থাকলেও সমাজে বিদ্রোহ ছিল। যে দ্রোহ বহু বড় বড় ঘটনার জন্ম দিয়েছিল দেশে। গান, নাটক, কবিতাসহ শিল্পের সব শাখাই ছিল আনন্দ আর বিদ্রোহে ভরপুর।
আমি সেই আমলের প্রশংসা করছি না। বলছি, তখনো সমাজ এত অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেনি। লালনের মতো মানুষের গান কারও গাত্রদাহের কারণ হতে পারে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। লালন কেন টার্গেট এখন? দেশের ভেতরে বসবাসকারী মানুষই ভালো বলতে পারবেন।
আমরা যাঁরা দেশের বাইরে থাকি, আমাদের ধারণা ভিন্ন। মাঝে মাঝে দেশে গেলে আমরা যা টের পাই, তার সারমর্মটা এমন—যা দেখি, যা শুনি, সেটা আসল চেহারা নয়। মনোজাগতিকভাবে দেশে ধর্মের নামে এক ধরনের বিপ্লব ঘটে গিয়েছে। সে বিপ্লব যে প্রগতির নয়, এটা এখন স্পষ্ট। পোশাক, আহার, আচরণের পাশাপাশি টার্গেট এখন সংস্কৃতি। এটাই স্বাভাবিক ছিল।
লালনের প্রতি বিদ্বেষে আমি মোটেও অবাক হইনি। এটাই স্বাভাবিক। লালন ছিলেন মরমি সাধক। সুফি মানুষ। মরম ব্যাপারটাই তো হাওয়া হয়ে গেছে! মরমি থাকবে কীভাবে? মরমের চরম আকালে আমরা দেখছি অমানুষের বাড়বাড়ন্ত। মানুষের হাতে টাকার ছড়াছড়ি। দেশের উন্নতি হলে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এটাই ঘটার কথা। কিন্তু ওই যে বলছিলাম, উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র একজন। যিনি না থাকলে দেশ, সমাজ, জীবন আঁধার। ত্যাগীরা বাদে বাকি সবাই কোনো না কোনোভাবে সুবিধাভোগী। সুবিধা নেওয়াটা অন্যায় নয়, কিন্তু সমাজকে অন্ধকারে যেতে দেওয়ার দায় এড়াবে কীভাবে?
আজকাল প্রতিবাদ নেই। সব সময় বাদ-প্রতিবাদ ভালো নয়। কিন্তু ন্যায্য প্রতিবাদ না হলে যা হয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ আমাদের চলমান সমাজ। আপনি কথা বলে দেখুন, যেসব তরুণ-তরুণী বলিষ্ঠ হওয়ার কথা, তাদের কী অবস্থা! তারা এসবের ধারেকাছে নেই। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড নামের বায়বীয় জগতে থাকা এরা কোনো খবরই রাখে না। তাদের হাতের মুঠোয় যে মোবাইল ফোন, তাতেই মজে আছে তারা।
কোনটা সত্য আর কোনটা ভুল, তা-ও জানে না। বোঝেও না। প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আজাদ লিখেছিলেন: সেরা সময় কাটাতে হলে বইয়ের সঙ্গে থাকতে হবে আর নিকৃষ্ট সময় কাটাতে চাইলে টিভির পর্দায় মুখ রাখতে হবে। এই কথা আজ শতভাগ সত্য। সেই সত্যের প্রতিফলন আমরা দেখছি সমাজে। প্রচার, অপপ্রচার আর অচলায়তনের ফাঁকে আজকাল যে বাস্তবতা, তার শিকার লালন সাঁই।
কথাবার্তাহীন অদ্ভুত সব অভিযোগ ক্লান্ত করে তুলছে সমাজকে। সমাজের প্রতি শাখায় হয় নৈরাজ্য, নয়তো এসব অঘটন। অনুভূতি যে আসলে কী, তার কোনো ব্যাখ্যা পাবেন না আপনি। যে যেমন, যার যেমন ইচ্ছে অনুভূতি বানিয়ে নেয়। তারপর এর প্রভাব পড়ে সমাজে।
সমাজ তো বটেই, দেশের বাইরের বাংলাদেশিরাও কেঁপে ওঠে ভয়ে। আমাদের পছন্দ ও সমর্থনের সরকার থাকার পরও এসব কেন ঘটছে? এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার হলেও উদ্যোগ নেই। আমরা যাঁরা ৬০ পেরিয়েছি, আমাদের চোখের সমানেই ঘটেছিল সব কাণ্ড। বঙ্গবন্ধুর সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কত কাণ্ড যে ঘটানো হতো! পরে দেখা গেল, সবগুলো ছিল বানোয়াট। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
লালনের গান আর কারও কবিতা বা কোনো শিল্প আসলে বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে মগজধোলাই। যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাংলা, বাঙালির ঐক্য আর সম্প্রীতির ওপর আঘাত হানা। কারণ এই আঘাত না হানলে এ দেশের শক্তি থমকে দাঁড়াবে না। একটা কথা ভাবুন, যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছি, যাঁর গান আমাদের জাতীয় সংগীত, তাঁকে ছিঁড়েখুঁড়ে অপমান করার কী ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! সমানে নির্ভয়ে যা খুশি বলা আর কোনো বিষয়ে দেখবেন না! কিন্তু লালন, রবীন্দ্রনাথ হলে তা অবাধ। এটাই হলো বদলে যাওয়া চিত্র। এই অপচিত্র যদি চলতে থাকে, আমাদের জাতীয় পরিচয় লোপ পেতে সময় লাগবে না। এবং এটাই প্রতিক্রিয়াশীলদের চাওয়া।
মূলত ‘চিলে কান নিয়েছে’ টাইপের ব্যাপার খুব বাজার পাচ্ছে এখন। বিশেষ করে বিশ্বাস আর সংস্কার যখন তার কাছে পরাভূত, তখন তো এমন হবেই। কোথায় আমাদের দিকপালেরা? কেন গর্জে উঠছে না মুক্তবুদ্ধি?
আমরা সবাই জানি, শেখ হাসিনার সরকার না থাকলে কী হবে, কী হতে পারে! সে ভয় কি আমাদের এক করবে না? লালন ফকিরের কোনো লাভ-লোকসান নেই। তিনি অমর। রবীন্দ্রনাথও বিশ্বজয়ী কবি। এসবে তাঁর কিছুই আসবে-যাবে না। মাঝখানে আমাদের কপাল পুড়ছে। যে তারুণ্য সব সময়কালের ভরসা, তারা এখন ভারতবিরোধিতার নামে রবীন্দ্রনাথকেও মানতে চাইছে না। এ জন্য দায়ী অপপ্রচার আর ষড়যন্ত্র।
কে জানে এর শেষ কোথায়? একটা বিষয় সবারই বোঝা দরকার—বাংলাদেশ এগোচ্ছে। সেই অগ্রযাত্রার সঙ্গে সমাজ তাল মেলাতে না পারলে আমাদের কষ্ট, দুঃখ আর বেদনা কোনো দিনও লাঘব হবে না। লালনের দেশ, হাসন রাজার দেশ আমাদের। এই দেশ, এই সমাজে তাঁরা আপন মহিমায় আছেন, থাকবেন। দূর হোক এসব অপপ্রক্রিয়া। ভালো থাক বাংলাদেশ।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে