শেখ আবু হাসান, খুলনা
পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে দেখা দিয়েছে জনবল সংকট। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলছে ধীরগতিতে। বিভাগীয় কার্যালয়ে যে সংখ্যক জনবল থাকার কথা, তার অর্ধেকও নেই। সেখানে ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা, সেখানে আছেন মাত্র ১৮ জন। অর্থাৎ ৪০টি পদই খালি।
এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন। ছয়-সাত মাস কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ফলে অধিদপ্তর থেকে কোনো অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিভাগীয় অধিদপ্তরটি প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে ৫৮টি পদ রয়েছে। কিন্তু অনেক দিন ধরেই এই পদ পূরণ করা হচ্ছে না। বর্তমানে এই কার্যালয়ে মাত্র ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। এই অল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের দাপ্তরিক কাজসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী কলকারখানা, ইটভাটাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিযান, তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঝেমধ্যে যেটুকু অভিযান চলছিল, তা-ও বন্ধ করে দিতে হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে। প্রায় সাত মাস অধিদপ্তরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই।
গত রোববার সরেজমিন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের নিচতলায় হেলফ্ ডেস্কে কোনো লোক নেই। নেই নিরাপত্তারক্ষী। নিচতলার ডানপাশে গবেষণাগার-২ এ সংস্কারের কাজ চলছে। আর বামপাশে গবেষণাগার-১ এ দু-তিনজন বসে আলাপ-আলোচনা করছেন। কার্যালয়ের দোতলা করিডর ফাঁকা। একটি কক্ষে তিন-চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে দেখা যায়। আর একটি কক্ষে একজন মাত্র পরিদর্শককে কাজ করতে দেখা যায়।
পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালে পরিদর্শক এই প্রতিবেদককে পরিচালক সাইফুর রহমান খানের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে কথা হয় পরিচালকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জনবলসংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, দূষণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযানসহ দাপ্তরিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল কম। অনেক আগেই জনবল বাড়ানোর জন্য হেড অফিসে জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক সাইফুর রহমান খান বলেন, খুলনা অঞ্চলে দেড় শর মতো ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪০-৫০টি বিভিন্ন শর্ত পূরণ না করায় অবৈধভাবে চলছে। তবে এগুলোর কয়েকটির মালিক মামলা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বাকিগুলোর বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান শুরু হচ্ছে। ভাটাগুলোর বেশির ভাগের অবস্থান খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, রূপসা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায়। সাতক্ষীরায় অভিযান চলছে। কোনো ইটভাটা পরিবেশ দূষণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনাঞ্চলে পরিবেশ দূষণ করতে পারে, এমন কারখানাগুলোতে ইটিপি (ইফ্লয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) চালু রয়েছে। ২০২১ সালে নওয়াপাড়ায় এসএস ট্যানারি ও সুপার এক্স লেদার ফ্যাক্টরিতে ইটিপি চালু হয়েছে। খুলনায় হিমায়িত মৎস্য কারখানাগুলোতে ইটিপি চালুর জন্য অনেক আগে থেকেই অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খুলনা নগরীর শেখপাড়া এলাকায় অনেক আগে থেকে গড়ে ওঠা পরিবেশদূষণকারী ঝালাই কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর এই ওয়েল্ডিং কারখানা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকা করে ঢাকা সদর দপ্তরের এনফোর্সমেন্টে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ দূষণকারী ওয়েল্ডিং কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
নগরীর লবণচরা এলাকায় গড়ে ওঠা আটা-ময়দা চালকল এলাকার বায়ু তাঁরা নিয়মিত পরীক্ষা করছেন। দূষণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মারুফ বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে সাতজন পরিদর্শকের পদ রয়েছে, সেখানে আছেন মাত্র একজন। পদোন্নতি নিয়ে চলে যাওয়ার পর নতুন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়নি। চারজন উপপরিচালকের স্থলে আছেন তিনজন। জুনিয়র রসায়নবিদের দুটি পদই খালি। ল্যাবে ছয়জনের স্থলে আছেন একজন। উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারীর পদ খালি। একজন এমএলএস নেই, নেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জনবল কম থাকায় দপ্তরের কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও যাঁরা আছেন, তাঁরা সর্বাত্মকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে দেখা দিয়েছে জনবল সংকট। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চলছে ধীরগতিতে। বিভাগীয় কার্যালয়ে যে সংখ্যক জনবল থাকার কথা, তার অর্ধেকও নেই। সেখানে ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা, সেখানে আছেন মাত্র ১৮ জন। অর্থাৎ ৪০টি পদই খালি।
এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন। ছয়-সাত মাস কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই। ফলে অধিদপ্তর থেকে কোনো অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিভাগীয় অধিদপ্তরটি প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে ৫৮টি পদ রয়েছে। কিন্তু অনেক দিন ধরেই এই পদ পূরণ করা হচ্ছে না। বর্তমানে এই কার্যালয়ে মাত্র ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। এই অল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের দাপ্তরিক কাজসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
পরিবেশ দূষণকারী কলকারখানা, ইটভাটাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিযান, তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঝেমধ্যে যেটুকু অভিযান চলছিল, তা-ও বন্ধ করে দিতে হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে। প্রায় সাত মাস অধিদপ্তরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই।
গত রোববার সরেজমিন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের নিচতলায় হেলফ্ ডেস্কে কোনো লোক নেই। নেই নিরাপত্তারক্ষী। নিচতলার ডানপাশে গবেষণাগার-২ এ সংস্কারের কাজ চলছে। আর বামপাশে গবেষণাগার-১ এ দু-তিনজন বসে আলাপ-আলোচনা করছেন। কার্যালয়ের দোতলা করিডর ফাঁকা। একটি কক্ষে তিন-চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে দেখা যায়। আর একটি কক্ষে একজন মাত্র পরিদর্শককে কাজ করতে দেখা যায়।
পরিচালকের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালে পরিদর্শক এই প্রতিবেদককে পরিচালক সাইফুর রহমান খানের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে কথা হয় পরিচালকের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জনবলসংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, দূষণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থা গ্রহণে অভিযানসহ দাপ্তরিক কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন এই কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল কম। অনেক আগেই জনবল বাড়ানোর জন্য হেড অফিসে জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক সাইফুর রহমান খান বলেন, খুলনা অঞ্চলে দেড় শর মতো ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪০-৫০টি বিভিন্ন শর্ত পূরণ না করায় অবৈধভাবে চলছে। তবে এগুলোর কয়েকটির মালিক মামলা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বাকিগুলোর বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান শুরু হচ্ছে। ভাটাগুলোর বেশির ভাগের অবস্থান খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, রূপসা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায়। সাতক্ষীরায় অভিযান চলছে। কোনো ইটভাটা পরিবেশ দূষণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনাঞ্চলে পরিবেশ দূষণ করতে পারে, এমন কারখানাগুলোতে ইটিপি (ইফ্লয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) চালু রয়েছে। ২০২১ সালে নওয়াপাড়ায় এসএস ট্যানারি ও সুপার এক্স লেদার ফ্যাক্টরিতে ইটিপি চালু হয়েছে। খুলনায় হিমায়িত মৎস্য কারখানাগুলোতে ইটিপি চালুর জন্য অনেক আগে থেকেই অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খুলনা নগরীর শেখপাড়া এলাকায় অনেক আগে থেকে গড়ে ওঠা পরিবেশদূষণকারী ঝালাই কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছর এই ওয়েল্ডিং কারখানা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকা করে ঢাকা সদর দপ্তরের এনফোর্সমেন্টে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ দূষণকারী ওয়েল্ডিং কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
নগরীর লবণচরা এলাকায় গড়ে ওঠা আটা-ময়দা চালকল এলাকার বায়ু তাঁরা নিয়মিত পরীক্ষা করছেন। দূষণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মারুফ বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে সাতজন পরিদর্শকের পদ রয়েছে, সেখানে আছেন মাত্র একজন। পদোন্নতি নিয়ে চলে যাওয়ার পর নতুন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়নি। চারজন উপপরিচালকের স্থলে আছেন তিনজন। জুনিয়র রসায়নবিদের দুটি পদই খালি। ল্যাবে ছয়জনের স্থলে আছেন একজন। উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারীর পদ খালি। একজন এমএলএস নেই, নেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জনবল কম থাকায় দপ্তরের কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও যাঁরা আছেন, তাঁরা সর্বাত্মকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে